কুষ্টিয়ায় দুর্নীতির মামলায় কোর্ট পরিদর্শকের দুই বছরের জেল

0
168
Kushtia-co-droho-15-p1

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় অর্থ আত্মসাত ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদক’র দায়ের করা মামলায় কোর্ট পরিদর্শকের (সিএসআই’র) দুই বছরের কারাদন্ড ও ৭০ হাজার টাকা জরিমানে অনাদায়ে আরো চার মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার বিশেষ জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আশরাফুল ইসলাম জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সিএসআই মোস্তফা হাওলাদারকে এ কারাদন্ড প্রদান করেন। মামলায় অপর আসামি কোর্ট পরিদর্শক কায়মুদ্দিন খানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণীত না হওয়ায় আদালত তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত দুজনই স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর দুদক, কুষ্টিয়ার সাবেক উপ-সহকারী পরিচালক শাহার আলী বাদী হয়ে ৬৩ হাজার ২শ টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ এনে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সাবেক কোর্ট পরিদর্শক মোস্তফা হাওলাদার ও অপর সাবেক কোর্ট পরিদর্শক কায়মুদ্দিন খানের বিরুদ্ধে আদালতে জিআর ৪৯৬/১০ মামলা দায়ের করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া আদালতের সদর জিআর ২৬/১০ মামলায় বিজ্ঞ আদালত ৪৩ হাজার এবং সদর জিআর ৬/১০ মামলার ২০ হাজার ২শ টাকা জরিমানা ধার্য করেন। পরবর্তীতে ওই সময় কর্মরত কুষ্টিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সিএসআই মোস্তফা হাওলাদার সদর জিআর ২৬/১০ মামলায় ৪৩ হাজার টাকার পরিবর্তে মাত্র ৩ হাজার টাকা এবং সদর জিআর ৬/১০ মামলার ২০ হাজার ২শ টাকার স্থলে মাত্র ২শ টাকার চালান জমা করে আদালতে সমুদয় টকা জমা হয়েছে এই মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি আদালতের নজরে আসলে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতের পক্ষ থেকে সোনালী ব্যাংক এবং ট্রেজারীতে সরেজমিনে খোঁজ নেওয়া হলে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি সামনে চলে আসে। মামলার কার্যক্রম শুরু হলে দুদকের পক্ষ থেকে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সিএসআই মোস্তফা হাওলাদার এবং অপর কোর্ট পরিদর্শক কায়মুদ্দিন খানের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট প্রদান করা হয়। মামলা দায়েরের পর আসামি জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সিএসআই মোস্তফা হাওলাদারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। আদালত এ মামলার ১২ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সোমবার বিজ্ঞ আদালত দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ সালের ৫(২) ধারায় আসামি জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের কোর্ট পরিদর্শক মোস্তফা হাওলাদারকে উক্ত দন্ড প্রদান করেন। একই সাথে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি কোর্ট পরিদর্শক কায়মুদ্দিন খানকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। দুদকের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন দুদকের নিযুক্ত আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আল মুজাহিদ হোসেন মিঠু।