ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের নামে মামলা

0
8

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিজ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। ওই ছাত্রীর চাচা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় মামলাটি করেন। অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছেন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।

এ ঘটনায় অভিযোগ ওঠা শিক্ষকের নাম শেখ রেজাউল করিম মিলন। তিনি উপজেলার চৌরঙ্গী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য।

গত রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার চৌরঙ্গী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে চৌরঙ্গী বাজার এলাকায় কুমারখালী-পাল্টি সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ইতোমধ্যে ছাত্রীর চাচা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেছেন।

সোমবার (১৯ মে) বিকাল সোয়া ৪ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোলায়মান শেখ। তিনি বলেন, স্কুল ছাত্রীকে উপবৃত্তি প্রদান ও মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার কথা বলে ডেকে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

জানা গেছে, ১২ মে দুপুরে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে উপবৃত্তি দেওয়ার কথা বলে সহকারী প্রধান শিক্ষক উম্মত আলী ভুক্তভোগী ছাত্রীকে লাইব্রেরিতে প্রধান শিক্ষকের কাছে রেখে আসেন। এর পর প্রধান শিক্ষক তার ছাত্রীকে মোবাইল কিনে দেওয়া এবং উপবৃত্তির কথা বলে যৌন হয়রানি করেন। এ ঘটনায় গত ১৫ মে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওই ছাত্রীর মা। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হককে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম মিলনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সহকারী প্রধান শিক্ষক উম্মত আলী বলেন, মামলা হওয়ায় হেড স্যার পলাতক রয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত করে গেছেন।

মামলার বাদী ও ছাত্রীর চাচা বলেন, সঠিক বিচারের আশায় থানায় মামলা করেছি। মামলার কাজে মেয়েকে নিয়ে আদালতে ছিলাম। সেজন্য তদন্তে উপস্থিত থাকা হয়নি।

আরও পড়ুন – খোকসার গড়াই নদীতে ভাসছিল বৃদ্ধার লাশ

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হয়েছে। তবে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক এবং ওই ছাত্রীকে পাওয়া যায়নি। তাদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। থানার মামলা বিষয় জানা নেই বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।