রঙিন ফুলকফি আবাদের সম্ভাবনার কথা জানালেন কৃষক

0
103

স্টাফ রিপোর্টার

পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ রঙিন ফুলকফির পরীক্ষা মূলক আবাদ করে ছিলেন কৃষক বশির আহম্মদ। রঙিন কফির অভাবনীয় ফলন পেয়েছেন বলে জানালেন এ কৃষক। মৌসূমের শুরুর দিকে বাজারজাত করতে পারলে অনেক বেশী লাভ হত। অপর দিকে কফিতে রোগ বালাই আক্রমন কম হওয়ায় রাসায়নিকের ব্যবহার অনেক কম হত।

খোকসা উপজেলা সদরের পাতিলডাঙ্গী গ্রামের কৃষক বশির আহম্মদ। ইউটিউবে রঙিন কফির আবাদ দেখে উদ্বুদ্ধ হন। যোগাযোগ করেন উপজেলা কৃষি অফিসে। তাদের সহযোগিতার আশ্বাসে রঙিন ফুলকফির আবাদ করার জন্য ১০ কাঠা জমি তৈরী করেন। কিন্তু বিধিবাম এই প্রদশনী প্লটের চারা সরবরাহে বিলম্ব হয়ে যায়। অবশেষে তাকে হলুদ ও বেগুনী রঙের (পানামা বল হাইব্রিড জাতের ) দুই রঙের ১২ শ চারা সরবরাহ করা হয়। কৃষক শুধু মাত্র জৈবসার ব্যবহার করে অভাবনীয় ফলন পেয়েছেন। প্রতিটি কপি ১২ শ থেকে ১৫ শ গ্রাম পর্যন্ত ফলন হয়েছে। বর্তমানে স্বভাবিক কফি পাইকারী ১৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সেখানে রঙিন কফি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। কৃষকের উৎপাদিত রঙিন ফুলকফির বাজার মূল্য প্রায় ৩৬ হাজার টাকা হবে।

কৃষক বশির বলেন, পৌষ মাসের শেষের দিকে রঙ কপি বাজারে দিতে পারলে কৃষক অভাবনীয় ভাবে দাম বেশি পাবে। এ ছাড়া জমিতে যাব পোকার আক্রমন কম হবে। ফলে রাসায়নিকের ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে না। সম্পুর্ন জৈবসার দিয়ে এই সবজি ফসল ফলানো সম্ভব। মৌসুমের শুরুর দিকে প্রতিকেজি স্বাভাবিক ফুলকফি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সেসময়ে এই ১২শ রঙিন ফুলকফি বাজারের দিতে পারলে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা বিক্রি করা যেত।

সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রায়হান জানান, এ বছরই প্রথম রঙ কফির পরীক্ষা মূলক প্রদশনী প্লটটি করা হয়েছিল। রঙ কফিরমত সবজী চাষের জন্য এই এলাকার মাটি ও আবহাওয়া খুবই উপযাগী। রঙ কফির বাজারের চাহিদা বেশী। দামের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক কফির তুলনায় ২ গুন বেশী পাওয়া যায়।

তিনি আরও জানান, অনেক কৃষক ওই প্লটে গিয়ে রঙ কফির ফলন দেখে অবাক হয়েছেন। তাদের অনেকে রঙ কপি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। রঙ ফুলকপি একদিকে যেমন পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ। অন্যদিকে বাজারের দাম ও চাহিদা রয়েছে প্রচুর। রং কপির তরকারী গন্ধ হয় না। এই কপি টাটকা রান্না করলে এই পুষ্টিগুন অটুট থাকে।