খোকসায় গৃহবধূকে যৌন নির্যাতন করায় পুলিশ সোর্স আটক

0
247
Polic-suman-khoksa-28-p-1

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসায় গৃহবধূকে লাগাতার যৌন নির্যতনের প্রতিকার না পেয়ে এবার এক পুলিশ সোর্সকে পিটিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে এলাকাবাসী।

রবিবার দুপুরে উপজেলা সদরের পৌরসভার কালীবাড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।

গৃহবধূর বাবার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে উপজেলা সদরের রাজিনাথপুর গ্রামের এক ভ্যানচালক ও প্রান্তিক কৃষিকের সাথে তাদের মেয়ের বিয়ে হয়। গৃহবধূর স্বামীর বাড়ির পাশে এক মাদক কারবারী ধরাকে কেন্দ্র করে মুসলমান ওই গৃহবধূর সাথে খোকসা থানা পুলিশের সোর্স সুমন শীলের স্বক্ষতা গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে এক সন্তানের জননী গৃহবধূর সাথে প্রেমের সর্ম্পক গিয়ে পৌচ্ছায়।

সম্প্রতি সোর্স সুমনের অত্যাচারের অতিষ্ট হয়ে গৃহবধূকে বাবার বাড়ি খোকসার কালীবাড়ি পাড়ায় পাঠিয়ে দেয় স্বামী। গৃহবধূ ও তার বাবা ৪ দফায় থানা পুলিশের কাছে সোর্স সুমনের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে ধর্নাদেয়। এক পর্যায়ে তারা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন করে, প্রতিকার আর হয়নি।

অবশেষে রবিবার দুপুরে ক্ষমতাধর পুলিশ সোর্স থানা পুলিশের এক এসআই এর মোটর সাকইকেল নিয়ে গৃহবধূর বাবার বাড়ি হানা দেয়। সে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকী দেয়। এ সময় গ্রামবাসী পুলিশ সোর্স সুমনকে আটকে গন ধোলায় দেয়। এ পর্যায়ে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল তাদের সোর্স সুমনকে হেফাজতে নিয়ে যায়।

এ সময় গৃহবধূর পরিবারের লোকেরা অভিযোগ দিতে থানায় যেতে চাইলে অভিযানের নেতৃত্বে থাকা পুলিশের এসআই রাজিব জানান পরে তাদের থানায় ডাকা হবে।

গৃহবধূর বাবা মা ভাইসহ এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, পুলিশ সোর্স সুমন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক। অথচ সে ওই গৃহবধূকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার ঘোষনা দিয়েছে। এ ছাড়া গৃহবধূর দ্বিতীয় সন্তানটিকে নিজের বলেও দাবি করছে সুমন। এলাকার পরিবেশ নষ্ট করায় গ্রামবাসী তাকে আটকে পুলিশে দিয়েছে।

সুমন জানায়, রবিবার দুপুরে সে কালিবাড়ী এলাকায় অন্য কাজে আসে কিন্তু ওই গৃহবধূর বাপ ভাই তাকে আটকে মারপিট করেছে।

সোর্স উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া পুলিশের এসআই রাজিব সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, থানা পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিক বার সুমনকে কালিবাড়ি এলাকায় না যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তার পরেও সে গেছে, এ জন্য তাকে ধরে থানার গারদে রাখা হয়েছে। তিনি মটোরসাইকেলটি ধোয়ার জন্য সুমনকে দিয়ে ছিলেন, কিন্তু সুমন সেই সাইকেল নিয়ে কোথায় গেছে সেটি তার দেখার বিষয় না। এ ছাড়া তিনি অভিযোগের তদন্তের দায়িত্বে না থাকলেও নিজে উদ্যোগ নিয়ে স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছেন বলেও দাবি করেন।