কুমারখালীতে আপন দুই ভাই গুলিবিদ্ধ

0
122

কুমারখালী প্রতিনিধি

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অংশ হিসেবে প্রতিপ আপন দুই ভাইয়ের উপর গুলি চালিয়েছ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার সকাল সোয়া ৬ টার দিকে কুমারখালীর উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বের কালোয়া মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ দুই ভাই ওই এলাকার মৃত কেঁদো শেখের ছেলে জিয়ার হোসেন (৪৫) ও আলতাফ হোসেন (৫০)। তাঁরা বর্তমানে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা দুজনই পেশায় মৎস্যজীবি।

গুলাগুলির বিষয় অস্বীকার করে পুলিশ বলছে, নির্বাচনী নয়, সামাজিক দ্বন্দ্বে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে দুই ভাই গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার। তিনি জানান, ছররা গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে তারা আশঙ্কামুক্ত।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বের কালোয়া গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুল খালেকের সাথে মৃত কেঁদো শেখের ছেলেদের প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে সামাজিক দ্বন্দ্ব চলে আসছে। পদ্মা নদীতে মাছ ধরা, যেকোন নির্বাচনসহ বিভিন্ন অজুহাতে প্রায়ই দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালে বের কালোয়ারা মোড়ে দু’পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দুই ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গুরিবৃদ্ধ আহতদের ছোট ভাই ইয়ারুল আলী অভিযোগ করেন, সাবেক মেম্বার খালেক ও তার দুই ছেলে রিপন এবং লিটনের সন্ত্রাসী বাহিনী আছে। তারা নিয়মিত পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে আসা মৎস্যজীবিদের কাছে চাঁদা দাবি করে। এসব নিয়ে ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে ওই গ্রুপের সাথে তাঁদের বিরোধ চলছে। বিরোধের জেরে বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় প্রতিপ তাদের উপর হামলা চালায়। শুক্রবার সকালেও তারা দুই ভাইকে গুলি করে আহত করেছে।

তার ভাষ্য, নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করেছে প্রতিপক্ষ। অতীতের ঘটনায় কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মেম্বরের ছেলে রিপন আলী জানান, প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের উপর হামলা করেছিল। সেজন্য তারাও প্রতিপক্ষকে পাল্টা ধাওয়া দিয়েছিলেন। সেসময় কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে। তবে গুলাগুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে এলাকাবাসীরা জানান, সকালে গুলাগুলির শব্দ শুনেছেন তারা। অতীতেও কয়েকবার সেখানে গুলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আকিবুল ইসলাম জানান, পূর্বশতত্রুতা ও সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।