দ্রোহ ডেস্ক
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে মুস্তাফিজুর, নাহিদুলদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে খুলনাকে গুঁড়িয়ে দিল চট্টগ্রাম।
শনিবার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে জেমকন খুলনাকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। খুলনাকে ৮৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে চট্টগ্রাম জিতে যায় ৩৮ বল বাকি থাকতে।
খুলনার বিপক্ষে এদিন মুস্তাফিজুর ৩.৫ ওভারে মাত্র ৫ রান করেন। বাঁহাতি এই পেসারের শিকার হয় ৪ উইকেট। নতুন বলের অফ স্পিনে ৪ ওভারের টানা স্পেলে ১৫ রান দিয়ে নাহিদুলের প্রাপ্তি ২ উইকেট।
এই নিয়ে নিজেদের দুই ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে একশর নিচে আটকে ফেলল চট্টগ্রাম। আগের ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে ৮৮ রানে থামিয়ে ৯ উইকেটে জিতেছিল তারা।
চট্টগ্রামের আগের ম্যাচের মতো এ দিনও মোহাম্মদ মিঠুনের অধিনায়কত্ব ছিল নজরকাড়া। প্রতিপক্ষ বাজে ব্যাটিং করেছে বটে। তবে মিঠুনের বোলিং পরিববর্তন, মাঠ সাজানো, চাপ ধরে রাখা, এসব চোখে পড়ার মতোই।
খুলনার দুর্দশার শুরু প্রথম ওভার থেকেই। রান নেওয়ার চেষ্টায় এনামুল হক ও সাকিব চলে যান এক প্রান্তে। মোহাম্মদ মিঠুনের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে ফেরেন এনামুল।
তৃতীয় রান নিয়ে সাকিব পূরণ করেন টি-টোয়েন্টিতে ৫ হাজার রান। সঙ্গে সাড়ে তিনশ উইকেটের ডাবলও অর্জন করেন তিনি। কিন্তু রাঙাতে পারেননি উপলক্ষ। ওই ৩ রানেই নাহিদুলকে ওড়াতে গিয়ে ধরা পড়েন মিড অনে।
মিডল অর্ডারেও দাঁড়াতে পারেননি কেউ। নাহিদুলের সোজা বল ফ্লিক খেলে এলবিডব্লিউ হন মাহমুদউল্লাহ। তাইজুল ইসলামকে টানা দুই বলে চার-ছক্কায় শেকল ভাঙার চেষ্টা করেন জহুরুল ইসলাম। কিন্তু ওই ওভারেই তিনি স্টাম্পড দারুণ ডেলিভারিতে।
তিনে নেমে ইমরুল কায়েস টিকে ছিলেন কিছুক্ষণ। তিনিও ফিরে আসেন তাইজুলের বলে। প্রথম দুই ম্যাচে শূন্য রানে ফেরার পর এবার অবশ্য ২৬ বলে ২১ রানের স্বস্তি পেয়েছেন ইমরুল।
আগের দুই ম্যাচে দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে উদ্ধার করেছিলেন আরিফুল হক। এবার তিনিও পারেননি ভালো কিছু করতে ৩০ বলে ১৫ রান। খুলনাও তাই পারেনি লড়ার মতো রান তুলতে।
টুর্নামেন্টে চট্টগ্রামের এটি টানা দ্বিতীয় জয়, ফেভারিট হিসেবে আসর শুরু করা খুলনার তিন ম্যাচে দ্বিতীয় হার।