দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন সরকারবিরোধী আন্দোলন আরও বেগবান হবে।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সংকট উত্তরণনের পথ’ শীর্ষক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে আমাদের সামনে ভয়ংকর সংকট। একদিকে রাজনৈতিক সংকট, অন্যদিকে অর্থনৈতিক সংকট। এই সরকার বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামোকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। আগেও করেছে, এখনও ভিন্ন কায়দায় করছে। এখন একটু শিক্ষিত হয়েছে, কিভাবে এটাকে ছদ্মবেশী আবরণ দেওয়া যায়। সেই আবরণ দিয়ে গণতন্ত্রের লেবাস পরিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সংবিধান কাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে। সত্যিকার অর্থে একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। অন্যদিকে সব অর্থনৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে। এখন দেশপ্রেমিক প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদরা কথা বলতে শুরু করেছেন। তারা দেখছে, এটা যদি চলতেই থাকে, তাহলে দেশের অস্তিত্ব থাকবে না।’
তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন দীর্ঘদিন করতে হয়েছে। নতুন সূর্যোদয় হবে। আমাদের আন্দোলন চলছে, সেটি আরো বেগবান হবে। জনগণ এই সরকারকে চায় না। আমাদের জনগণের এ চাওয়াকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে বাম-ডান সবাই এক হয়েছে। হটকারীতা করার কোনো কারণ নেই। আলোচনা করে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। এই লড়াইয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির অনেক কাজ করতে হবে। সবাই মিলে এই ফ্যাসিবাদি সরকারের পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। নীতি-নৈতিকতার চর্চা নেই। যা চলছে সব নীতিহীনতা। সিন্দাবাদের দৈত্যের কাছ থেকে গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হবে। এই দলের কাছ থেকে গণতন্ত্র একবার উদ্ধার করতে হয়েছিল। এখন গণতন্ত্র উদ্ধার করা আরো কঠিন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যপক আশরাফ আলী আকন, গণ-অধিকার পরিষদ (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক নুর প্রমুখ।