নিখোঁজ যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার, নেপথ্যে মাদক ব্যবসা

0
41

স্টাফ রিপোর্টার

গন্ধের উৎস্য খুজতে গিয়ে নির্মানাধীন ঘরের বারন্দার একটি কক্ষে পাওয়া গেলো অজ্ঞাত পরিচয়ের যুবকের মৃতদেহ। পরে স্ত্রী ও মা নিহত যুবক পরিচয় নিশ্চিত করলেন। তিন দিন আগে যুবক শাহিন বাড়ি থেকে বেড়িয়ে নিখোঁজ হয়।

মঙ্গলবার বিকালে খোকসা পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাঠ পাড়ার একটি নির্মানাধীর একটি বাড়ি থেকে ওই যুবকের মৃতদেহটির খোঁজ মেলে। পরে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হলে সন্ধ্যার পর লাশ উদ্ধার পক্রিয়া শরু করা হয়। এ সময় একই গ্রামের শাহীনা খাতুন নামের এক নারী জানান, গত রবিবার থেকে তার বড় ছেলে শাহিন (৩৫) কে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে যুবকের (শাহিনের) স্ত্রী শ্যামলী খাতুন নিশ্চিত করেন মৃতদেহ তার স্বামীর। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত মৃতদেহ উদ্ধারে কাজ করছিলো পুলিশ।

খোকসা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন শাহিনের গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত শাহিন মাঠপাড়া গ্রামের আছির উদ্দিনের বড় ছেলে। সে তিন সন্তানের পিতা। নিহত যুবক একটি আড়তের শ্রমিক ছিলো। মাদক ব্যবসা কেন্দ্র করে হত্যাকান্ড হতে পারে বলে মনে করছে নিহতের মা ও স্ত্রী।

নির্মানাধীন বাড়ির মালিক জাহিদ হোসেন ওরফে বুশ জানান, বিকালে মাঠ থেকে ফিরে নিজের নির্মানাধীন বাড়ির উঠানে এসে দাঁড়ান। এ সময় তিনি হালকা গন্ধ পান। পরে ঘরে দিকে এগিয়ে গেলে গন্ধ গভীর হয়। ঘরে উঠতে বারান্দার একটি কক্ষে সাদা পলিথিনে মোড়ানো মানুষের মৃতদেহ দেখতে পান। পরে থানায় খবর দেন।

তিনি আরও জানান, আগের দিন সোমবার বিকালে তারা কয়েকজন বাড়ির মালিক তার ঘরের বারান্দায় বসে গল্প করেছেন। কিন্তু তখন কিছু বুঝতে পারেনি। তিনি অনুমান করছেন কেউ ওই যুবককে হত্যা করে রেখে যেতে পারে।

নিজের ছেলের মৃতদেহ সনাক্তের আগে শাহিনা খাতুন জানান, রবিবার দিনে বাড়িতে সামান্য কথা কাটা কাটির জের ধরে শাহিন চলে যায়। আর বাড়ি ফিরে আসেনি।

নিহত শাহিনের স্ত্রী শ্যামলী দাবি করেন, তার স্বামীর সাথে এলাকার মাদক ব্যবসায়ী বাপ্পীর বিরোধ হয়। এঘটনার সূত্র ধরে পরিকল্পিত ভাবে শাহিনকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, কয়েক দিন আগে এলাকার মাদক ব্যবসায়ী বাপ্পী তাদের বাড়িতে এসে শাহিনকে হুমকী দিয়ে যায়।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ নাঈমুল ইসলাম জানান, শাহিনকে রবিবারেই হত্যা করা হয়েছে। গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের শরীরে কোন আঘাতের আলামত পাওয়া যায়নি। নিহতের গায়ে গেঙ্গি ও পরনে জিনসের প্যান্ট পড়া ছিলো। মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়ে মামলা হবে।