ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের মহেশপুরে প্রতিপক্ষের হামলার সময় বিল্ডিং এর ছাদ থেকে গুলি চালিয়ে দুই হামলাকারী হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার বিকালে মহেশপুর উপজেলার নেপা ইউনিয়নের বাগাডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, শামীম হোসেন (৩৩) ও মন্টু মিয়া (৩২)। শামীম বাগাডাঙ্গা পল্লিআইট গ্রামের সামছুর রহমানের ছেলে ও মন্টু মিয়া একই গ্রামের নয়ন মন্ডুলে ছেলে।
এ ঘটনায় শামীমের বাবা শামসুল হক গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বাগাডাঙ্গা গ্রামের তরিকুল নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে বিরোধ ছিল শামীম হোসেন, রাফি ও মন্টু মন্ডলের। এ বিরোধের জেরে বুধবার বিকালে মন্টু ও শামীম তরিকুলের বাড়িতে হামলা করে। এসময় তরিকুল দৌড়ে বাড়ির ছাদে উঠে তাদের গুলি করে। গুলিতে মন্টু ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এসময় স্থানীয়রা আহত শামীম ও তার বাবা শামসুলকে উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শামীমকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ওবাইদুর ইসলাম জানান, কিছুদিন আগে শামীমের মাদকের চালান ধরিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে পল্লিআইট গ্রামের শামীম ও তরিকুলের মধ্যে মারামারি হয়। পরে শামীমের মামলায় তরিকুলকে হাজত খাটতে হয়। দুদিন আগে তরিকুল জেল থেকে জামিনে ফিরলেও শামীম গ্রæপের কারণে বাড়ি থেকে বের হতে পারছিলেন না। বুধবার বিকালে শামীম তার দলবল নিয়ে তরিকুলের বাড়িতে হামলা চালায়।
নেপা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুল আলম জানান, এরা সবাই চোরাকারবারি। প্রায়ই তরিকুল, শামীম, মন্টু ভারত যেতেন। এ বিরোধে হত্যাকান্ড ঘটেছে।
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদ বিন হেদায়েত বলেন, শামীমকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তার বুকে গুলির চিহ্ন আছে। তার বাবা শামসুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান জানান, হামলাকারীরা সবাই চোরা কারবারের সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।