স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ত্রানের দু’শ বান্ডিল ঢেউটিন চুরির অভিযোগ তুলে উপজেলা বিএনপির সভাপতির দেওয়া বিস্ফোরক বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের ভবানীগঞ্জ বাজারে তাকের রহমানের ৩১ দফার লিপ্লেট বিতরণ কর্মসূচি শেষে এক পথা সভায় উপজেলার বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন খান তার বক্তব্যে দাবি করেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিস উজ্জ জামান স্বপনের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ১/১১ সময় যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে আত্মসাত করা সরকারী ত্রানের ২’শ বান্ডিল ঢেউটিন উর্দ্ধার করে। এই ভিডিওতে তিনি আরও বলেন, কুষ্টিয়া – ৪ খোকসা-কুমারখালী আসনে সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমী নির্বাচিত হলে আনিস তার ভাই কাজল সরদার, শরিফ ও সৈয়দ আমজাদ আলী (সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি) সুবিধা পাবে। জনগন শুবিধা পায় না।
এই পথসভায় দেওয়া ভিডিওতে সাড়ে ছয় মিনিটের বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন খানকে আরও বলেন, কুষ্টিয়া – ৪ খোকসা – কুমারখালী আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমী নিজে বিভিন্ন বক্তব্যে আসন্ন নির্বাচনে এ আসনে প্রার্থী হিসেবে গ্রীন সিগনাল পেছেন বলে আসছেন। তার দাবি ভিত্তিহীন ভিত্তিহীন বলেও তিনি দাবি করেন।
ভিডিও বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতিকে বলতে শোনা যায়, সৈয়দ মেহেদী রুমী দুই বার এমপি হয়েছেন। তার হাতে এলাকার উন্নয়ন হয়নি। “সেই সময়ে আমাদের সরকারের সব উন্নয়ন প্রকল্প তারা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছে”। এতে লাভ হয়েছে সাবেক সভাপতি সৈয়দ আমজাদ আলী, সাধারণ সম্পাদক আনিস উজ্জ জামান গংদের। জনগনের কোন লাভ হয় নি। দলীয় শৃঙ্খলা না থাকায় সরকারী সম্পত্তি লুটপাট করা হয়। তাদের মনোনয়ন না দিয়ে জনগনের সাথে যারা আছেন তাদের মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি আহবার জানান এই নেতা।
পথ সভায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিস উজ্জ জামানের বিরুদ্ধে সরকারী টিন চুরি ও আধিপত্যবাদ বিস্তারের বিষয়ে দেওয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন খানের বক্তব্যের ভিডিওতে হাজার হাজার দর্শক ও পাঠক বিরুপ মন্তব্য করেছেন। সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে স্থানীয় বিএনপির পাল্টা পাল্টি অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
উপজেলা বিএনপির সদ্য বিদায়ী আহবায়ক কমিটির এক যুগ্ন আহবায়ক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দলের সিনিয়র নেতাদের সহনশীল হওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি মনে করেন, দলীয় সৃষ্টাচার না থাকলে সিনিয়র জুনিয়র সবার ঘারে দায় ভার এসে পরবে।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিস উজ্জ জামান বলেন, তিনি ফেসবুকে তার কমিটির সভাপতির দেওয়া বক্তব্য দেখেছেন। উনি যা করেছেন তার দায়িত্ব উনার।
এ নেতা আরও বলেন, আমি নিজেকে তো আর নিজে সাটিফাই করতে পারিনা। ফেসবুকেই মানুষ উত্তর দিচ্ছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন খান বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যারা কাজ করেছেন এবং করছেন তাদের শতর্ক করার জন্য তিনি সত্য ঘটনা তুলে ধরেছেন। দলকে বিপদে ফেলার কারন ছিলো সৈয়দ মেহেদী রুমী আনিস গং। তাদের লোভ ও ভুলের কারণেই ১৭ বছর বিএনপির কর্মীরা আওয়ামী দুরশাসনের শিকার হয়েছে।
তিনি বলেন, মনোনয়ন দেওয়ারও একটা নিয়ম আছে। এখনো নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা হলো না, দল এখই কাউকে ঘুম থেকে ডেকে মনোনয়ন দেবে না। সাবেক সংসদের বিরুদ্ধে মনোনয়ন নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ করেন তিনি।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন খান মনে করেন, দলের মধ্যে সংস্কার হওয়া উচিৎ। তার পর জনগনের সাথে সম্পৃক্তদের মনোনয়ন দেওয়া উচিৎ।
এ ব্যাপারে সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমির সাথে কথা বলার জন্য তার মুঠো ফোনে কল করা হয়। তিনি ফোন রিসিভ করেনি।






