মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
Home Blog Page 9

চোর খুঁজতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে যুবক নিহত

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় চোর খুঁজতে গিয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শহরের কোর্টপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ওই যুবকের নাম বাদল (৩২)। তিনি শহরের পশ্চিম মজমপুরের মৃত মোহনের ছেলে। নিহত বাদল পেশায় একজন নির্মাণশ্রমিক ছিলেন।

আরও পড়ুন – বাংলাদেশেও উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্পের শঙ্কা

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশাররফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রাতে মিঠুন নামের এক ব্যক্তির সাততলা নির্মাণাধীন ভবনে মালপত্র চুরি করতে আসে। এ সময় বাদলসহ স্থানীয় কয়েকজন ভবনের ছাদে চোর খুঁজতে ওঠেন। এ সময় অসাবধানতাবশত বাদল নিচে পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশেও উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্পের শঙ্কা

0

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশে শক্তিশালী ও উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার শঙ্কা করা হচ্ছে। মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে যে দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে একই মাত্রার ভূমিকম্প বাংলাদেশেও হতে পারে পরে সতর্ক করেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স।

ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশে সতর্কতা ও প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৯ মার্চ) ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গত ২৮ মার্চ মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে পর পর দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প দুটির মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭.৭ ও ৬.৪।

ফলে দেশ দুটি বেশ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশেও একই মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং ঢাকা অঞ্চল উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

এমতাবস্থায় ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য সব পর্যায়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরির নিমিত্ত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান করছে:

(১) বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ অনুযায়ী ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ করা;

(২) ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা;

(৩) সব বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা;

(৪) ইউটিলিটি সার্ভিসসমূহ যথা গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের লাইনের সঠিকতা নিশ্চিত করা;

(৫) ভূমিকম্প চলাকালীন সময়ে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পর্যায়ে বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত মহড়া অনুশীলন ও প্রচারের ব্যবস্থা করা;

(৬) জরুরি টেলিফোন নম্বর যেমন ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, হাসপাতাল ও অন্যান্য জরুরি নাম্বারসমূহ ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাশাপাশি সব ভবন বা স্থাপনায় সংরক্ষণ করা এবং তা দৃশ্যমান স্থানে লিখে রাখা;

(৭) ভলানটিয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দুর্যোগকালীন সময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখা;

(৮) জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সরঞ্জামাদি যেমন- টর্চলাইট, রেডিও (অতিরিক্ত ব্যাটারিসহ), বাঁশি, হ্যামার, হেলমেট/কুশন, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী, ফার্স্ট এইড বক্স, শিশু যতেœর সামগ্রী ইত্যাদি বাসা-বাড়িতে নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা যাতে ভূমিকম্প পরবর্তীতে আটকা পরলে তা ব্যবহার করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা যায়;

(৯) সব পর্যায়ে তদারকি সংস্থার কার্যক্রমে সহযোগিতা করা।

আরও পড়ুন – আজ বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ

উপরিউক্ত বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভিন্ন কার্যক্রম চালু রেখেছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সতর্কতায় ভূমিকম্পের মতো ভয়াবহ দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা সীমিত রাখি।

যেকোনো তথ্যের জরুরি প্রয়োজনে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, হটলাইন নম্বরে (১০২) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

আজ বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ

0

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

আজ শনিবার (২৯ মার্চ ) সালের প্রথম সূর্যগ্রহণ হবে। এই গ্রহণ দেখা যাবে, ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা ও উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার বহু অংশ থেকে। এর ছায়া বিস্তৃত হবে আর্কটিক ও আটলান্টিক মহাসাগর পর্যন্ত।

সূর্য গ্রহণটি বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে শুরু হবে। গ্রহণ চলবে সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৪৬ মিনিট পর্যন্ত হবে।

চলতি ২০২৫ সালের দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ হবে ২১ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে, পেসিফিক, আন্টার্টিকার আকাশে, এছাড়াও তা দেখা যাবে অস্ট্রেলিয়া ও আন্টার্টিকার আকাশে।

এই বছর চৈত্র অমাবস্যায় বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে।

আরও পড়ুন – থাইল্যান্ড সফরে মোদি ইউনূসের বৈঠক হচ্ছে না

প্রসঙ্গত, যখন চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী একই সরল রেখায় আসে এবং চাঁদের ছায়া সূর্যের আলো পৃথিবীতে আসতে বাধা দেয় তখন সেটাকে সূর্যগ্রহণ বলা হয়। এই ছায়া যেখানে পড়ে হয় সেখান থেকে সূর্য দেখা যায় না অথবা সূর্যের একটি বড় অংশ কালো দেখায়

থাইল্যান্ড সফরে মোদি ইউনূসের বৈঠক হচ্ছে না

0

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনের আসরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনের যে প্রস্তাব ঢাকা দিয়েছিল, তাতে নয়াদিল্লীর সাড়া মেলেনি। এই সফরে কেবল থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদি।

থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠেয় বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে মোদীর সফরসূচি নিয়ে শুক্রবার (২৮ মার্চ) যে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তাতে ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের কোনো কথা রাখা হয়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে আগামী ৩ এপ্রিল থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পর্যালোচনার জন্য বৈঠক করবেন। থাইল্যান্ড সফরে ওটাই মোদির একমাত্র দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।

বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের সাত দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক জোট বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামী ৪ এপ্রিল। এ সম্মেলনে যোগ দিতে থাইল্যান্ডে যাচ্ছেন ইউনূস ও মোদি।

সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি যাতে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন, সে জন্য বাংলাদেশ সরকার ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছিল।

ওই চিঠির প্রতিউত্তরের জন্য অপেক্ষা থাকার কথা জানিয়ে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার বলছে, বৈঠকটি হলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ‘স্থরিবতা’ কাটার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, আমরা যে কোনো দেশের সাথে শীর্ষ পর্যায়ের যে বৈঠক, সেই বৈঠককে আমরা গুরুত্বপূর্ণ মনে করি এবং ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্কের বর্তমান যে প্রেক্ষাপট, সেই প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকটিকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। এবং আমরা আশা করি যে, যদি এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যে স্থবিরতা, সেটা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিনই তিনি ভারতে চলে যান। তিন দিন পর সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতী সরকার।

এরপর থেকে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে প্রতিবেশী ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর দুই দফায় দেখা হওয়ার সুযোগ তৈরি হলেও তা হয়ে ওঠেনি। বিমসটেকের সম্মেলনে তাদের বৈঠক হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছিল।

৩ এপ্রিল ঢাকা থেকে গিয়ে পরদিন ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস।

নরেন্দ্র মোদি বিমসটেকের বৈঠকে যোগ দিতে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন ৩ এপ্রিল। সেদিনই থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিনাওয়াত্রার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। পরের দিন তিনি সরকারি সফরে ব্যাংকক থেকে চলে যাবেন শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিশানায়কের আমন্ত্রণে মোদি সে দেশ সফর করবেন ৪ থেকে ৬ এপ্রিল।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠক না হলেও ব্যাংককে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে মোদির কিছু সময়ের জন্য সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে কি না, সে বিষয়ে সরকারি বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি।

বিমসটেকের এই সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে। কিন্তু থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে তা পিছিয়ে নভেম্বরে করার চিন্তাভাবনা করা হয়। ওই সময়ও ইউনূস ও মোদীর বৈঠকের কথা উঠেছিল।

এর আগে সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের কথা উঠেছিল। কিন্তু শেষমেশ তা হয়নি।

কারণ হিসেবে গত ২১ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নিউ ইয়র্কে পৌঁছানোর আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্ক ত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে। কাজেই সেখানে তাদের দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে হচ্ছে।

ওই বৈঠক না হওয়ার কারণ হিসেবে সেসময় মুহাম্মদ ইউনূসের ‘একটি সাক্ষাৎকারকে’ সামনে আনে কোনো কোনো ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগের বিষয়ে জানাশোনা আছে, এমন ব্যক্তিদের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউনূসের বিভিন্ন মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে মনে হচ্ছে, বৈঠকটি হবে না। ইউনূসের বক্তব্য নয়াদিল্লি ভালোভাবে নেয়নি।

আরও পড়ুন – ৬ দেশ কাঁপলো এক ভূমিকম্পে

গত বছরের অক্টোবরে সামোয়াতে কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনেও মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে সাক্ষাৎ হতে পারত। কিন্তু দুই নেতার কেউই তাতে যোগ দেননি।

৬ দেশ কাঁপলো এক ভূমিকম্পে

0
প্রতিকী ছবি

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

মিয়ানমারে পরপর দুটি ভূমিকম্প হয়েছে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছয়টি দেশে এর প্রভাব অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার ঘটে যাওয়া ভুমিকম্পের উৎপত্তিস্থলে প্রথমটি মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। এই ভূমিকম্পের প্রভাবে এদিন দুপুর ১২টা ২১ মিনিটে কেঁপে উঠে রাজধানীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্তি¡ক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর-উত্তরপশ্চিমে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি।

ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ, ভারত, লাওস, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং চীনে।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে পরপর দুটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর একটি ৭ দশমিক ৭ মাত্রার, অন্যটি ৬ দশমিক ৪ মাত্রার। মিয়ানমারে থেকে এর উৎপত্তি হয়। তবে থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য অঞ্চলে অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

মিয়ানমার

মিয়ানমারের স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ৭ দশমিক ৭ মাত্রার এবং এর গভীরতা ছিল ভূঅভ্যন্তরের ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল) গভীরে। প্রথম বার আঘাত হানার পর আরেকটি শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের তীব্রতায় রাস্তাঘাট ফাটল দেখা গেছে এবং ভবনের টুকরো খসে পড়েছে। ইরাবতী নদীতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে নির্মিত একটি সেতু ভেঙে পড়েছে। ভয়াবহ ভূমিকম্পে ভেঙে পড়ে ৯১ বছরের পুরোনো আভা সেতু, যা পুরোনো সাগাইং সেতু নামেও পরিচিত।
মিয়ানমারের ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘আমরা হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করার জন্য ইয়াঙ্গুনে অনুসন্ধান শুরু করেছি এবং ঘুরে দেখছি। এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।’

থাইল্যান্ড

মিয়ানমারে উৎপন্ন ভূমিকম্প থাইল্যান্ডে আঘাত হানে। রাজধানী ব্যাংককে কম্পনে নির্মাণাধীন একটি ৩০ তলা সরকারি অফিস ভবন ধসে পড়েছে। সেখানে কর্মরত অন্তত ৪৩ জন শ্রমিক ভেতরে আটকা পড়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ ও মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। উত্তর ও মধ্য থাইল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায়ও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ প্রচারিত একটি ভিডিওতে ভবনগুলো কাঁপতে দেখা গেছে। আতঙ্কে লোকজন রাস্তায় ছোটাছুটি করেন। দুপুরে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত করে ব্যাংককে। ভূমিকম্পের প্রভাবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে উত্তর ব্যাংককের ওই ভবনটি ধসে পড়ে।

বাংলাদেশ

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুবাইয়াত কবীর জানিয়েছেন, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৩। এর উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের মান্দালয়। ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৫৯৭ কিলোমিটার।

তিনি বলেন, ভূমিকম্পের প্রভাবে অনুভূত হয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির হয়নি।

চীন

চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) জানিয়েছে, চীনের ইউনানে এর কম্পন অনুভূত হয়েছে। সিনহুয়া জানিয়েছে, এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৯।

ভারত

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমিওলজি জানিয়েছে, মেঘালয়ের পূর্ব গারো পাহাড়ে ৪ মাত্রার ভূমিকম্পন অনুভূত হয়। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

লাওস

চীনের সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার এক প্রতিবেদেন বলা হয়, মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে লাওসের কয়েকটি শহরে কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন – ডাম্ব ট্রাকের চাপায় ৩ বছরের ছেলে শিশুসহ মায়ের মৃত্যু

লাও জাতীয় ভূমিকম্প তথ্যকেন্দ্রের তথ্যমতে, লাওসের উত্তর ও কেন্দ্রীয় অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয়েছে। রাজধানী ভিয়েনতিয়েনেও কেঁপে উঠে। দেশটির কর্তৃপক্ষ সেখানকার বাসিন্দাদের সম্ভাব্য আফটারশকের জন্য প্রস্তুত থাকতে সতর্ক করেছে।

ডাম্ব ট্রাকের চাপায় ৩ বছরের ছেলে শিশুসহ মায়ের মৃত্যু

0
দুর্ঘটনার স্থর।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া শহরের ত্রিমোহনী বাইপাস মোড়ে ডাম্ব ট্রাকের চাপায় মা ছেলে নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

চৌড়হাস হাইওয়ে পুলিশের এস আই জয়দেব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন ইতি খাতুন (৩০) ও ছেলে আফনাফ ইব্রাহিম (৩)। তবে মোটরসাইকেল চালক ইতি খাতুনের স্বামী আব্দুল কাদের সিদ্দিকী (৪০) ও মোটরসাইকেলটি অক্ষত রয়েছে।

জয়দেব বলেন, একটি ট্রাকচাপায় ঘটনাস্থলেই মা ও ছেলে মারা গেছেন। তাদের মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়ার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত একজনকে আগেই হাসপাতালে পাঠিয়েছেন স্থানীয়রা।

প্রত্যক্ষদর্শী মিরপুর উপজেলার নওদা খাদিমপুরের বাসিন্দা সিদ্দিক আলী বলেন, একটি ডাম্ব ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিয়েছে। আমরা মোড়ে পৌঁছেই দুইজন মৃত দেখেছি।

আরও পড়ুন – খোকসার সবজি চাষীরা আবারও লোকশানের আশঙ্কা

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক হোসেন ইমাম বলেন, একজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার অবস্থা গুরুতর না হওয়ায় রিলিজ করা হয়েছে। মৃতদের মরদেহ এখনো আনা হয়নি।

খোকসার সবজি চাষীরা আবারও লোকশানের আশঙ্কা

0

স্টাফ রিপোর্টার

ফুল কপি, বাঁধা কপি, টমেটোর আবাদ করে লোকসানের পর ডাটা শাকে লাভের আশা করছিলেন চাষীরা। তবে ঈদ উৎসব সে আশায় আবার বাগরা দেওয়ার আশঙ্কার করছে তারা।

খোকসার শিমুলিয়া ইউনিয়নের সিংঘরিয়া গ্রামের কৃষক গবিন্দ মন্ডল। সারা বছরই সবজি জাতিয় ফসল আবাদ করেন। ১৫ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন সবজি ডাটা শাক আবাদ করেছেন। আশার থেকে আনেক বেশী ফলন হয়েছে। রোজার কারণে বাজারে ডাটা শাকের চাহিদাও প্রচন্ড। আসন্ন ঈদুল ফিতরের কারণে প্রায় ১ সপ্তাহ সবধরনের সবজির চাহিদা পরে যাবে। এ সময়ে উপজেলা প্রায় শতাধিক বিঘা জমির ডাকা জাতিয় সবজির বয়স বেশি হয়ে যাবে।

সবজি জাতিয় ফসলের কৃট নাশক ও বীজ সার বিক্রির সাথ জড়িত কম্পানীর লোকদের দেওয়া তর্থের ভিত্তিতে জানা গেছে, পৌর এলাকার পাতিলডাঙ্গি, বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের জাগলবা, ভবানীপুর, চান্দট, বনগ্রাম, শিমুলিয়ার ইউনিয়নের ৫টির বেশী গ্রাম, গোপগ্রাম ইউনিয়নের তিন গ্রাম, শোমিসপুর ইউনিয়নের ৩ গ্রামে, আমবাড়িয়া ইউনিয়ন ২টি গ্রামে সারা বছরই সবজি আবাদ হয়ে থাকে। এই সবজিই স্থানীয়দের চাহিদার বড় অংশ পুরণ করে।

শীতের মৌসুমে ফুল কপি, বাঁধা কপি, টমেটোর চাহিদা থাকলেও মধ্যস্বত্বা ভোগিদের কারণে চাষীরা ফসরের দাম পায়নি। অনেক কৃষক লোকশান ঠেকাতে জমি থেকে পালংশাক, মূলা, বাঁধা কপি তোলেই নাই।

সিংঘরিয়া গ্রামের ডাটা চাষী গবিন্দ মন্ডল বলেন, শুধু তিনি নিজে নন। তারমত শতশত কৃষক এ বছর লোকশানের ভয়ে অনেক পদের শীতের সবজি জমি থেকে তোলেন নি। তিনি ১ বিঘা জমিতে বাঁধা কপি রোপণ করেছিলেন। তার ক্ষেতে এখনো কয়েকশ কপি রয়ে গেছে। রোজায় বিক্রির আশায় ১৫ কাঠা জমিতে ডাটা শাক বপণ করেছিলেন। আশার থেকেও বেশী ফলন হয়েছে। দামও ভালো পাচ্ছিলেন। ঈদের কারণে কয়েক দিন সবজির চাহিদা থাকবে না। তাই সবজিতে লোকশানের আশঙ্কা করছেন তিনি।

আরও পড়ুন – শান্ত কামার পাড়া

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, পুরাতন চাষ পদ্ধতির কারনে এই এলাকার কৃষকরা পিছিয়ে আছেন। তারদের উচ্চ ফলনশীল চাষ আবাদে অভ্যস্ত করার চেষ্টা করছি। তারা যদি সময় মত বীজ বপল করতে পারেন তবে সঠিক সময়ে ফসল তুলতে পারবে। তা হলে তাদের আর লোকমানের কথা ভাবতে হবে না।

শান্ত কামার পাড়া

0

ঈদ ব্যস্ততা নেই কামার পাড়ায়। দিন-রাত লোহা পেটানোর শব্দ কানে আসেনা প্রতিবেশীদের। দিন পাল্টেছে। বসন্তের অলস দুপুরে কামার পাড়ায় অনেকটাই শুনশান নিরবতা বইছে। বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার খোকসার জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের মামুদানীপুর কামার পাড়ার ছবি গুলো

আরও পড়ুন –

আরও পড়ুন –

ঘন্টার ব্যবধানে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ১ ঘন্টার ব্যবধানে পৃথক দুটি স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে প্রাগপুর-কুষ্টিয়া মহাসড়কের প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বালু ভর্তি ট্রলির ধাক্কায় আসমত আলী (৬০) নামে এক সাইকেল আরোহী নিহত হন।

অপরদিকে, সকাল ৮টার দিকে মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সরকারি সহায়তার (ভিজিএফ) চাল নিতে গিয়ে যাত্রীবাহী একটি বাসের ধাক্কায় নার্গিস বেগম (৫০) নামে এক নারী প্রাণ হারান।

নিহত আসমত আলী আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ গ্রামের মৃত লালু মন্ডলের ছেলে এবং নার্গিস বেগম মথুরাপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার মতলেব মন্ডলের স্ত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আসমত আলী তারাগুনিয়া বাজারে পান কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পৌঁছালে বালু ভর্তি ট্রলির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদে সরকারি সহায়তার চাল নিতে গিয়ে নিরাপদ পরিবহন নামের একটি বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারান নার্গিস খাতুন।

আরও পড়ুন – ঈদে ব্যস্ততা নেই খোকসার কামার পাড়ায়

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হুদা জানিয়েছেন, পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারী ও এক পুরুষ নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঈদে ব্যস্ততা নেই খোকসার কামার পাড়ায়

0

স্টাফ রিপোর্টার

ঈদ এলেই ব্যস্ততা বেড়ে যেতো কামার পাড়ায়। দিন-রাত লোহা পেটানোর শব্দ। ঘুমে ব্যঘাত হত প্রতিবেশীদের। দিন পাল্টেছে। এখন আর ব্যস্ততা নেই কামার পাড়ায়। অনেকেই পেশা ছেড়েছেন। কিন্তু শচীন কর্মকার, সুদেব কর্মকার ও সুকুমার কর্মকার সহোদর পেশা ছাড়েনি। তবে তারা আর আগামী প্রজন্মকে লোহা পেটানোর ব্যবসায় আনতে চান না।

সূত্র মতে কুষ্টিয়ার খোকসার ইউনিয়ন গুলোর মধ্যে মানিকাট, কমলাপুর, আজইল, ভবানীগঞ্জ, উথলি, মামুদানীপুরসহ ১০টি গ্রামে প্রায় ৭ শত পরিবার কৃষি ও ঘর গৃহস্থলীর কাজে দা, কাঁচি, কুড়াল, বটিসহ নানা পদের জিনিষপত্র তৈরী করে দুধে মাছে চলতো। কিন্তু লোহা পিটে যন্ত্র বানোর মত কঠিন কাজ এখন আর কেউ করতে চায় না। এ ছাড়া স্পাত লোহা কয়লা সংকট রয়েছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়েও ঈদ উৎসব এলে পাইকাররা গ্রামে গ্রামে এসে দিনের পর দিন মালের জন্য অপেক্ষা করতেন।

জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের মামুদানীপুর কামার সম্প্রদায়ের ১৪ থেকে ১৫টি পরিবারের সববাস ছিল। এই গ্রামের লোহার কর্মকারদের তৈরী দা, কাঁচি, কুড়াল, বটি, খুন্তা (মাটিতে গর্ত করার যন্ত্র) এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হতো। স্পাত লোহা, কয়লা ও শ্রমিকের সংকটে অনেকেই লোহার কাজ ছেড়ে অন্য পেশায় পাড়ি জমিয়েছে।

তবে পেশা বদলাতে পারে মামুদানিপুর গ্রামের মৃত তারাপদ কর্মকারের তিন ছেলে শচীন কর্মকার, সুদেব কর্মকার ও সুকুমার কর্মকার। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও চার পুরুষের ব্যবসা ধরে রেখেছেন। ঘর গৃহস্থালীর কাজে ব্যবহারের দা, বটি কাচি তৈরী ও মেরামতের কাজ করে তাদের তিন ভাইয়ের ১২ জনের পৃথক পরিবার চলছে। ছেলে সন্তানদের লেখা পড়া করাচ্ছেন। তবে আগামী প্রজন্মকে আর এই পেশায় আনতে চান না।

পাইকপাড়া ফুলতলা থেকে ফুলবাড়ি বাজারে যেতেই মামুদানীপুর। পাকা রাস্তার পাশে বিশাল বটগাছের নিচে সাড়ে সাড়ে কয়েকটা জীর্ণশীর্ন ঘর দাঁড়িয়ে আছে। শনখড়ে দিয়ে পুরু করে ছাউনি দেওয়া একটি ঘরে কর্মব্যস্ত কয়েকজন মানুষ। লোহা পেটার টুংটাং শব্দের সাথে হাফরের (বাতাস দেওয়ার যন্ত্র) বাতাসের ফুস ফাঁস শব্দ রাস্তা থেকেই পাওয়া যাচ্ছিলো। একমনে কাজ করেছেন তিনজন। পাশে চড়াটের উপর বসে গল্প করছিল কাজ দিতে আসা অপেক্ষায় থাকা কৃষকেরা।

পৈত্রিক ব্যবসার প্রধান কারিগর শচীন কর্মকার। খুবই কম কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন সবার ছোট সুকুমার কর্মকার। সামান্য কিছু জমির ফসল আর ব্যবসার আয় দিয়ে তারে তিন ভাইয়ের তিনটি সংসার চলে। আগে ঈদের এক মাস আগে থেকে কাজের চাপ বৃদ্ধি পেত। এখন আর তেমন ব্যস্ততা নেই। সারা বছর ঘর গৃস্থালি ও কৃষকের দা কাঁচি তৈরী ও মেরামত করে থাকেন।

তাদের পাশেই জীর্ণদশাগ্রস্থ ঘরে কাজ করছিলেন পাশের গ্রাম ফুলবাড়ির ভম্বল কর্মকারের ছেলে বিপ্লব কর্মকার। মাঠে ৬শতক জমি তার পূজি। থাকেন পরের জমিতে ঘর করে। এই ব্যবসা করেই জীবীকা চলে।

আরও পড়ুন – খোকসায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

সুদেব কর্মকার ঘরের এক কোনে বসে কাঁচিতে ধার তুলছিলেন। তিনি জানান, আগে ঈদ পূজা এলেই কর্মব্যস্ততায় তাদের চোখের ঘুম বন্ধ হয়ে যেতো। এখন আর তেমন কাজ হয় না। কারখানায় তৈরী রেডিমেট দা কাচি বটির উপর মানুষের ঝোঁক বেশী। লোহার কাজ তাদের পূর্ব পুরুষেরাও করতে। এই গ্রামে ১৪/১৫ ঘর কর্মকার সম্পদায়ের লোক বসবাস করতো। স্পাত লোহা, শ্রমিক ও মূলধন না মেলায় সবাই পেশা ছেড়েছে। তাদের তিন ভাইয়ের বিকল্প পেশা না থাকায় গ্রামে শুধু তারাই এই ব্যবসা করছেন। তবে ছেলেদের আর এই ব্যবসায় আনতে চান না।

সর্বশেষ সংবাদ

পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। সোমবার ভ্যাটিকানের...

শেখ হাসিনাসহ পরিবারের ১০ জনের এনআইডি ‘লক’

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার রোন শেখ রেহানা সিদ্দিকসহ তার পরিবারে ১০ জনের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্থগিত (লক) করেছে নির্বাচন কমিশনের...

কলেজ মাঠে স্থাপনা নির্মাণের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ঝিনাইদহের শৈলকূপার দুঃখী মাহমুদ ডিগ্রি কলেজ মাঠে স্থাপনা নির্মাণের প্রতিবাদে কলেজের শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার (২১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে খুলনা-কুষ্টিয়া...

খোকসার বিএনপি নেতারা আধিপত্য বিস্তারে বাকযুদ্ধে সক্রিয়

স্টাফ রিপোর্টার কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা বিএনপির নেতাদের পাল্টা-পাল্টি শো ডাউন ও সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া উষ্কানী মূলক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে। এসব বক্তব্যে ৫...

অন্ধত্ব রুখতে পারেনি আরশাদ আলীকে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি আরশাদ আলীর দুই চোখই অন্ধ। ৬ বছে বয়সে গুটি বসন্ত রোগে চোখের আলো হারান তিনি। অন্ধত্ব রুখতে পারেনি আরশাদ আলীকে। জীবনযাপনে সাময়িক প্রতিবন্ধকতা...