কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিএনপির ১০ জন নেতা-কমী আহতে হয়েছেন।
শনিবার বিকাল ৪টা দিকে সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের কবুরহাট সর্দার পাড়া এলাকায় এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় নেতা-কর্মীরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। পুলিশ নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে ও গুলি চালায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অনুমতি না নিয়েই কবুরহাট এলাকায় কর্মসূচির আয়োজন করে স্থানীয় বিএনপি। সমাবেশে যোগ দিতে বিএনপি,যুবদল, ছাত্রদলসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কর্মসূচীস্থলে আসতে থাকেন। বিএনপি নেতাকর্মীরা নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বিশৃংখলা ঘটাতে পারে এমন তথ্যর ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে যায়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্যে করে বিএনপি,যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৩০ মিনিট চলা সংঘর্ষে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশের কঠোর পদক্ষেপে ঘটনাস্থল থেকে বিএনপিও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে থাকা জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, নিপীড়িত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সান্তনা দেওয়ার জন্য কেন্দ্র থেকে বিএনপি নেতাদের একটি দল কুষ্টিয়ায় আসেন। পুলিশের মৌখিক অনুমতিতে শহরের নবীন টাওয়ারে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে পুলিশ সমাবেশ বন্ধ করতে বলে। এবং ছোট পরিসরে অন্য কোথাও করার জন্য বলা হয়। সেই মোতাবেক কবুরহাটে যুবদল নেতা মজিদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে যায়। সেখানেও পুলিশ গিয়ে নেতাকর্মীদের মারধর শুরু করে। পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্যে করে গুলি ছোড়ে ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এতে প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১০ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, তারা অনুমতি ছাড়াই কর্মসূচী আয়োজন করেছিল। কর্মসূচীস্থলে পুলিশ দেখে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যে ধরনের ব্যবস্থা প্রয়োজন ছিল তা আমরা নিয়েছি।