দৌলতপুর দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে জিম্মি

0
16

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ফিলিপনগর ইউনিয়নে বর্তমান “গিট্টু সোহাগ ও টুকু” এবং প্রয়াত লালচাঁদ বাহিনীর আতংকে অতিষ্ঠ জনগন ও জমি এবং বাথানের গরু মালিকরা।

ফিলিপনগর ইউনিয়নের বিষয়ে কেউ বলছেন সন্ত্রাসের জনপদ, কেউবা বলছেন বর্তমানে “গিট্টু সোহাগ ও টুকু” এবং প্রয়াত লালচাঁদ বাহিনীদের অভয়ারণ্য।

এই জনপদের মানুষ এখন নির্বিঘেœ, নিরাপদে, শান্তিতে বসবাস করতে পারছে না। প্রকাশ্যে স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহড়া, গোলাগুলি এই এলাকায় যেন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

সূত্র জানায়, এই সন্ত্রাসী বাহিনীর নেপথ্যে আমিরুল, একাধিক হত্যা মামলাসহ অন্যান্য মামলার আসামী ও অস্ত্র ব্যাবসায়ী তরিকুল ইসলাম টুকু বর্তমান ফিলিপনগরের বাসিন্দা, চিলমারী, মরিচা ও রাজশাহী বাঘা থানার চরাঞ্চলে ত্রাস, জমিদস্যু, ডাকাত, গরুর বাথানের রাখাল ও মালিকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজ গিট্টু-সোহাগ, গিট্টুর ভাই জিল্লু, রিন্টু গিট্টু, শামীম, আল আমীন, রওশন, রাসেল, লালন, হিমেল মেকারের নাম শোনা যাচ্ছে।

এদিকে প্রয়াত লালচাঁদ বাহিনীর সন্ত্রাসীদের মধ্যে রয়েছে -সুকচাঁদ, সুকচাদের ছেলে বিপ্লব ও বিমল, নাহারুলের ছেলে মামুন, নিজাম গং।

উল্লেখিত সন্ত্রাসী দুই বাহিনীর গডফাদার হচ্ছে তরিকুল ইসলাম টুকু। এদের সকলের নামে একাধিক হত্যা মামলা, হত্যাচেষ্টা, চাঁদাবাজি, মারামারিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি,পরপর তিন বারের ফিলিপনগর ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টুকে তার অফিসে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সরাসরি অংশ নেয় “গিট্টু সোহাগ ও টুকু বাহিনীরা ক্যাডাররা।

এছাড়া, ২০২৩ সালে দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চক দৌলতপুর গ্রামের মারুফ হত্যাকান্ডের ঘটনায়ও “গিট্টু-সোহাগ” ও লালনের নাম আসে।

ফিলিপনগর ইউনিয়নের প্রয়াত চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টু হত্যার পর জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত হয়ে আবারও ফিলিপনগর এলাকায় সন্ত্রাস ছড়িয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত করেছে “গিট্টু- সোহাগ ও টুকু এবং লালচাঁদ” বাহিনীর ক্যাডাররা। তারা নিয়মিত চাঁদাবাজি, জমি দখল, অস্ত্র বাণিজ্যসহ নানা অপরাধ করেই চলেছে। ফিলিপনগরের চরাঞ্চলের সাধারণ মানুষ এই সন্ত্রাসীদের জিম্মি হয়ে প্রাণনাশের ভয়ে প্রশাসনের দারস্ত হতেও ভয় পাচ্ছে।

এই সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান তরিকুল ইসলাম টুকু, যিনি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার চারাবটতলা এলাকায় থেকে অপকর্ম নিয়ন্ত্রণ করেন নিয়মিত।

সূত্র জানায়, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পুলিশ কিছুটা নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগে ও দৌলতপুর উপজেলার বিএনপির প্রভাবশালী দুই নেতা ও তার পরিবারের সদস্যদের মদদে ফিলিনগর, চিলমারী, মরিচার চরাঞ্চলে এলাকায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ফিলিপনগর ইউনিয়নের”গিট্টু সোহাগ ও টুকু এবং প্রয়াত সন্ত্রাসী লালচাঁদ” বাহিনীর সদস্যরা। স্থানীয় এলাকাবাসী এই দুই বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে অবিলম্বে ফিলিপ নগর ইউনিয়নে র‌্যাপিড একশন ব্যাটেলিয়ানের (র‌্যাব) অথবা বিজিবি ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, দৌলতপুর থানাধীন ফিলিপনগর, চিলমারী, মরিচা এই তিন ইউনিয়নের চরাঞ্চলের সন্ত্রাসী “গিট্টু-সোহাগ, টুকু ও লালচাঁদ বাহিনীদের বর্তমান আইনবিরোধী কার্যক্রম বিষয়ে আমরা কাজ করছি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের কুষ্টিয়া জেলা পুলিশসহ জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সকল ইউনিট কাজ করছে।