লাঠিচার্জের পর গ্রেফতার করা হলো রাহুল গান্ধিকে

0
115
সংগৃহিত ছবি
দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক
রাহুল-প্রিয়াঙ্কার আগমনের খবর শুনেই উত্তরপ্রদেশে ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছিল রাজ্য প্রশাসন। কোভিড বিস্তার রোধে সেখানে বাহির হতে কারো রাজ্যে প্রবেশ ঠেকাতেই এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ফলে রাহুলকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার কথা জানানো হলে রাহুল পাল্টা পুলিশের বিরুদ্ধে ১৪৪’র অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে নেতাকর্মীদের নিয়ে ১৪৪ ভেঙ্গে হাথরসের দিকে রওয়ানা হন।

কংগ্রেসের সূত্র মতে, আগে থেকেই রাহুল-প্রিয়াঙ্কার হাথরসে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তারপরেই সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে বিজেপি প্রশাসন। হাথরসের জেলা প্রশাসক পি লস্কর জানিয়েছেন, রাহুল- প্রিয়াঙ্কার সফরের কোনও খবর স্থানীয় প্রশাসনের কাছে নেই।

গ্রেফতারের আগে রাহুল গান্ধী সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ আমাকে আঘাত করেছে। ধাক্কা দিয়েছে। আমার উপর লাঠিচার্জ করা হয়েছে। মাটিতে ফেলে দিয়েছে আমাকে। আমি জানাতে চাই, শুধু কি নরেন্দ্র মোদি দেশে হাঁটতে পারবেন? সাধারণ মানুষ কি দেশে চলাফেরা করতে পারবে না? আমাদের গাড়ি থামিয়ে দেয়া হয়েছে। তাই আমরা পায়ে হেঁটে হাথ্রাসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছি।

গণ ধর্ষণের শিকার হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন দলিত সম্প্রদায়ের ওই নারী। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে দিল্লির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার তিনি মারা যান। ওইদিন রাতেই তড়িঘড়ি করে তার শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন করে পুলিশ। তার মৃত্যুর পরই ভারতজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে; যা ধীরে ধীরে বিক্ষোভে রূপ নেয়।

কংগ্রেস নেতাদের রোড মার্চের খবরে করোনাকে ইস্যু বানিয়ে জনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে উত্তর প্রদেশে পুলিশ। রাজ্যের প্রবেশ পথে দেয়া হয় ব্যারিকেড। পরে রাস্তা দখলে নিয়ে স্লোগান দিয়ে এগিয়ে যায় কংগ্রেস নেতারা। কিন্তু গ্রেটার নোইদায় পৌঁছানোর পর তাদের গাড়িবহর আটকে দেয়া হয়; যা হাথ্রাস থেকে ১৪২ কিলোমিটার দূরে। পরে রাহুল গান্ধীসহ নেতাকর্মীরা গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেটে হাথ্রাসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।