ঢাকায় ভিন্নমাত্রার ১৪ দিনের প্রাথমিক লকডাউন শুরু

0
109
Dhaka-Dro-10-p-1

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ঢাকার পূর্ব রাজাবাজারে ভিন্নমাত্রার লকডাউন শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ লাকডাউন চলবে আগামী ১৪ দিন। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খানের পক্ষ থেকে লকডাউন শুরুর কথা নিশ্চিত করা হয়।

পূর্বঘোষিত এই ১৪ দিনের লকডাউনের ফলে পূর্বরাজাবাজারে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষকে গৃহবন্দী হয়ে থাকতে হবে। মহানগরের ছোট এই এলাকাটিতে ৩১ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে পূর্ব রাজাবাজার দিয়ে শুরু করা হলেও পর্যায়ক্রমে ঢাকা মহানগরকে লাল, হলুদ ও সবুজ এলাকায় বিভক্ত করে শুরু করা হবে লকডাউন

মঙ্গলবার বিকালে ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, লকডাউন চলাকালে পূর্ব রাজাবাজার এলাকার স্থানীয়রা বাইরে যেতে পারবেন না এবং বাইরের মানুষ এলাকার ভিতরে ঢুকতে পারবেন না। এলাকায় আটটি প্রবেশপথের মধ্যে একটি খোলা থাকবে (গ্রিন রোড, আইবিএ হোস্টেলের পাশে) । লকডাউন চলাকালে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী অনলাইনের মাধ্যমে কেনা যাবে, যা বাসায় পৌঁছে দেওয়া হবে। এটুআই ও ইক্যাব যৌথভাবে এটি পরিচালনা করবে।

হোম ডেলিভারির জন্য একদল প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী থাকবে। যাদের অনলাইন সুবিধা নেই, নগদ অর্থে খাদ্যসামগ্রি কিনতে চান, তাদের জন্য নির্ধারিত ভ্যানে শাক-সবজি, মাছ-মাংস বেচাকেনার সুবিধা থাকবে। এ জন্য ভ্যানচালক ও পণ্যসামগ্রী সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত করে ঢুকতে দেওয়া হবে। কর্মহীন, অসহায় ও দুঃস্থ মানুষদের তালিকা অনুযায়ী ত্রাণসামগ্রি সরবরাহ করা হবে। রোগীদের জন্য টেলিমেডিসিন সেবা চালু থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে। গুরুতর রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারবে। জরুরি সেবার কর্মীরা এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন। বিশেষ পরিচ্ছন্নতা দল থাকবে ।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের জন্য এলাকার নাজনীন স্কুল এন্ড কলেজে বুথ স্থাপন করা হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। লকডাউন বাস্তবায়নে নাজনীন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ডিএনসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা মহানগর পুলিশ, এটুআই, ই-কমার্স অব বাংলাদেশ (ইক্যাব) এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিকে নিয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে। প্রয়োজনীয় ফোন নম্বরও থাকছে। এর মধ্যে ত্রাণের জন্য ৩৩৩ নম্বরে ফোন করা যাবে।