আওয়ামী লীগ নেতার উপর হামলার ঘটনায় মামলা হলো

0
31
প্রতিকী ছবি

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেনকে তুলে নিয়ে ঘরে আটকে নির্যাতান করার ঘটনায় দায়ের করা মামলা থানা পুলিশ রেকর্ড করেছে। এই মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতিকে আসামী করা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেন দলটির সাধারন সম্পাদক।

আওয়ামী লীগ নেতাকে তুলে নিয়ে নির্যাতন চালানোর ঘটনায় জড়িতদের নামে মামলা রেকর্ডসহ অপরাধিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ফুসে ওঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির অংশের নেতাকর্মীরা। হামলার ঘটনার ৩৬ ঘন্টা পর অবশেষে শুক্রবার রাতে থানা মামলা রেকর্ড হয়েছে।

আহত আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসেনের ছেলে সজীব হোসেন বাদি হয়ে দায়ের করা নতুন এজাহারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি রহিম উদ্দিন খানকে ১ নম্বর আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় অন্য আসামীদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিমুল খান, প্রধান আসামী রহিম উদ্দিন খানের দুই ছেলে রবিন খান ও সিয়াম খান, ভাতিজা শফর আলী খান, সৈকত, সুমন, রবিন, শিহাব ও কামরুল ইসলাম সুমন। শনিবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ মামলার আসামীরা আটক হয়নি।

মামলার বাদি সজীব হোসেনকে পাওয়া যায়নি। তার বাবা হামলার শিকার আলমগীর হোসেন বলেন, এজাহারের তার উপর প্রধান নির্যাতন কারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানের নাম থাকায় পুলিশ মামলা রেকর্ডে ৩৬ ঘন্টায় সময় কাটালো। অবশেষে তার ছেলে সজীব ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আখতার মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি এটুকুই জানেন। তবে প্রধান আসামীকে বাদ দেওয়ায় তিনি ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র তারিকুল ইসলাম বলেন, কথিত হামলার ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি রহিম খানকে মিথ্যা মামলার আসামী করা হয়েছে। ঘটনার সাথে রহিম উদ্দিন খানের কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই। তার নামে মামলা দুঃখ জনক বলে মনে বলে মন্তব্য করেন এই নেতা। সিনিয়র সহসভাপতি রহিম উদ্দিন খান উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন। এ সময় তার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি এ ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আননুর যায়েদ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীরের উপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল আকতারের এক পথসভায় বক্তব্য রাখার সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন জেলা আওযামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খানকে প্রতিহত করার ঘোষানা দেন। এ ক্ষোভ থেকে তার উপর হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা আলমগীর হোসেন ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে শোমসপুর বাজারের অদূরে হালিমের ধানের চাতালে আসেন। কিছু সময় পর বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ভাই ভাতিজারা ৩/৪টি মোটর সাইকেল নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। সংগত কোন কারণ ছাড়াই তারা আলমগীরকে জোর করে মটোরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। তাকে জেলা সভাপতির বাড়ির দোতলার একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জেলা সভপতি নিজে তাকে (আলমগীরকে) শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। অস্ত্রের ভয় দেখায়।