স্টাফ রিপোর্টার
গড়াই নদীতে বিশালদেহী প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে সাড়ে ৫শ বছরের ঐতিহ্যবাহী খোকসার কালীর বার্ষিক পূজার প্রথম পর্ব শেষে। সপ্তমী পূজা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকতা চলবে ।
শনিবার বিকালে ক্রিরিটি (মুকুট)সহ ১১ হাত লম্বা দীর্ঘদেহী কালী মুর্তি বার্ষিক পূজা মন্দির থেকে বেড় করা হয়। সন্ধ্যায় গড়াই নদীতে প্রতিমাটি বির্সজন দেওয়া হয়। শুক্রবার গভীর রাতে মাঘী আমাবস্যার তিথিতে কালীর প্রথাগত পূজা-অর্চনা শুরু হয়। এর প্রায় ১০ ঘন্টা আগে থেকে কালীবাড়ির বার্ষিক পূজা মন্দির কেন্দ্র করে জনস্্েরাত নামে। রাতের গভীরতা বাড়ার সাথে সাথে কালীবাড়ি এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বিরামহীন ভাবে চলতে থাকে শনিবার বিকালের প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত।
পূজা কমিটির একাধিক কর্মকর্তা জানান, লক্ষাধীক পূণার্থী ও দর্শনার্থীরা কালী বার্ষিক পূজায় অংশ গ্রহন করেছেন। সারারাত তারা পূজা অর্চনায় অংশ নেন। পূণার্থীরা দুধ, মিষ্টি, পায়রা, পাঠাসহ বিভিন্ন মানষার সামগ্রী নিয়ে এসেছিল। শনিবার বিকালে প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত পূর্ণার্থী ও দর্শূনার্থী ভীড় ছিল একই রকম।
খোকসা কালী মন্দির কমিটির সভাপতি সাবেক অধ্যাপক সুপ্রভাত মালাকার বলেন, শান্তি পূর্ণভাবে কালীর বার্ষিক পূজার একটি পর্ব শেষ হয়েছে। পূনার্থীরা শান্তি পূর্ণ ভাবে পূজায় অংশ গ্রহন করেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সাভাবিক রাখতে পুলিশ ও নিজেদের স্বেচ্ছা সেবকরা তৎপর ছিল।
উল্লেখ্য, কিংবদন্তির আলোকে জানা যায়, প্রায় সাড়ে ৫ শতাধিক বছর আগে এক তান্ত্রিক সাধু গড়াই নদীর তীরে খোকসার কালীর পূজার গোরাপত্তন করেন। রাজা জমিদারী আমলে পূজা ও মেলার পরিধি বাড়ে। সে সময়ে কালীর বার্ষিক পূজা কেন্দ্র করে দেশ বিদেশের ভক্ত সমবেত হতে শুরু করে। এ সময় মাসাধিকাল ধরে গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হত।