তৃতীয় স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

0
61

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। থানা পুলিশ গলায় কাপড় পেঁচানো অবস্থায় স্ত্রীর এবং ঝুলন্ত অবস্থায় স্বামীর মরদেহ তাদের নিজ কক্ষ থেকে উদ্ধার করে। নিহতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় স্ত্রীকেও একই ভাবে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।

ওই দম্পতির নাম মোঃ ফরিদুল ইসলাম (৭৪) ও রাবিয়া খাতুন (৫৫)। নিহত রাবিয়া ফরিদুলের তৃতীয় স্ত্রী। নিহত ফরিদুল প্রায় ১ যুগ আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যা করে নিজ গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে এসে এখানে বসবাস শুরু করেন বলে দ্বিতীয় স্ত্রী ছেলে অভিযোগ করেন।

বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের চড়দামুকদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে ফরিদুল ইসলাম রাজশাহীর পুটিয়া থেকে এসে ভেড়ামারার মেয়ে রাবিয়া খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় বসবাস করে। ২০২৩ সাল থেকে তারা ভেড়ামারার চরদামুকদিয়া গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নিজ ঘরের দরজা লাগিয়ে দেয়। সকাল ১০টার দিকে রাবিয়ার ছোট ছেলে শরিফুল তাদের ডাকলে সাড়া শব্দ বা পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে দেখতে পায় ফরিদুল ইসলাম ঘরের চালার বাঁশের সাথে ঝুলছে।

পরে তারা ৯৯৯ দেয় ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এলাকাবাসীকে নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তাদের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় তারা রফিকুলকে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং রাবিয়া খাতুনকে গলায় কাপড় পেঁচানো, মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত ও মুখমন্ডল রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে মরদেহ দুটি প্রথমে থানায় নিয়ে যাওয়া।

ফরিদুলের দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান আব্দুল আলীম সবুজ বলেন, তার বাবা ২০১২ সালে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকেও হত্যা করেছিল। পরবর্তীতে সে পালিয়ে ভেড়ামাড়ায় চলে আসেন। সবুজ তার বাবার লাশ নিতে অস্বীকৃতি জানায়।

আরও পড়ুন – আন্ত:জেলা চোর চক্রের ৩ সদস্য আটক, ইজিবাইক উদ্ধার

ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করি। ধারণা করছি স্ত্রীকে আঘাত ও ফাঁস দিয়ে হত্যার পর রফিকুল নিজে আত্মহত্যা করেছেন। সেখানেই সুরতহাল রিপোর্ট করে থানায় নিয়ে আসা হয়।