জমাতার পরিবারের হামলায় শ্বাশুরী শ্যালক ও গৃহবধূ আহত
স্টাফ রিপোর্টার
যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে বার্থরুমে আটকে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাথরুমে আটক মেয়েকে উদ্ধার করতে গিয়ে জামাতা ও তার পরিবারের হামলায় শ্বাশুরী ও শ্যালক আহত হয়েছে।
শনিবার সকালে স্বামী শ্বাশুরীর নির্যাতনের আহত গৃহবধূ জয়ীতা আক্তার জুই, তার মা হাসনা খাতুন ও ভাই জয় আহমেদ আকাশকে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গৃহবধূর ৮ মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। পাংশা উপজেলার মাছপাড়া গ্রামে তার স্বামীর বাড়ি।
এক সন্তানের মা আহত গৃহবধূ জয়ীতা আক্তার জুই জানান, করোনা মহামারি শুরুতে তার স্বামী শফিকুল ইসলাম প্রবাস থেকে দেশে ফেরেন। কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার বিদেশ যাবার জন্য তার বাবার বাড়ি থেকে ৩ লাখ টাকা ধারে এনে দিতে বলেন। এই টাকা না পেয়ে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সাথে যোগদেন শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। পান থেকে চুন খসলেই চালাতে থাকে শারীরিক নির্যাতন।
শনিবার সকালে স্বামী শফিকুল যৌতুকের টাকার জন্য গৃহবধূও উপর চাপ দেয়া হয়। এক পর্যায়ে তাকে ঘরের সাথে পাকা টয়লেটে কয়েক ঘন্টা আটকে রাখা হয়। পরে আবশ্য তাকে আবার টেনে হেঁচরে সেখান থেকে বের করে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। খবর পেয়ে গৃহবধূর মা ও ভাই তাকে উদ্ধারের মেয়ের শ্বশুরবাড়ি মাছপাড়ায় পৌলে তাদের উপর অর্তকীতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন পরিবার।
গৃহবধূর মা হাসিনা খাতুন জানান, মেয়েকে বাথরুমে আটকে রাখার খবর পেয়ে ছেলে আকাশকে নিয়ে মেয়ের শ্বশুর বাড়ি পৌছান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের ওপর হামলা করা হয়। স্থানীরা তাদের উদ্ধার করে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তিনি মেয়ের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় মামলা করবেন বলেও জানান।
উল্লেখ্য, তিন বছর আগে খোকসা উপজেলা সদরের থানা পাড়ার সুধন শেখের মেয়ে জয়ীতা আক্তার জুই এর সাথে পাংশা উপজেলার মাছ পাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের বিয়ে হয়। তাদের সংসাবে ৮ মাস বয়সের ওবাদ আলী নামের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। শরিফুল প্রবাস থেকে ফেরার পর শ্বশুরের কাছে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু হতদরিদ্র সুধন শেখ চাহিদা কৃত টাকা দিতে বর্থ হওয়ায় তার মেয়ের ওপর নির্যাতন চরম মাত্রায় পৌছায়।