লক্ষে পৌছাতে ভারত-বাংলাদেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে- মোদি

0
99
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

কেউ বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। তবে লক্ষে পৌছাতে ভারত-বাংলাদেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

শুক্রবার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানের বক্তব্যে এ কথা বলেছেন তিনি।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশের মানুষের যেমন ব্যাকুলতা ছিল, ঠিক একই ব্যাকুলতা ছিল ভারতের জনগণের মধ্যে। মোদি বলেন, আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ-ভারত একসঙ্গে এগিয়ে যাবে। উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অভিষ্ট ল্েয পৌঁছাতে মেল বন্ধনের বিকল্প নেই।

বিকালে ২২ মিনিটের বক্তব্যে কয়েকটি লাইন বাংলাতেও বলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বক্তব্য শুরুতে সম্বোধন করেন, ‘সোনার বাংলার প্রিয় বন্ধুরা’ বলে। তিনি ঢাকায় এ ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির এই মাহেন্দ্রণে নিজের ও ভারতের জনগণের প থেকে বাংলাদেশের নাগরিকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

মোদি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাধারণ দৃঢ়তায় স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছিলেন। দেশের মানুষকে স্বাধীনতা ও অধিকারের মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন। তার এই ভাষণ বিশ্বের ইতিহাসে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেও মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। একইসঙ্গে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে তিনি শান্তির বার্তা ছড়িয়েছেন। এ কারণেই ভারত সরকার বঙ্গবন্ধুকে এ বছর গান্ধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করেছে বলেও জানান নরেন্দ্র মোদি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যে ব্যাকুলতা ছিল, ঠিক একই ধরনের ব্যাকুলতা ছিল ভারতের জনগণের মধ্যেও।

তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্কের নানা প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের হৃদয়ের বন্ধন সৃস্টি হয়। সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দৃঢ় চিত্তে বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এরপর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে নতুন নতুন মাইলফলক স্থাপিত হয়েছে। ২০১৫ সালে তিনি যখন প্রথম ঢাকায় আসেন তখন স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার ঐতিহাসিক মুহূর্তের কথাও স্মরণ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক আগামী দিনেও এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে অগ্রযাত্রায় সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের অভিষ্ট ল্য অর্জন করবে।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাদেশ দ্রæত এগিয়ে যাওয়া অর্থনীতির দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে দ্রæত উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন, সেই বাংলাদেশকে কেউ কখনই দাবিয়ে রাখতে পারবে না।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বহন করা ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিশেষ প্লেন হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর তাকে স্বাগত অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ভারতের প্রধানন্ত্রীকে লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান এবং একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে তিনি একটি বৃরোপণ করেন এবং ভিজিটর বাইতে স্বার করেন।