কুমারখালী প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানামোড়স্থ সোনাবন্ধু সড়কে মাসখানেকের ব্যবধানে ফের চুরি ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার দিনগত রাতে দোকানের সাটার ভেঙে সুচনা বস্ত্রালয় ও সিফাত ফ্যাশন কর্ণার নামে দুই দোকানে নগদ টাকা চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দোকান দুটি থেকে প্রায় তিন লাখ ১৮ হাজার টাকা চুরি হয়েছে বলে ধারণা করাছেন ব্যবসায়ীরা।
গত ৩ অক্টোবর আজাদ বস্ত্রবিতানে একই স্টাইলে চুরির ঘটনা ঘটে। পুলিশের ভাষ্য, চুরির ঘটনা গুলো রহস্যময়। পুলিশ বলছে, চুরির সাথে দোকানীদের পরিচিতরা জড়িত থাকতে পারে।
অপরদিকে থানা চত্বর থেকে দুইশ মিটারের মধ্যে বারবার চুরির ঘটনায় চরম আতঙ্কে রয়েছেন এই সড়কের কয়েক শত ব্যবসায়ীরা। তাঁরা চুরির রহস্য উদঘাটন, দোষীদের শাস্তি ও নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সুচনা বস্ত্রালয়ের পিছনের লোহার গেট ও দোকানের একটি টিনের সাটার ভাঙা। সেখানে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা ভিড় করেছে। সাদা পোশাকে কাজ করছে পুলিশ। রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
এসময় দোকানের মালিক সিরাজুল ইসলাম বলেন, সকাল ৯ টার দিকে দোকনে এসে দেখি পিছনের গেট ও একটা সাটার ভাঙা। তালা খুলে ভিতরে গিয়ে দেখি ক্যাশের ডয়ারে থাকা প্রায় ২৮ হাজার টাকা এবং টিনের বাক্সে প্রতিদিন ৫০০ টাকা করে জমিয়ে রাখা আরো এক লাখ ৮২ হাজার টাকা নেই।
তাঁর ভাষ্য, তিনি প্রতিদিন রাতে দোকান বন্ধ করার সময় সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ করে যান। তিনি থানায় অভিযোগ করবেন।
সিফাত ফ্যাশন কর্ণারে গিয়ে দেখা যায়, মানুষের ভিড়। দোকানের একটা সাটার ভাঙা। এসময় দোকান মালিক নাজমুল হোসেন বলেন, সকালে দোকানে এসে দেখি একটা সাটার ভাঙা। সিসিটিভির পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করেছে চোররা। তাঁর ভাষ্য, ব্যাংকে জমা রাখার জন্য রাতে তাঁর চাচা তাঁর কাছে এক লাখ ১০ হাজার টাকা রেখে গেছেন। সেই টাকা চুরি হয়েছে।
সোনালী হস্তশিল্পের প্রোপাইটর জসিম উদ্দিন বলেন, থানার খুব কাছে এবং তিনজন করে লোক রাতে পাহাড়ায় থাকে। তবুও বারবার চুরির ঘটনা ঘটছে। এতে মালামাল নিয়ে আমরা খুব আতঙ্কে আছি।
বাজার কমিটির সভাপতি কে এম আলম টমে ফোনে বলেন, চুরি নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি। বিষয়টি নিয়ে নৈশ্য প্রহরী, ব্যবসায়ী ও পুলিশের সাথে বসাবসি করা হবে।
পৌরসভা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক গোলাম মওলা বিশ্বাস জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। চুরির ঘটনা অত্যন্ত রহস্যজনক। দোকানীরা কেউ চুরির সাথে জড়িত আছে কি না – তা তিয়ে দেখা হচ্ছে।