কুষ্টিয়ায় ঢাকা ফেরৎ পুলিশ ও ব্যাংকারের করোনা সনাক্ত

0
101
droho 10 p 4
প্রতিকী ছবি।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় এবার ঢাকা ফেরৎ এক পুলিশ কনস্টেবল ও এক ব্যাংকারের করোনা সনাক্ত হয়েছে।

আক্রান্তদের একজন পুলিশ কনস্টেবল। তিনি দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের ইউনুস মল্লিকের ছেলে একরামুল হক (৩৬)। অপরজন কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের জুগিয়া কদমতলা পুকুরপাড় এলাকার ব্যাংকার নওশাদ হোসেন।

শনিবার রাতে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম এই দুজনের করোনা সনাক্তের তথ্য নিশ্চিত করেন।

সিভিল সার্জন জানান, কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে শনিবার ৬০ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে ঢাকা ফেরৎ পুলিশ কনস্টেবল ও ব্যাংকারের করোনা পজিটিভ এসেছে।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান জানান, একরামুল হক ঢাকায় পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সম্প্রতি তার ঢাকা থেকে অন্যত্র বদলীর আদেশ হয়। তিনি শুক্রবার ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি দৌলতপুর আসেন। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা শনিবার সকালে তার নমুনা সংগ্রহ করে। রাতে রিপোর্ট পাওয়া যায় পজিটিভ।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, করোনা সনাক্ত হওয়ার পর রাতেই ওই পুলিশ সদস্যের বাড়ি ছাড়াও আশে পাশের এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

অপরদিকে ঢাকার একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের জুগিয়া কদমতলা পুকুরপাড় এলাকার নওশাদ হোসেন গত ৮ মে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ায় আসেন। শরীরে উপসর্গ দেখা দেয়ায় শনিবার সকালে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রাতে পরীক্ষার রিপোর্ট আসে পজিটিভ।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন চৌধুরী জানান, রাতেই আক্রান্ত ওই বাড়িসহ আশে পাশের এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। আক্রান্ত দুজনই বর্তমানে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

দৌলতপুর উপজেলায় একের পর এক ঢাকা থেকে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের ঘটনায় মানুষের মধ্যে চরম উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকা সত্বেও আক্রান্ত ঢাকা ফেরৎ ব্যক্তিদের দৌলতপুর উপজেলায় আগমন কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না।

এ নিয়ে কুষ্টিয়া জেলায় ২৪ জন কোভিড সংক্রমিত ব্যক্তি সনাক্ত হল। সর্বাধিক ১০ করোনা আক্রান্ত রয়েছেন দৌলতপুর উপজেলায়। এ উপজেলায় ঢাকা ফেরৎ দম্পতির সংখ্যা ৩ জোড়া। এছাড়া, ভেড়ামারায় ২, মিরপুর ৪, কুষ্টিয়া সদর ২, কুমারখালী ৫ এবং খোকসা উপজেলায় ১ জন (ঢাকা ফেরত) আক্রান্ত রোগী রয়েছেন।