সরকারী জমিতে ঘর নির্মাণের অভিযোগ

0
48

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে আধাপাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে। উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের জোতভালুকা-নগরকয়া পানি প্রবাহ খালের পূর্বাশা ভালুকা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, খালের পাড় দিয়ে কয়েকটি গ্রামের শত শত বিঘা জমির ফসল নিয়ে চলাচল করে কৃষক ও নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। তবে চলার পথে আধাপাকা ঘর নির্মাণ করেছেন রবিউল। এতে চলাচলের পথ সংকীর্ণ হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।

শনিবার (২৪ মে) সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জোতভালুকা-নগরকয়া পাউবো সেচ খালের পূর্বাশা ভালুকা এলাকায় ছোট কালভার্ট রয়েছে। কালভার্টের পাশে খালের পাড় দখল করে আধাপাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট অংশ দিয়ে চলাচল করছে মানুষ।

এ সময় আবুল হোসেনের ছেলে কৃষক জামাল উদ্দিন বলেন, পাউবোর কর্তারা লাল পতাকা টাঙিয়ে ঘর করতে নিষেধ করেছিল। তবুও সরকারি খালে রাস্তার জমি দখল করে ঘর করেছে রবিউল। এতে কৃষকদের ফসল বোঝায় গাড়ি ঘোড়া নিয়ে চলাচলে করতে সমস্যা হচ্ছে।

পূর্বাশা ভালুকা মাঠে প্রায় তিন বিঘা জমির চাষ কামাল উদ্দিনের। তিনি বলেন, খালের পাড়ের রাস্তা দিয়ে মানুষ, জমি চাষাবাদের যন্ত্র ও ফসলাদি পরিবহনের যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু পথ সংকীর্ণ করে ঘর করায় স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দ্রæত রাস্তা থেকে ঘরটি অপসারণের দাবি জানান তিনি।

কৃষক রবিউলকে পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার স্ত্রী বলেন, খালের জমির অল্প একটু নিয়ে রান্নাঘর তৈরি করা হয়েছে। এতে জনগণের সমস্যা হওয়ার কথা না।

ঘরটি সরকারি জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ইয়ামিন হক। তিনি বলেন, স্থানীয়দের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকদিন আগে ঘর করতে নিষেধ করে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছিল। শনিবার সকালে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। খুব দ্রæতই জমি মেপে ঘরটি অপসারণ করা হবে।

আরও পড়ুন – ব্যবসায়ীর কাছে ফোনে চাঁদা দাবি, সিমের মালিক আটক

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, সরকারি জমি দখলের সুযোগ নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।