তারেকসহ দন্ডিত ১৬ জন এখনও পলাতক

0
100
তারেক রহমানের ফাইল ছবি

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলায় দন্ডিত ৩৩ আসামি কারাগারে থাকলেও এখনও পলাতক রয়েছেন ১৬ জন।

দুই বছর আগে মামলার রায় হলেও আগে থেকেই তারেক রহমানসহ দন্ডিত এই আসামিরা পলাতক। যাদের অবস্থান জানা, তাদের ফেরানো আর যাদের অজানা, তাদের হদিসও বের করতে সফল হয়নি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

২০০৪ সালে শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মামলায় নানা প্রতিকূলতা পেরুনোর পর ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর রায় দেয় বিচারিক আদালত।

ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রায়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদন্ড দেয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদন্ড।  বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড হয় আরও ১১ জনের।

রায়ের সময় আসামিদের মধ্যে ৩১ জন কারাগারে ছিলেন; পলাতক ছিলেন ১৮ জন। পরে দন্ডিত দুই পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে আত্মসমর্পণ করায় ১৬ জন থাকেন পলাতক। তারেক ছাড়া পলাতকরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (যাবজ্জীবন), কুমিল্লার মুরাদনগরে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ (যাবজ্জীবন), অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার (২ বছর কারাদন্ড), ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এ টি এম আমিন আহমদ (২ বছর কারাদন্ড), হানিফ পরিবহনের মালিক মোহাম্মদ হানিফ (মৃত্যুদন্ড), ইকবাল (যাবজ্জীবন), জঙ্গিনেতা মাওলানা তাজউদ্দিন (মৃত্যুদন্ড), মহিবুল মুত্তাকিন (যাবজ্জীবন), আনিসুল মোরসালিন (যাবজ্জীবন), মোহাম্মদ খলিল (যাবজ্জীবন), মাওলানা লিটন (যাবজ্জীবন), জাহাঙ্গির আলম বদর (মৃত্যুদন্ড), মুফতি শফিকুর রহমান (যাবজ্জীবন), মুফতি আব্দুল হাই (যাবজ্জীবন) ও রাতুল আহমেদ বাবু (যাবজ্জীবন)।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক দশক ধরেই যুক্তরাজ্যে রয়েছেন সপরিবারে। তাকে ফেরত আনতে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বিভিন্ন সময়ে সরকার বলেছে। তবে তা আলোর মুখ দেখেনি। হারিছ চৌধুরী, হানিফের ছবিসহ রেড নোটিশ এখনও রয়েছে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে। ও মাওলানা তাজউদ্দিন ও রাতুলের নাম থাকলেও ছবি নেই। তারেক ও কায়কোবাদের নাম রেড নোটিশ উঠলেও পরে তা তুলে ফেলে ইন্টারপোল।

তাজউদ্দিন দক্ষিণ আফ্রিকা অথবা পাকিস্তানে, রাতুল দক্ষিণ আফ্রিকায়, হারিছ চৌধুরী মালয়েশিয়া, আমেরিকা অথবা লন্ডনে ঘুরে ফিরে অবস্থান করছেন বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে।

আরও পড়ুন-আমার বেটা ষোলডা বছর বাড়ি আসে না

আরও পড়ুন-আজ ভয়াল একুশে আগস্ট

কায়কোবাদ মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে, হানিফ থাইল্যান্ড অথবা মালয়েশিয়ায়, সাবেক সেনা কর্মকর্তা এটিএম আমিন যুক্তরাষ্ট্রে ও সাইফুল জোয়ারদার কানাডায়, জঙ্গি আনিসুল মুরসালিন ওরফে মুরসালিন ও মহিবুল মুত্তাকিন ভারতের বিহার কারাগারে রয়েছে বলে কর্মকর্তাদের ধারণা। বাকিদের বিষয়ে কোনো ধারণা নেই গোয়েন্দাদের।