স্টাফ রিপোর্টার
উচ্চ আদালত আদেশের পরেও কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী ওহিদুল ইসলামকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলা নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে আদালতের অবমাননার অভিযোগ নিয়ে তিনি আবার উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত খোকসা উপজেলা নির্বাচনের ৭জন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। ওসমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ওহিদুল ইসলামের মনোনয়ন পত্রের সাথে পদত্যাগ পত্র না থাকায় তার প্রার্থীতা বাতিল করেন রির্টানিং অফিসার। এ আদেশের বিরুদ্ধে ওই প্রার্থী উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন। মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দের দিন উচ্চ আদালত ওহিদুল ইসলামের আবেদনের অনুকূলে আদেশ দেন। বুধবার সকালে প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পাবার জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। পরে আদালতের আদেশের অনুলীপি সহ জেলা নির্বাচন অফিসার ও রির্টনিং অফিসারের কাছে প্রতিনিধি পাঠান। কিন্তু রহস্য জনক কারণে ওই কর্মকর্তা তার প্রতীক বরাদ্দ না দিয়ে তাকে আবার উচ্চ আদালতে যাবার পরামর্শ দেন।
উচ্চ আদালত থেকে প্রার্থীতা বহাল রেখে প্রতীক বরাদ্দের আদেশ পাওয়া ওহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, জেলা নির্বাচন অফিসার ও রির্টানিং অফিসার আদালতের আদেশ অবমাননা করেছেন। একই দিনে বিজ্ঞ আদালত সিলেটের অপর এক প্রার্থীকে একই আদেশ দেন। ওই প্রার্থীকে নির্বাচন অফিসার ইতোমধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু রহস্য জনক কারণে তার প্রতীক বরাদ্দ না দিয়ে আদালতের আদেশ অবমানা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তাকে প্রতীক না দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার গভীর স্বযন্ত্র চলছে। তার প্রচারণা ব্যহত করা হচ্ছে। অন্য প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করেছে কিন্তু তিনি প্রচারণায় যেতে পারছেন না। এটা অপরাধ করা হচ্ছে। তিনি বৃহস্পতিবার আদালত অবমাননার অভিযোগ নিয়ে আবার উচ্চ আদালতে যাবেন।
কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন অফিসার ও রির্টানিং অফিসার মুহাম্মদ আবু আনসার জানান, আদালতের আদেশ পাওয়া পর তিনি নির্বাচন কমিশনের ল’সেলে চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখান থেকে আদেশ বা পরামর্শ পেলে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন।