কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিখোঁজের দশ দিন পরেও সন্ধান মিলেনি এক ব্যাংক কর্মকর্তার। তিনি গত ২২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টার দদিকে কুমারখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শেরকান্দি এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন বলে স্বজনদের দাবি।
তাঁর নাম রাজিব আহমেদ (৪০)। তিনি পূবালী ব্যাংকের কুমারখালী শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। এবং তিনি জেলার ভেড়ামরা উপজেলার বামনপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে। এঘটনায় ২২ ডিসেম্বর রাতে কুমারখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেন ওই কর্মকর্তার স্ত্রী রায়হানা পারভীন। জিডি নম্বর ৯৫১।
ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী রায়হানা বেগম জানান, দুই সন্তান নিয়ে তিনি মাসখানেক ধরে তাঁর বাবার বাড়ি খোকসাতে আছেন। তাঁর স্বামী কুমারখালী শেরকান্দি এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে নিয়মিত ব্যাংকে যাওয়া আসা করে। গত ২১ ডিসেম্বর রাতে তাঁর স্বামী মুঠোফোনে তাকে জানিয়েছিল শুক্রবার ( ২২ ডিসেম্বর) তিনি (রাজিব) গ্রামের বাড়ি ভেড়ামারা যাবেন। এরপর ২২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তাঁর সাথে কথা বলে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। কিন্তু বের হওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর থেকে স্বামীর ফোন বন্ধ পান তিনি।
তিনি আরো জানান, ওই দিন বিকাল থেকেই তিনি তাঁর স্বামীকে স্বজন, বন্ধুসহ সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। পরে থানায় জিডি করেছেন তিনি। তাঁর ভাষ্য, স্বামী রাজিবের কোনো শত্রু ছিলোনা। তবে তাঁদের সংসার জীবনে কিছুটা পারিবারিক কলহ ছিল।
ব্যাংক কর্মকর্তার বড় ভাই সাইদুল ইসলাম সান্টু জানান, নিখোঁজের খবর পেয়ে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করছেন তাঁরা। থানাতেও গিয়েছেন। তবুও ভাইকে পাননি তিনি। তাঁর ভাষ্য, স্ত্রীর সাথে তাঁর ভাইয়ের পারিবারিক কলহ ছিল। বউয়ের হাতে মারধর পর্যন্ত খেয়েছেন তাঁর ভাই।
পূবালী ব্যাংক কুমারখালী শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল হামিদ জানান, রাজিব খুব ভদ্র, নম্র ভাল মানুষ ছিলেন। অফিসে কারো সাথে কোনো মনোমালিন্য ছিলোনা। গত ২০ ডিসেম্বর শেষ অফিসে এসেছিলেন রাজিব।
জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।