পাবনা-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী নূরুজ্জামান

0
114
nurazaman-p4-droho-1
পাবনা-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী নূরুজ্জামান

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি

ঈশ্বরদী-আটঘোরিয়া, পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে নূরুজ্জামান বিশ্বাস আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।

রবিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে নূরুজ্জামান বিশ্বাসের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বোর্ড মিটিংএ মনোনয়ন টি চুড়ান্ত করা হয়। এ সভায় অন্যান্য সদস্যরা যোগ দেন।

গণভবনে বৈঠক শেষে দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে ঢাকা-৫, ঢাকা-১৮, সিরাজগঞ্জ-১ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচনের দলীয় প্রার্থীর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এ সময় এই চারটি আসনের প্রার্থী মনোনয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার উপর অর্পণ করেন মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন দলীয় সভাপতি।

পাঁচটি আসনের উপনির্বাচনের জন্য মোট ১৪১ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী দলীয় মনোনয়নপত্রের ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে পাবনা-৪ আসনের জন্য মনোনয়ন চেয়েছিলেন এই আসনের সদ্য প্রয়াত এমপি ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েসহ ২৮ জন। এই অবস্থায় প্রয়াত এমপির পরিবারের বাইরের কাউকে দলীয় প্রার্থী করা হলো।

এছাড়া ঢাকা-১৮ আসনে ৫৬ জন, নওগাঁ-৬ আসনে ৩৪ জন, সিরাজগঞ্জ-১ আসনে ৩ জন এবং ঢাকা-৫ আসনে ২০ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন-কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আওয়ামী লীগ নেতা সন্ত্রাসী হামলায় নিহত

আরও পড়ুন-সন্তান হত্যার বদলা নিলাম-মজিবর রহমান বয়াতি

পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচন ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচন আরো ৯০ দিন পিছিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

চলতি বছরের ২ এপ্রিল পাবনা-৪ আসনের এমপি শামসুর রহমান শরিফ ডিলু, ৬ মে ঢাকা-৫ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লা, ১৩ জুন সিরাজগঞ্জ-১ আসনের এমপি ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, ৯ জুলাই ঢাকা-১৮ আসনের এমপি ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এবং ২৭ জুলাই নওগাঁ-৬ আসনের এমপি ইসরাফিল আলমের মৃত্যুতে এই পাঁচটি আসন শূন্য হয়। সবগুলো আসনের এমপিই আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।