কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সেই গড়াই নদীর তীরে মাটি কাটার সময় অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নদীর তীর থেকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে মাটি কাটার অপরাধের চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন-খোকসা উপজেলার ওসমানপুর এলাকার ওহাবের ছেলে শাজাহান (৩২), সোলাইমানের ছেলে সোহেল রানা (৩১), বাবু শেখের ছেলে মিজানুর রহমান (৩০) এবং কুমারখালীর যদুবয়রা ইউনিয়নের হাঁসদিয়া এলাকার হযরত আলীর ছেলে আবু বক্কর (৪৩)।
এ তথ্য নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত বলেন, গড়াই নদীর তীরে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি থেকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে মাটি কাটার অপরাধে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে শাজাহান ও আবু বক্করকে ১০ দিনের এবং সোহেল ও মিজানুরকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন – ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ দুই নেতার রিমান্ড মঞ্জুর
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে গড়াই নদীর বালু উত্তলনের সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে বলা হয় কুমারখালীতে গড়াই নদীর তীর থেকে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। প্রতিদিন শত শত গাড়ি মাটি চলে যাচ্ছে অবৈধ ইট ভাটায়। এতে হুমকিতে পড়েছে নদীর পাড়, প্রামীণ সড়ক ও কৃষি জমি। আইন অমান্য করে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় এভাবেই নদী তীরের মাটি কাটার মহোৎসব চলছে।
আরও পড়ুন – কুষ্টিয়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে শর্টগান ও গুলি উদ্ধার
স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছু অসাধু ব্যক্তি নদীর কুল থেকে ব্যক্তি মালিকানাধীন ও সরকারি খাস জমির মাটি কেটে তা ইট ভাটায় বিক্রি করছেন। গত ২৯ নভেম্বর থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী জামাল, মিঠু ও যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ইউপি সদস্য আবুল কালাম প্রকাশ্যে মাটি কেটে সেলোইঞ্জিন চালিত অবৈধ লাটাহাম্বা গাড়িতে তুলে বিভিন্ন ইটভাটায় নিয়ে বিক্রি করছেন। এতে হুমকিতে পড়েছে নদীর পাড় ও কৃষি জমি। ভেঙে যাচ্ছে গ্রামীণ সড়ক।