স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ার খোকসায় জমির পর্চা তোলার জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার প্রমান মেলায় সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের এক দলিল লেখককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা কম্পাউন্ডে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেশমা খাতুন এ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযুক্ত দলিল লেখকের নাম শ্রী বাহুবল্লভ সরকার। তার লাইসেন্স নম্বর ২৫। সে উপজেলার মানিকাট গ্রামের বলরাম সরকারের ছেলে।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, কৃষক নিত্য রঞ্জন পাল তার নামীয় একটি জমি রেজিস্ট্রির জন্য আর এস পর্চার প্রয়োজন হয়। এ জন্য দলির লেখক শ্রী বাহুবল্লভব সরকার ওই কৃষকের কাছ থেকে ৪৫০০ টাকা হাতিয়ে নেন। বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী নিজে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)র কাছে অভিযোগ করেন। এক পর্যায়ে দলির লেখককে ওই কর্মকর্তা তার দপ্তরের ডেকে আনেন। দলিল লেখক পর্চা তুলতে ৪৫০০ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। ভ্রাম্যমান আদালত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে দলিল লেখক বাহুবল্লভ সরকারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
আরও পড়ুন – প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী
কৃষক নিত্য রঞ্জন পালের জামাতা বিকাশ বাছাড় জানান, তার শ্বশুর একটি মন্দির ও তার ছেলেকে ৯৯ শতাংশ জমি দান করেন। এই জমি রেজিস্ট্রেরির সময় আর এস পর্চা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। সাব রেজিস্ট্রার ওই পর্চার একটি সাটিফাই কপি আনতে বলেন। আর এখানেই ঘটে বিপত্তি। কয়েক মাস পর বৃহস্পতিবার সকালে পর্চার সাটিফাই কপি দিয়ে মন্দির ও ছেলের নামে দানের জমি রেজিস্ট্রির পর দলিল লেখন ওই জমি দাতার কাছে পর্চা বাবাদ ৪৫০০ টাকা বাদি করেন। দাবিকৃত টাকা পরিশোধের পর বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)র কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী জমি দাতা। পরে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালত ওই দলিল লেখকে জরিমানা করেছে।
আরও পড়ুন – কাঁচা আম ও শৈশব
এক সপ্তাহে খোকসা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে দুদক অভিযান পরিচালনা করে। ওই অফিসে হানা দিয়ে নৌশ প্রহরীর পকেট থেকে ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করে। এ ছাড়া অফিসের নানা অসঙ্গিতি দেখতে পেয়েছেন বলে অভিযানিক দলের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।