কুষ্টিয়ায় দুই চরমপন্থীর মৃত্যুদন্ড ও চারজনের যাবজ্জীবন

0
104

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় গরুর হাটের টেন্ডারবাজী এবং একটি স্কুলের নিয়োগ কেন্দ্র করে দ্ব›েদ্বর জেরে একজনের দেহ থেকে মাথা বিছিন্ন করে নৃশংসভাবে হত্যার দায়ে দুই চরমপন্থীকে মৃত্যুদন্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের প্রত্যেককে অর্থদন্ড দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দন্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জমির জোয়াদ্দার নামের অপর এক আসামী পলাতক রয়েছেন।

কুষ্টিয়া জজ আদালতের কৌসুলী (পিপি) অ্যাডঃ অনুপ কুমারনন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী সজিব বিশ্বাস কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার মৃত্তিকাপাড়া গ্রামের আদিল উদ্দিনের ছেলে। অপর মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম একই উপজেলার বালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত জানে আলীর ছেলে। যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামী জমির জোয়াদ্দার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার কমিরপুর গ্রামের মৃত ওয়াহেদ জোয়াদ্দারের ছেলে, সদর উদ্দিন বালিয়া পাড়া গ্রামের মৃত মকছেদ আলী মন্ডলের ছেলে, আনিচুর রহমান একই এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে এবং সুমন আলী দিদার আলীর ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গরুর হাটের টেন্ডারবাজী এবং একটি স্কুলের নিয়েগ বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালে পহেলা জানুয়ারী গভীররাতে চরমপন্থী সন্ত্রাসীরা ফিরোজ মোল্লা নামের এক ব্যাক্তিকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যাকরে। নিহতের দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে আলামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গেটে ঝুলিয়ে রেখে যায়। এ ঘটনার পরের দিন কুষ্টিয়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় চরমপন্থী দল পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টিও নেতা রফিকুল এবং সজিবকে গেস্খপ্তার করলে তারা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ফিরোজ মোল্লাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং এই হত্যারঘটনার সাথে জড়িতদের নাম-পরিচয় পুলিশের কাছে প্রকাশ করে।

দীর্ঘ শুনানী শেষে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞবিচারক জনাকীর্ন আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন।