সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫
Home Blog Page 3

বর্ষ বরণের প্রস্তুতি

0

পুরাতনকে বিদায় জানিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে নানা প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে প্রশাসনের পাশাপাশি গ্রাম ভিত্তিক ও ইউনিয়ন ভিত্তিক নানা আয়োজন প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুন – মহিষ লুটের মামলায় ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কারাগারে

সোমবার সকালে র‌্যালী ও পান্তা’র আয়োজন করেছে খোকসা উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা কমপ্লেক্সে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান চলবে। এ ছাড়া খোকসা চরপাড়া যুব সম্প্রদায়ের উদ্যোনে পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন – কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল নিজেই রোগী

বর্ষ বরণ উৎসব কেন্দ্র করে সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সড়ক জুড়ে আকা হয়েছে আল্পনা।

আরও পড়ুন – বাগেরহাট থেকে অপহৃত শিশু উদ্ধার হলো কুষ্টিয়ায়

মহিষ লুটের মামলায় ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কারাগারে

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কোটি টাকার ৪১টি মহিষ লুটের মামলায় বিএনপি নেতা সাইদুর চেয়ারম্যান সহ ১১ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) কুষ্টিয়া আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাওয়া হলে আদালত নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন কুষ্টিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোস্তফা পারভেজ।

কারাগারে পাঠানো ১১ নেতাকর্মীরা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, পলাশ, জাকির, বকুল, অভিক, বক্কর, মোজাফফর, হানা, তককুল, তুহিন ও শাহিনুর। তারা সবাই বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর এলাকার বাসিন্দা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ফেব্রæয়ারি ভোরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচার বৈরাগীরচর গ্রামের মন্ডলপাড়া এলাকায় পদ্মার চরের সাইদ মন্ডলের মহিষের বাথানে রাখালদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৪১টি মহিষ লুটে নেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে তার লোকজন মহিষগুলো লুটের ঘটনা ঘটায়। এ সময় তারা মহিষের রাখাল মাজদার আলী (৫০), কামাল হোসেন (৩৫) ও সৈকতকে (৩৫) বেধড়ক মারপিট করে ও অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী রহিমপুর মাঠে নিয়ে আটকে রাখে।

এমন খবর পেয়ে বুধবার সকালে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাখালদের উদ্ধার করে। তবে লুট হওয়া মহিষ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মহিষগুলো লুট করার পরপরই ট্রাক ভর্তি করে অন্যত্র পাচার ও বিক্রি করে দেন আসামিরা। লুট হওয়া ৪১টি মহিষের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৯ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন – কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল নিজেই রোগী

এ ঘটনায় মহিষের বাথান মালিক সাইদের স্ত্রী তমা খাতুন ১৪ ফেব্রæয়ারি দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৮-১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

আরও পড়ুন – বাগেরহাট থেকে অপহৃত শিশু উদ্ধার হলো কুষ্টিয়ায়

আদালত পুলিশের কর্মকর্তা ও দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৪১টি মহিষ লুট মামলায় ১২ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। জামিন চাইলে ১১ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। তবে এক আসামিকে জামিন দেন আদালত।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল নিজেই রোগী

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

২৫০ শয্যার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রোগীর চাপে নিজেই রোগী হয়ে পরেছে। সেবা মিললেও মিলছেনা ওষুধ ও রোগীর খাবার। প্রতিদিনই পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেলার রোগীদের চাপ বারছে। ধারণক্ষমতার চারগুণ বেশী রোগীকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে নাজেহাল হচ্ছেন চিকিৎসকসহ স্টাফ রা। অন্যদিকে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। শয্যার বাইরে থাকা রোগীদের মিলছে না খাবার।

শনিবার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ওয়ার্ডের বাইরে গলিপথেও গিজ গিজ করছে রোগী। বারান্দা বাথরুমের সরজার সামনেও রোগী। অনেক জায়গায় রোগী ও সেবিকার মাথার ওপর ঘুরছে না ফ্যান। ঘামে ভিজেই চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বড়িয়া গ্রাম থেকে স্বামীর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছেন নাসিমা খাতুন। তিনি চারদিন ধরে হাসপাতালের নিচতলায় পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

নাসিমা খাতুন বলেন, ‘আমরা চিকিৎসা পাচ্ছি তবে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নেই। হাসপাতালের বেডে জায়গা না হওয়ায় রোগীর খাবার পাচ্ছি না। বাড়ি থেকে খাবার এনে খাওয়াতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।’

পোড়াদহ থেকে হাসপাতালে এসেছেন ইলিয়াস আলী। চারদিন থাকার পরও তিনি বেড পাননি। ইলিয়াস আলী বলেন, ‘সকাল-রাতে চিকিৎসক দেখে যান, সেবা বলতে এটুকুই। হাসপাতালের পরীক্ষা-নিরীক্ষার বেশিরভাগ যন্ত্র নাকি নষ্ট। বাইরে থেকে পরীক্ষা করতে হচ্ছে, খাবার পাচ্ছি না।’

হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, উন্নতমানের ডিজিটাল এক্স-রে দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে তা সব রোগীর চাহিদা মেটাতে পারছে না। অনেক রোগীই দালালের খপ্পরে পড়ে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা করাচ্ছেন। হাসপাতালে রয়েছে ওষুধের অপ্রতুলতা রয়েছে।

শিশু বিভাগে হৃদয় বিদারক অবস্থা, ২৫ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছে ১১০ জন। সেখানকার একাধিক সেবিকা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের ক্যাপাসিটি অনুযায়ী রোগী ভর্তি হলে চিকিৎসার মান বাড়ানো যেত। কিন্তু এত রোগীর ভারে আমরাই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। এখানে কর্মপরিবেশ বলে কিছু নেই।

আরও পড়ুন – বাগেরহাট থেকে অপহৃত শিশু উদ্ধার হলো কুষ্টিয়ায়

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক হোসেন ইমাম বলেন, ‘আমরা দিনের পর দিন বলে আসছি, এত রোগীর ভার হাসপাতালের বহন করার ক্ষমতা নেই। তারপরও কেউ এলে চিকিৎসা না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয় না। যতটুকু সাধ্যে কুলায় আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

আরও পড়ুন – জমি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাতজন আহত

তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালে ওষুধ আসে ২৫০ শয্যার অনুপাতে। সেই ওষুধ সব রোগীকে দিতে গেলে কিছুটা সংকট হবেই। পাশে ৫০০ শয্যার কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হলে হয়তোবা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরবে।’

বাগেরহাট থেকে অপহৃত শিশু উদ্ধার হলো কুষ্টিয়ায়

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

বাগেরহাট জেলা থেকে অপহৃত তিন বছরের শিশুকে কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
শুক্রবার রাতে দিকে মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ রেল স্টেশন থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া শিশুটির নাম সিনথিয়া আহম্মেদ শিফা। সে খুলনা জেলার ফুলতলা থানার উত্তর ডিহি এলাকার শাওন আহম্মেদের মেয়ে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার কামরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় জীবন ইসলাম হৃদয় (২৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে র‌্যাব সদস্যরা। গ্রেফতার হওয়া ওই যুবক নীলফামারী সদর উপজেলার দক্ষিণপাড়া চরচড়াবাড়ী এলাকার মৃত হেদায়েতুল ইসলামের ছেলে।

আরও পড়ুন – জমি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাতজন আহত

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার শুভদিয়ায় অবস্থিত নানাবাড়ি এলাকা থেকে শিশু সিনথিয়া আহম্মেদ শিফা নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ফকিরহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন শিশুটির নানা। বিষয়টি জানতে পেরে র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের একটি দল অভিযানে নামে। এরপর প্রযুক্তি ব্যবহার করে মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ রেল স্টেশন থেকে শিফাকে উদ্ধার করে র‌্যাব সদস্যরা। এ সময় এক যুবককে আটক করা হয়।

আরও পড়ুন – সড়কের পাঁচটি গাছ কেটে নিলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক

কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার কামরুল ইসলাম বলেন,উদ্ধারের পর শিশুটিকে তার মায়ের কাছে এবং আটককৃত ওই যুবককে তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক হওয়া যুবক অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করেছে।

জমি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাতজন আহত

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৫ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দয়রামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ জনকে কুমারখালী ও কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন – দয়রামপুর গ্রামের হাফিজ শেখের স্ত্রী রেহেনা খাতুন (৫৬), তার ছেলে সিদ্দিক হোসেন (৩৫), তার স্ত্রী ববিতা খাতুন (৩০), মিরাজ শেখের ছেলে আকাশ শেখ (১৯), আরমান সরদারের ছেলে জামাল সরদার (৫৫), তার ছেলে আশরাফ (২৭) এবং মৃত জোকি প্রামাণিকের ছেলে খালেক প্রামাণিক (৫৪)।

এ ঘটনায় সিদ্দিকের ভাতিজা শিপন আলী শনিবার সকাল ১০ টার দিকে ৭ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলায় আশরাফ ও খালেক প্রামাণিককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে বিকেলে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর ধরে পাঁচ শতাংশ জমি নিয়ে জামাল প্রামাণিকের সঙ্গে সিদ্দিক হোসেনের বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনায় সিদ্দিকের করা রেকর্ড সংশোধনী মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। তবুও আদালত রায় দেওয়ার আগে শনিবার সকালে জামাল প্রামাণিক ওই জমিতে ঘর তোলার কাজ শুরু করেন। এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন বাঁধা দিলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী শিপন আলী বলেন, জমির মালিক আমার চাচা। ভুলবশত প্রতিপক্ষের নামে রেকর্ড হয়েছে। এনিয়ে আদালতে মামলা চলছে। তবুও জামাল লোকজন নিয়ে আজ ঘর তুলছিল। এসময় আমার চাচারা জিজ্ঞেস করতে গেলে প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে। চাচা, চাচী, চাচাতো ভাইসহ ৪ জন কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সুষ্ঠু বিচারের আশায় সাতজনকে আসামি করে মামলা করেছি। তার ভাষ্য, জমির মূল্য প্রায় তিন-চার লাখ টাকা।

জানা গেছে, প্রতিপক্ষের জামাল প্রামাণিক কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুন – সড়কের পাঁচটি গাছ কেটে নিলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক

সরেজমিন গিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিন লাখ টাকা দিয়ে কেনা জমি। প্রতিপক্ষরা হয়রানিমূলক মামলা করে এর আগে আমার ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়েছেন। আজ ঘর করতে গেলে তারা বাঁধা দিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমিও থানায় মামলা করব।

আরও পড়ুন – কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুু’পক্ষের সংঘর্ষে ৫-৭ জন আহতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। একপক্ষের মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে অপরপক্ষের মামলাও নেওয়া হবে।

সড়কের পাঁচটি গাছ কেটে নিলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সড়কের প্রায় লাখ টাকা মূল্যের অন্তত পাঁচটি মেহগুনি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে এক অবসরপপ্রপ্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

শনিবার ( ১২ এপ্রিল) সকাল থেকে উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দয়রামপুর – করিমপুর সড়কের দয়রামপুর তেমাথা এলাকায় গাছ কাটা শুরু হয়। গাছ গুলোর বয়স অন্তত ২৫-৩০ বছর বলে জানান স্থানীয়রা।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সনাতন কুমার ওরফে সত্য মাস্টার (৫০)। তিনি উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দয়রামপুর গ্রামের মৃত সতেন্দ্রনাথের ছেলে ও মহেন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।

দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দয়রামপুর – করিমপুর পাকা সড়কের ধারে বেশকিছু মেহগুনি, নিম, তালসহ বিভিন্ন গাছ রয়েছে। কয়েকজন শ্রমিক সড়কের তেমাথা এলাকা থেকে ইতোমধ্যে পাঁচটি গাছ কেটে ফেলেছেন। সেগুলো ভ্যানে করে সরানো হচ্ছে। অবশিষ্ট একটি গাছের ডালপালা কাটা হয়েছে। সড়কের ধারে পরে আছে কাটা গাছের ডাল ও পাতা। সেখানে গাছ কাটার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সনাতন কুমার।

এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভ্যানচালক বলেন, গাছগুলো সত্য মাস্টারের। স মিলে নেওয়া হচ্ছে। আপনারা তার সঙ্গে কথা বলুন।

গাছ কাটার ঘটনা স্বীকার করে সনাতন কুমার বলেন, গাছ গুলো আমি লাগিয়েছিলাম। গাছের জন্য ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। সেজন্য গাছ গুলো কেটে বিক্রি করছি। তবে কত টাকায় বিক্রি হলো? সে বিষয়ে কোনো কথা বলেননি তিনি।

আরও পড়ুন – কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয়রা জানান, আইন অমান্য করে সত্য মাস্টার ২৫-৩০ বছর বয়সি গাছ গুলো কেটে বিক্রি করছেন। যার দাম প্রায় এক লাখ টাকা।

আরও পড়ুন – ধর্ষীতার পোড়া ভিটায় ঘর নির্মান করে দিলে প্রবাসী

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার বলেন, গাছ কাটার খবর পেয়ে লোক পাঠানো হয়েছে। সরকারি গাছ হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির ‘বিতর্কিত ও মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিল এবং সবার অংশগ্রহণে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন পদবঞ্চিত ত্যাগী নেতাকর্মীরা। একইসঙ্গে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৬ এপ্রিল বুধবার বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তারা।

শনিবার বেলা ১১টায় শহরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি বশিরুল আলম চাঁদ।

সংবাদ সম্মেলনে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম উল হাসান অপু বলেন, কুতুব উদ্দিন আহমেদকে আহবায়ক ও ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকারকে সদস্য সচিব করে তিন মাসের যে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে, তার মেয়াদ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। আমরা চাচ্ছি, এই কমিটি দ্রæত বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি দেওয়া হোক।

আরও পড়ুন – ধর্ষীতার পোড়া ভিটায় ঘর নির্মান করে দিলে প্রবাসী

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি সম্পূর্ণ ব্যর্থ দাবি করে বিএনপির ত্যাগী এই নেতা বলেন, কুতুব-জাকিরের মামা-ভাগনে কমিটি আজ পর্যন্ত একটা ইউনিয়ন কিংবা ওয়ার্ড কমিটিও দিতে পারেনি।

আরও পড়ুন – নোঙ্গর

সংবাদ সম্মেলনে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজল মাজমাদার বলেন, বিগত সরকারের আমলে আমাদের দলের অনেক নেতা-কর্মী অন্যায়-অত্যাচার, নির্যাতন এমনকি হত্যার শিকার হয়েছেন। কিন্তু বর্তমান কমিটি কারও বিচারের দাবিতে মাঠে নামেননি। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মারা যান আমাদের বিএনপির ত্যাগী নেতা এম এ শামীম আরজু ভাই। আজকে এখান থেকে আমরা তার বিচার দাবি করছি।

ধর্ষীতার পোড়া ভিটায় ঘর নির্মান করে দিলে প্রবাসী

0

ষ্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসায় দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে ধর্ষীতার পোড়া ভিটেই টিনের ঘর তুলে দিলেন প্রবাসী ও রাজনৈতিক দলের নেতা। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন দিয়েছে সরকারী সহয়তা। তবে শিশুটি মা চাইলেন ধর্ষকের বিচার।

শনিবার দুপুরে ধর্ষীত ওই শিশুর বাড়িতে টিন, বাঁশ, সিমেন্টের খুটি ও ঘর তৈরীর উপরকরণসহ ইসলামী আন্দোলন খোকসা উপজেলা শাখার একদল কর্মী উপস্থিত হন। দুর্বৃত্ত¡দের দেওয়া আগুনে পুড়ে যাওয়া খুপড়ি ঘরের ভিটায় তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি শোবার ঘর ও ছোট একটি রান্না ঘর তোলার কাজ শুরু করেন। এ কাজের উদ্বোধন করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খোকসা উপজেলা সভাপতি ও প্রবাসী আনোয়ার আহম্মেদ খান। উপস্থিত ছিলেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ নাঈমুল ইসলাম।\]

এ সময় ধষীত শিশুর মা বাড়িতে ছিলোন। তিনি ভয় ও আতঙ্কের কথা জানান। শুক্রবার গভীর রাতে দুর্বৃত্ত¡রা তার ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। তিনি ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করায় তার ঘর পুড়িয়ে এলাকা থেকে উচ্ছেদের পরিকল্পনা করে দুর্বৃত্তরা। শিশু সন্তানের ইজ্জত হরণ ও রাতে আধাঁরে ঘরে আগুন দেওয়ার সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি করেন তিনি।

চলতি মাসের ১ তারিখ মঙ্গলবার রাতে সারাদিন কাজ শেষে নিরাপদে শিশুটিকে মায়ের কাছে পৌচ্ছে দেওয়ার কথা বলে রওনা হয় আফজাল কাজী। কিছু দূর গিয়ে একটি বাগানের মধ্যে শিশুটিকে ধর্ষন করে। ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামী আফজাল কাজী আট করেছে পুলিশ। শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষার আগের রাত গত শুক্রবার শিশুটির বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সে রাতে ধর্ষীত শিশু ও তার পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপনে থাকায় প্রাণে বেঁচে যায়। এখন ডাক্তারী পরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষা করা হচ্ছে। ঘর পোড়ানো দ্বিতীয় মামলায় ধর্ষকের ছেলে তারেক কাজীকে পুলিশ আটক করেছে। এ ছাড়া মামলাটি তদন্ত চলছে।

দুর্বৃত্বের আগুনে গৃহ ও সন্তানের সম্ভ্রম হারা পরিবারটির পাশে স্থানীয় ব্যক্তি ও সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছেন। প্রবাসী আনোয়ার আহম্মেদ খান ওই শিশুর ধর্ষকের ও দুর্বৃত্তদের বিচারের দাবি করেন। তিনি জানান, শিশুািটর বাবা একজন ক্ষুদ্র রেমিডেন্স যোদ্ধা। তার অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানো তার নৈতিক দায়িত্ব।

আরও পড়ুন – নোঙ্গর

খোকসা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ নাঈমুল ইসলাম জানান, দুটি মামলার আসামী আটক করা হয়েছে। দ্বিতীয় মামলাটি তদন্ত চলছে। তিনি ওই শিশুর ধর্ষক ঘরে আগুন দেওয়ার সাথে জড়িতদের বিচার তরান্বিত করার জন্য পদক্ষেক গ্রহন করেছেন।

আরও পড়ুন – ধর্ষণের শিকার ১৩ বছরের শিশু জন্ম দিলো পুত্র সন্তান

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ১ এপ্রিল দিনগত রাতে পেঁয়াজ কাটা শেষে নিরাপদে বাড়ি পৌচ্ছে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে গিয়ে পথমধ্যে আট বছরের শিশুকে ধর্ষন করা হয়। এ ঘটনার এক মাত্র আসামীকে আটকের পর শুক্রবার রাতে দুর্বৃত্ত¡রা শিশুটির বসত বাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় খোকসা থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।

নোঙ্গর

0

ফরাক্কার বিরুপ প্রভাবে গড়াই নদী পানি শুন্য হয়ে পরেছে। মাছ ধরা দুই এক খানা ডিঙি নৌকা ছাড়া বড় নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। মৃত প্রায় গড়াই নদীতে বালু খেকোরা অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তুলে বিক্রি করছে। একটি ড্রেজার মেশিনের “নোঙ্গর” এটি। শিশুরা খেলায় মেতেছে। শুক্রবার বিকালে খোকসার কালীবাড়ী ঘাট এলাকা থেকে ছবিটি তোলা।

আরও পড়ুন – ধর্ষণের শিকার ১৩ বছরের শিশু জন্ম দিলো পুত্র সন্তান

আরও পড়ুন – বিএনপির নেতার পাল্টা অভিযোগ ব্যবসায়ী রশিদের বিরুদ্ধে

আরও পড়ুন – ফুলের সাথে এক বিকাল

ধর্ষণের শিকার ১৩ বছরের শিশু জন্ম দিলো পুত্র সন্তান

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া শহরে ধর্ষণের শিকার ১৩ বছর বয়সী শিশু একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নবজাতক পুত্র সন্তান জন্ম দেয় শিশুটি। এ ঘটনায় ধর্ষক উদয় কর্মকারকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি বর্তমানে কুষ্টিয়া জেল কারাগারে বন্দী রয়েছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তার সহযোগিতায় এ ঘটনা সমঝোতার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ মামলার আসামি ধর্ষক উদয় কর্মকার বাদীর আপন ভাই এবং ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী শিশুর আপন চাচা। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাসিন্দা।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে পেটে প্রসব বেদনা নিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার অন্তঃসত্ত্বা ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটিকে। এরপর ওইদিনই সে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাবা কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বাদী মামলার এজহারে উল্লেখ করেছেন যে, আসামী শ্রী উদয় কর্মকার (২৬) সম্পর্কে আমার আপন ছোট ভাই। অনুমান ১০ মাস পূর্বে আমি আমার স্ত্রী, ছেলেমেয়ে, বৃদ্ধা মা ও আসামীকে নিয়ে কুষ্টিয়া শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করাকালীন ২০২৪ সালের ২ মে রাত্র অনুমান দেড়টার সময় আমার পরিবারের সকলে ঘুমিয়ে পড়লে আসামী ওই ভাড়া বাসায় আমার কন্যার শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে আমার নাবালিকা কন্যার মুখ চেপে ধরে ঘরের ফ্লোরে শোয়াইয়া বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ৩ মাস অতিবাহিত হলে উক্ত বাসা ছেড়ে দেই এবং বর্তমানে কুষ্টিয়া শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করছি। ৭ এপ্রিল দুপুর অনুমান আড়াইটার দিকে আমার নাবালিকা কন্যা (১৩) হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমার কন্যাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে একটি পুত্র সন্তুান জন্ম গ্রহণ করে। তখন আমার নাবালিকা কন্যাকে জিজ্ঞাসা করলে সে তার মায়ের নিকটে জানায় যে, উপরোক্ত আসামী ববর্ণিত তারিখসহ বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে পূর্বের ভাড়া বাসায় অবস্থানকালে আমার নাবালিকা কন্যার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে। আসামীর ভয়ে আমার নাবালিকা কন্যা কাউকে কিছু বলেনি।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ওই পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা জানান, বিষয়টি সমঝোতার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। এ মামলায় পুলিশের তদন্তুকারী কর্মকর্তা সমঝোতায় সহযোগিতা করছেন। এর জন্য টাকাও নিয়েছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তু ও আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নার্গিস খাতুন বলেন, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী মেয়েটি পুত্র সন্তুান জন্ম দিয়েছে। পরের দিন এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওইদিনই মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ডিএনএ টেস্ট করা হবে। ডিএনএ টেস্ট রিপোর্ট পাওয়ার পর জবানবন্দি ও রিমান্ডের আবেদন করা হবে। সমঝোতায় সহযোগিতা ও টাকা নেয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন। আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, অপরাধীকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স জেসমিন পারভিন বলেন, ৮ এপ্রিল বেলা ১২টা ১০ মিনিটের দিকে হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি হয় শিশুটি। এরপর দুপুর একটা ১০ মিনিটের দিকে নরমাল ডেলিভারিতে পুত্র সন্তান জন্ম দেয়। এরপর আনুমানিক বিকালের দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে তারা চলে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ হোসেন ইমাম বলেন, প্রথমে সবকিছু গোপন করে ধর্ষণের শিকার ওই শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়। এরপর নরমাল ডেলিভারিতে পুত্র সন্তান জন্ম দেয়। ওইদিনই হাসপাতাল থেকে তারা পালিয়ে যায়। এরপর এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে ওইদিনই তাকে গাইনী বিভাগে ভর্তি হয়। বৃহস্পতিবার ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল থেকে চলে যান তারা। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। তাকে ঢাকায় যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এ মামলার বাদী ও ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাবা বলেন, এটা একটা পারিবারিক ব্যাপার। আমরা মিলচাল করে নিচ্চি। নিজেদের ব্যাপার এজন্য পুলিশের মাধ্যমে মিলচাল করে নিচ্ছি। মিলচালের ব্যাপারে পুলিশ সহযোগিতা করছে।

আরও পড়ুন – বিএনপির নেতার পাল্টা অভিযোগ ব্যবসায়ী রশিদের বিরুদ্ধে

এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডিএনএ টেস্ট করা হবে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন – ফুলের সাথে এক বিকাল

সর্বশেষ সংবাদ

খোকসায় ইয়াবাসহ এক মাদক বিক্রেতা আটক

স্টাফ রিপোর্টার কুষ্টিয়ার খোকসা থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে। থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দিনগত রাত ৮টার দিকে...

বিদ্যালয়ের গাছে ঝুলছিল নৈশপ্রহরীর মরদেহ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে একটি বিদ্যালয়ের গাছ থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের সোন্দাহ মাধ্যমিক...

মাদকবিরোধী অভিযানে বাধার মুখে ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ বাহিনী

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনায় গিয়ে বাধা মুখে পরেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার হোসেনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মাজারের ভক্ত অনুসারীরা এ ঘটনা...

জামায়াতে ইসলামীর উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি কুষ্টিয়ায় জামায়াতের উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুষ্টিয়া উলামা বিভাগের আয়োজনে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত...

 খোকসার একই ব্যক্তি দুই পদে চাকরি করছেন

স্টাফ রিপোর্টার একই ব্যক্তি মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়ন প্রকল্প ও একটি মাদ্রাসায় আরবি প্রভাষক পদে চাকরি করে চলেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাযোসে...