হাটু পানি মারিয়ে ওরা স্কুলে যায়

0
80

কুমারখালী প্রতিনিধি

বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে স্কুল মাঠে, হাটু সমান পানি মারিয়ে ক্লাসে উপস্থিত হয় শিশুরা। স্কুলের একজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষক স্কুলে আসতে পারছেন না।

কুমারখালী উপজেলার ৯১ নং তারাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষকসহ শিশু শিক্ষার্থীদের এমন দুর্ভোগের চিত্র চোখে পড়ে।

ওই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে আলাপকালে জানা গেছে, স্কুলের মাঠে পানি জমে থাকায় তাদের প্রতিদিন আধা ভিজা হয়ে ক্লাসে উপস্থিত হতে হচ্চে। সেই সাথে তাদের শরীরচর্চা ক্লাসও বন্ধ রয়েছে। স্কুলে এসে পুরো সময় তাদেরকে শ্রেণিকক্ষের ভিতরে বসে থাকতে হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আলাল সেখ জানান, স্কুলের চারিদিকে বসত বাড়ি হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির মৌসুমে স্কুলের মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। আর জলাবদ্ধতার কারণে বাচ্চারা খেলাধুলা করতে পারে না, শিক্ষকদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এজন্য বালি ভরাটের মাধ্যমে মাঠটি উঁচু করা জরুরী।

প্রধান শিক্ষক আল্পনা রানী জানান, এই স্কুলটি একেবারেই খোলামেলা ছিল। সম্প্রতি স্কুলের চারিদিকে প্রাচীর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্কুলের সামনের মাঠ নীচু হওয়ায় বৃষ্টিতে পানি জমে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। আর এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। তিনি আরো জানান, এই স্কুলের একজন শিক্ষক শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তিনি স্কুলে আসতেই পারছেন না।

প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, মাঠের বালি ভরাটের জন্য সংসদ সদস্য মহোদয়কে অবগত করেছি এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের দপ্তরে আবেদন করেছি।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুনেছি বৃষ্টিতে ৯১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এধরনের আরও কয়েকটি বিদ্যালয়ের মাঠ ইতোমধ্যেই এমপি মহোদয়ের বরাদ্দের মাধ্যমে বালি ভরাট করা হয়েছে। এই বিদ্যালয়ের মাঠের বালি ভরাটের জন্যও আলাপ করবো। বরাদ্দ পেলেই জলাবদ্ধতার নিরসন হবে।