কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের কুমারখালীতে গড়াই নদীর ওপর নির্মিত সৈয়দ মাসউদ রুমী সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনু্ষ্িঠত হয়েছে। বুধবার (২১ মে) বিকাল সাড়ে ৩ টায় কুমারখালী বাসস্টান্ড সংলগ্ন গোলচত্বর এলাকায় মানববন্ধনের আয়োজন করেন সর্বস্তরের জনগণ ও আহত জুলাই যোদ্ধাগণ।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমারখালী শাখার আহবায়ক আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আফজাল হুসাইন, কুষ্টিয়া শহর ছাত্র শিবিররে সভাপতি হাফেজ সেলিম রেজা, কুমারখালী প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সোহাগ মাহমুদ খান, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক শরিফুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার মুখপাত্র পারভেজ মোশাররফ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা মুশফিকুর রহমান তিহা, নয়ন হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘২০০৪ সালে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করে সওজ। ২০০৫ সাল থেকে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ইজারাদারের মাধ্যমে টোল আদায় করা হয়। তবে সেতু নির্মাণের পর তিনগুণ টাকা টোল আদায় হয়েছে। তবুও ফ্যাসিবাদীরা টোলের নামে জনগণের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছিল। সেজন্য গত বছর ৫ আগষ্ট জ্লুাই বিপ্লবের পর ছাত্রজনতা টোল আদায় বন্ধ করে দেন। সম্প্রতি আবারো টোল আদায়ের পাঁয়তারা করছেন ফ্যাসিবাদী সরকারী কর্মকর্তা। তবে স্থায়ীভাবে টোল বন্ধের দাবি জানান বক্তারা।
সওজ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত বছরের ৭ আগস্ট সকালে টোল আদায় বন্ধের দাবিতে টোলপ্লাজায় আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। সে সময় টোলপ্লাজা ছেড়ে পালিয়ে যান আদায়কারী। ১৩ আগস্ট সওজ কর্তৃপক্ষ টোল আদায় করতে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা বাধা দেয়। এরপরও কয়েক দফা হামলা হয়েছে। নিরাপত্তার অভাবে সেখান থেকে চলে আসেন কর্মকর্তারা। এরপর থেকে টোল আদায় বন্ধ রয়েছে। এতে সরকার প্রতিদিন তিন-চার লাখ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানান কুষ্টিয়া সওজ কর্তপক্ষ। সম্প্রতি সেতুর টোল আদায়ের জন্য আবারও দরপত্র আহবান করেছে সওজ কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন – যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ব্রিধান চাষে ফলন বেড়েছে
এ বিষয়ে জানতে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মনজুরুল করিমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, বিষয়টি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।