সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
Home Blog Page 10

লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৫ জন কারাগারে

0
ছবি সংগৃহীত

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনসহ ১৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

একই মামলায় যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাঁরা হলেন মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, মঞ্জুরুল আলম, কাজী এ টি এম আনিসুর রহমান বুলবুল, গোলাম মোস্তফা, মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, মো. জাকির হোসেন, মো. তৌছিফুল বারী খান, মো. আমির হোসেন সুমন, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, দেওয়ান মোহাম্মদ আলী ও েেমা. আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম।

শুক্রবার দুপুরের আগেই তাঁদের আদালতে হাজির করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার এসআই তৌফিক হাসান প্রত্যেককে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে প্রত্যেকের পক্ষে তাঁদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পিপি মো. শামসুদ্দোহা সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠককে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি করে। ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয়ে কিছু লোক সেখানে ‘আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন’ চেষ্টার অভিযোগে বাধা দেয়।

এ সময় লতিফ সিদ্দিকীসহ অন্তত ১৬ জনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে তাঁদের হেফাজতে নেয় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাঁদের ডিবি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাতে শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।

শাহবাগ থানার এসআই মো. আমিরুল ইসলাম মামলাটি করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২৮ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে মামলার বাদী দেখতে পান, বেশ কিছু লোকজন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অডিটোরিয়ামে কিছু লোককে ঘেরাও করে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বলে ¯েøাগান দিচ্ছে এবং আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বক্তব্য দিচ্ছেন। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি বন্ধে গত ৫ আগস্ট ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ওই সংগঠনের উদ্দেশ্য জাতির অর্জনকে মুছে ফেলার সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নেওয়া। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ২৮ আগস্ট সকাল ১০টায় একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৫ জনকে আদালতে নিয়েছে পুলিশ, কারাগারে রাখার আবেদনলতিফ সিদ্দিকীসহ ১৫ জনকে আদালতে নিয়েছে পুলিশ, কারাগারে রাখার আবেদন করে।

আরও পড়ুন – প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পেতে ১২ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে

উপস্থিত লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, লতিফ সিদ্দিকী মঞ্চ ৭১-এর ব্যানারকে পুঁজি করে প্রকৃতপক্ষে দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করে অন্তর্র্বতী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র ও উপস্থিত অন্যদের প্ররোচিত করে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্যের জন্য উপস্থিত লোকজন সমবেতদের ঘেরাও করে ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট’ বলে ¯েøাগান দেয়।

আরও পড়ুন – মঞ্চ ৭১ এর অনুষ্ঠানে উত্তেজনা লতিফ সিদ্দিকী পুলিশ হেফাজতে

প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পেতে ১২ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে

0

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে নতুন বিধিমালা জারি করেছে সরকার। এতে নিয়োগের যোগ্যতা, কোটা, পদোন্নতিসহ নানান ক্ষেত্রে বড়সড় পরিবর্তন আনা হয়েছে।

নতুন বিধিমালায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিভাগীয় প্রার্থী বা সহকারী শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা বাড়ানো হয়েছে। পদোন্নতি পেতে সহকারী শিক্ষকদের এখন ১২ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা লাগবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নতুন বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এতে সই করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা।

এর আগের অর্থাৎ, ২০১৯ সালের নিয়োগ বিধিমালায় প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভাগীয় প্রার্থী বা সহকারী শিক্ষক হিসেবে ৮ বছর চাকরি করার অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হতো।

এদিকে, নতুন বিধিমালার তফসিল-১-এর বিধি-২(গ) অংশে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রধান শিক্ষকের ৮০ শতাংশ পদে পদোন্নতি এবং ২০ শতাংশ পদ পূরণ করা হবে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে। তবে পদোন্নতিযোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলো সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে।

পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রার্থীর যোগ্যতার অংশে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক বা সহকারী শিক্ষক (সঙ্গীত) বা সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) পদে মৌলিক প্রশিক্ষণ ও চাকরি স্থায়ীকরণসহ কমপক্ষে ১২ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হবে।

অন্যদিকে, সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীর যোগ্যতায় বলা হয়, কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনে কোনো স্তরে তৃতীয় বিভাগ অথবা সমমানের জিপিএ অথবা তৃতীয় শ্রেণি অথবা সমমানের সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না।

এছাড়া শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালার তফসিল-২ এ বর্ণিত নিয়মে তাকে অবশ্যই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

এদিকে, নতুন জারি করা বিধিমালায় বলা হয়েছে, অবিলম্বে এ বিধিমালা কার্যকর হবে। আর ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ কার্যকর হওয়ার পর আগের বিধিমালা, অর্থাৎ ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯’ রহিত বলে বিবেচিত হবে।

ফলে এ বিধিমালা অনুযায়ী আগামীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি আগস্ট মাসের মধ্যেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকরী শিক্ষকের প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হতে পারে।

আরও পড়ুন – মঞ্চ ৭১ এর অনুষ্ঠানে উত্তেজনা লতিফ সিদ্দিকী পুলিশ হেফাজতে

এছাড়া দেশের প্রায় ৪০ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের বিপুলসংখ্যক শূন্যপদে শিগগির পদোন্নতি ও সরাসরি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

আরও পড়ুন – সীমান্ত হত্যাঃ বিএসএফ মহাপরিচালকের ব্যাখ্যায় দ্বিমত বিজিবির ডিজির

মঞ্চ ৭১ এর অনুষ্ঠানে উত্তেজনা লতিফ সিদ্দিকী পুলিশ হেফাজতে

0
ছবি সংগৃহীত

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

ঢাকায় এক আলোচনা অনুষ্ঠানে একদল লোকের হট্টগোল আর উত্তেজনার মধ্যে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ বেশ কয়েকজনকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে গেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে তাদেরকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানকার শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শিরোনামে গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করে মঞ্চ ৭১। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল গণফোরামের সাবেক সভাপতি কামাল হোসেনের।

সেখানে ‘জুলাইযোদ্ধা’ পরিচয়ে আল আমিন রাসেলের নেতৃত্বে কয়েকজন গিয়ে উপস্থিত লোকজনদের ঘেরাও করেন। সেগুনবাগিচা ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীদেরও সেখানে দেখা যায়। পরে পুলিশ গিয়ে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়।

অনুষ্ঠানে আসা বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা বলেন, “আমি এখানে প্রোগ্রামে এসেছি। দল মতের হিসাবে নয়, এখানে সব মুক্তিযোদ্ধাদের ডাকা হয়েছে; তাই এসেছি।

“আমরা প্রোগ্রাম শুরু করেছিলাম। লতিফ সিদ্দিকী সাহেব এসেছেন। কামাল হোসেন সাহেব আসেননি। ২০/২৫ জন ছেলে এসে হট্টগোল করে। আমাদের ঘিরে ফেলে।”

লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে যাওয়ার সময় শাহবাগ থানার এসআই রাশেদ বলেন, “এখন তো এখান থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। আমরা নিয়ে যাচ্ছি। পরে সিনিয়ররা সিদ্ধান্ত নেবেন।”

শাহবাগ থানার ওসি মো. খালিদ মনসুর বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না, এডিসি স্যার উপস্থিত ছিলেন। আমার জানা মতে, ৬/৭ জনকে ডিবি অফিসে নেওয়া হয়েছে।”

অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মিলনায়তনের একটি টেবিল ভাঙা। কয়েকজন অংশগ্রহণকারী আছেন। বেশ কিছু লোক হৈ-হুল্লোড় করছেন।

জানতে চাইলে রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, “লতিফ সিদ্দিকীসহ কয়েকজনকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে; মূলত উনাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এখন সিনিয়রদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।”

আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে পান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দ্বায়িত্ব। পরে যুক্তরাষ্ট্রে সফরে গিয়ে ঘরোয়া এক আলোচনায় হজ নিয়ে মন্তব্যের জেরে মন্ত্রিসভা ও দল থেকে বহিষ্কার হন। এরপর সংসদ থেকে পদত্যাগ করে রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৪ আসনে হারলেও ২০২৪ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েই নৌকাকে হারিয়ে দেন তিনি।

আরও পড়ুন – সীমান্ত হত্যাঃ বিএসএফ মহাপরিচালকের ব্যাখ্যায় দ্বিমত বিজিবির ডিজির

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি রোধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান রক্ষার দাবিতে ‘মঞ্চ ৭১’ নামে গত ৫ আগস্ট নতুন প্লাটফর্মে আত্মপ্রকাশ ঘটে। মুক্তিযোদ্ধা, নতুন প্রজন্ম ও ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত এ প্লাটফর্মের সমন্বয় করছেন গণফোরামের নেতা বীরপ্রতীক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না।

আরও পড়ুন –  এয়োদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

সীমান্ত হত্যাঃ বিএসএফ মহাপরিচালকের ব্যাখ্যায় দ্বিমত বিজিবির ডিজির

0

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ সদস্যরা কোন পরিস্থিতিতে গুলি ছোড়ার পথ বেছে নিচ্ছে, তার একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মহাপরিচালক দালজিৎ সিং চৌধুরী, যার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন বিজিবির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

দালজিৎ সিং বলছেন, সীমান্তে বিএসএফ সদস্যরা ‘অনুপ্রবেশকারীদের ধারালো অস্ত্রের আক্রমণের’ শিকার হচ্ছেন। ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে ‘শেষ পদক্ষেপ’ হিসেবে গুলি ছোড়ার মত প্রক্রিয়াকে বেছে নিচ্ছেন তারা।

কিন্তু স¤প্রতি অনেকটা প্রকাশ্য দিবালোকে সীমান্তে একজন অপ্রাপ্তবয়স্ককে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ। এর ব্যাখ্যা কী হতে পারে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৬তম সীমান্ত সম্মেলনের শেষ দিনে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরের আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দুই মহাপরিচালক যার যার অবস্থান তুলে ধরেন।

২৫ অগাস্ট শুরু হওয়া চার দিনের এই সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা বন্ধ, ভারত কর্তৃক পুশ-ইন, সীমান্তে মাদক-জালমুদ্রাসহ অন্যান্য চোরাচালান বন্ধ এবং দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

শেষ মুহূর্তে আলোচনাটি ‘অনির্ধারিতভাবে অনেকখানি দীর্ঘ হয়’ জানিয়ে নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা পর সংবাদ সম্মেলন শুরুর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন বিজিবি মহাপরিচালক।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ মহাপরিচালক দাবি করেন, সীমান্তে ‘পুশইন’ করা হচ্ছে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই। শুধুমাত্র যারা অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছেন, তাদেরই ‘নিয়ম মেনে’ বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত ৫৫০ জনকে বিজিবির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এবং আরো ২ হাজার ৪০০ ‘কেইস’ যাচাই বাছাইয়ে রয়েছে বলে তথ্য দেন তিনি।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভারতীয় নাগরিককেও বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে শুধু বাংলাভাষী হওয়ার কারণে। কিছু রোহিঙ্গাকেও বাংলাদেশে ‘পুশইন’ করা হয়েছে, এগুলো কতখানি বৈধ জানতে চাইলে বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, আইনের মধ্য থেকে ‘যথাযথ চ্যানেলে’ পুশইন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে।

স¤প্রতি একজন ভারতীয় নাগরিকের মেয়েকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার তথা জানানো হলে বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, ‘যথাযথ প্রক্রিয়ায়’ জানানো হলে ভারত তাদের গ্রহণ করবে।

শুধুমাত্র ধর্মীয়, বা ভাষাগত কারণেই কি ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশইন করা হচ্ছে? এ প্রশ্নে বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, “সীমান্ত আইন লঙ্ঘনজনিত অপরাধের ক্ষেত্রে আমাদের দুই দেশের মধ্যে প্রত্যাবর্তনের (ডিপোর্টেশন) ওয়েল এস্টাবলিস্ট বৈধ চ্যানেল রয়েছে। যার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। এদের মধ্যে যদি কেউ ইন্ডিয়ান নাগরিক হয়ে থাকেন, তাহলে তাকে তাৎক্ষণিক গ্রহণ করা হবে।”

সীমান্তে হত্যা বন্ধ করা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ ডিজি বলেন, “চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ৩৫ জন বিএসএফ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন অনুপ্রবেশকারীদের ধারালো অস্ত্রের হামলায়। সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ সদস্যরা প্রথমে সতর্ক করে, বাধা দেয়। এবং শেষ পদক্ষেপ হিসেবে গুলি ছোড়া হয়।”

তার এমন বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, স¤প্রতি একজন অল্প বয়সী বাংলাদেশি নাগরিককে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ। ওই শিশুটি সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য কতোটুকু ঝুঁকিপূর্ণ ছিলÑ সেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন বিজিবির ডিজি।

সীমান্তে হত্যা বন্ধের বিষয়ে বৈঠকে বিজিবি ও বিএসএফ কী ধরনের সিদ্ধান্তে উপনীত হল জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, এ বিষয়ে এবারের সীমান্ত সম্মেলনে ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে’ আলোচনা হয়েছে।

সীমান্তে প্রাণঘাতি অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় রাতের বেলা টহল জোরদার করে সীমান্ত হত্যার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সে ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে বৈঠকে।

আরও পড়ুন – এয়োদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

উভয়পক্ষ যৌথভাবে সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ, সীমান্তের অলঙ্ঘনীয়তা সম্পর্কে প্রেষণা প্রদান এবং অপরাধীদের আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম প্রতিরোধের মাধ্যমে এ ধরনের আক্রমণ, নির্যাতন ও হামলার ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনার বিষয়ে সম্মত হয়েছে বলে আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী জানান।

আরও পড়ুন – রাস্তায় প্রভাবশালীর দেওয়াল গুড়িয়ে দিলো প্রশাসন

এয়োদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

0

তফসিল ডিসেম্বরে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আনুষ্ঠানিকভাবে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী চলতি বছরের ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এ রোডম্যাপ ঘোষণ করেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা চূড়ান্ত, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন ও দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন চূড়ান্ত করাসহ ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলিকে প্রাধান্য দিয়ে রোডম্যাপ ঘোষণা করে ইসি। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী সংসদ নির্বাচন হবে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এবং তফসিল ঘোষণা হবে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে।

ইসি রোডম্যাপে জানায়, তফসিল ঘোষণার দুই মাস আগে হেলিকপ্টার সহায়তার প্রয়োজন হবে এমন ভোটকেন্দ্র বাছাই করে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র, কক্ষ সংখ্যা, কাছের হেলিপোর্ট, যাত্রা শুরু ও শেষ এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্য জানানোর জন্য জেলা নির্বাচন অফিসার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়িকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন – রাস্তায় প্রভাবশালীর দেওয়াল গুড়িয়ে দিলো প্রশাসন

এছাড়া তফসিল ঘোষণার ১০ দিন আগে কাছের টেইক অব ও ল্যান্ডিং স্টেশন নিদিষ্ট করে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ও কক্ষ সংখ্যার ভিত্তিতে যাতায়াতের জন্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নির্ধারণ করে হেলিকপ্টার সহায়তা সংক্রান্ত প্রস্তাবনা প্রস্তুত করতে হবে।

আরও পড়ুন –আদালতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান

রাস্তায় প্রভাবশালীর দেওয়াল গুড়িয়ে দিলো প্রশাসন

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

২৫ পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করতে কুমারখালী বাটিকামারায় সড়ক বিভাগের জমিতে ইটের দেয়াল তোলেন এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নেতা ও তার অনুগতরা। ফলে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, হাট বাজার গামী ও শ্রমজীবীরা বাড়ি থেকে বেড়োনো নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন। অবশেষে প্রশাসন সে দেওয়ার গুড়িয়ে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগষ্ট) দুপুর দেড়টার দিকে জনভোগান্তি লাঘবে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার। গুড়িয়ে দেওয়া হয় অবৈধ দেয়ালের আংশিক।

কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক ঘেঁষে উপজেলা সদরের বাটিকামাড়ায় শিপলু তেল পাম্প। প্রায় দুই যুগ ঘরে এলাকায় বসবাস করে ২৫টি পরিবার। গড়ে উঠেছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দোকানসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। হঠাৎ করেই মঙ্গলবার প্রভাবশালীরা এই মহল্লার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা ঘিরে ইটের দেওয়াল তোলে। বালি ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হয় রাস্তার একাংশ। অনেকটা ঘরবন্ধি হয়ে পরে শিশু ও নারীসহ শতাধিক মানুষ। এক পর্যায়ে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করা হয়। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা হয়। ভেঙ্গে দেওয়া হয় অবৈধ দেওয়াল।

স্থানীয় বাসিন্দার শিপলু পোল্ট্রি ফিড ও ফার্মেসীর মালিক মো. বাবুল হোসেন বলেন, ‘আমার জমির উপর দিয়ে এলাকার মানুষের চলাচলের রাস্তা। দীর্ঘদিন ধরে এই পাড়ার বসবাসকারীরা এই রাস্কায় চলাচল করেন। মানুষের জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দোকানসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কিন্তু গত মঙ্গলবার স্থানীয় প্রভাবশালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মামুন বিশ্বাস, রেজাউল, জিয়া উর সহ বেশ কয়েকজন ভূমিখেকো এসে রাস্তা বন্ধ করে প্রাচীর দিয়েছে। বাঁকী জমিতে বালু ফেলে চলাচলে প্রতিবন্ধিকতা সৃষ্টি করেছে। এতে সকলেই চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।

এক নারী বলেন, একটাই রাস্তা। সেটিও কয়েকদিন ধরে প্রভাবশালীরা দেওয়াল দিয়ে দখল করে নিয়েছে। বাড়ি থেকে বেড় হওয়ার উপায় নেই। তিনি দ্রæত দেওয়াল ভাঙার দাবি জানান।

তমাল আক্তার পিয়াস বলেন, প্রায় দুই শতকের বেশি জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আদালত অস্থায়ী আদেশ জারি করেছে। আদালতের আদেশ অমান্য করে প্রভাবশালীরা সেই জমি দখলের পায়তারা করছেন। প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মামুন বিশ্বাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জমি নিয়ে জিয়ার সঙ্গে বিরোধ। সালিসে আমাকে ডেকেছিল। সমাধানের জন্য গিয়েছিলাম। তবে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির সঙ্গে তিনি জড়িত নন বলেও দাবি করেন।

আরও পড়ুন – আদালতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান

দুপুরে উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেওয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার বলেন, কিছু লোক ২৫টি পরিবার ও কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধিকতা সৃষ্টি করেছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ইটের দেওয়াল গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বালুর স্তুপ অপসারণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন – ঝিনাইদহে বেকারি মালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা

আদালতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় জুলাই আন্দোলন কারীদের ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতাকৃত আসামি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদ হোসেন পাপ্পুকে আদালতে তোলার সময় তাকে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিতে শোন গছে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে কুষ্টিয়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশ ভ্যান থেকে নামিয়ে আদালতে নেওয়ার সময় এ স্লোগান দিতে দিতে আদালত ভবনে প্রবেশ করেন আসামি ফরহাদ হোসেন পাপ্পু। এ সময় তার সংগঠনটির ৫/৬ জন নেতাকর্মীও তার সাথে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। মঙ্গলবার রাতে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জিয়াউর রহমান ওই আসামিকে গ্রেফতারের বিষয় টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতার ফরহাদ হোসেন পাপ্পু (২৬) কুমারখালী উপজেলার এলঙ্গি এলাকার মতি হোসেনের ছেলে। তিনি কুমারখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। জুলাই আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত তিন নম্বর আসামি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর দেড়টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা পাপ্পুকে গাড়িতে করে আদালতে আনে পুলিশ। গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেন পাপ্পু।

এসময় ছাত্রলীগের আরও ৫/৬ নেতাকর্মী তার সঙ্গে স্লোগান দিতে থাকেন। স্লোগান দিতে দিতে তারা আদালত ভবনে প্রবেশ করেন। সেখানে কিছুক্ষণ স্লোগান দিয়ে তারা পালিয়ে যান। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।

আরও পড়ুন – ঝিনাইদহে বেকারি মালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া কোর্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল ইসলামকে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আরও পড়ুন – কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম প্রয়াণ দিবস আজ

ঝিনাইদহে বেকারি মালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা

0

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহে ভেজাল বিরোধী যৌথ অভিযানে হিরা বেকারী নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার এ অভিযান পরিচালনা করে জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, হিরা বেকারিতে অভিযান চালিয়ে তাদের উৎপাদিত খাদ্য পন্যে বিভিন্ন টেক্সটাইল রং ও কেমিক্যাল ব্যবহারের প্রমান মিলেছে। এ ছাড়া বাজার জাত করা খাদ্য পন্যের মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্নের তারিখ, বিক্রয়মূল্য ও অন্যান্য তথ্য উল্লেখ না থাকায় ২টি ধারায় চল্লিশ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

আরও পড়ুন – কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম প্রয়াণ দিবস আজ

ঝিনাইদহ জেলা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের এর নেতৃত্বে পরিচালিত বাজার তদারকি অভিযানে সহযোগিতা করেন সাধন সরকার ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জেলা কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন –  ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধিতে ভারতের বিভিন্ন কারখানায় উৎপাদন বন্ধ

কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম প্রয়াণ দিবস আজ

0
ছবি সংগৃহীত

স্টাফ রিপোর্টার

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম প্রয়াণ দিবস আজ বুধবার। ১৯৭৬ সালের আজকের এদিনে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

এ উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের সময় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান মুক্তিকামী মানুষকে সাহস ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে এবং উজ্জীবিত করেছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, যুগযুগ ধরে অধিকারহারা মানুষকে সাহসী প্রতিবাদে উদীপ্ত করবে তার সাহিত্যকর্ম। কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসাবে সমধিক পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সাহিত্য ও সংগীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।

কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসংলগ্ন কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশন ও বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে।

কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং গেল বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক। তার লেখনী জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।

আরও পড়ুন – ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধিতে ভারতের বিভিন্ন কারখানায় উৎপাদন বন্ধ

জাতীয় কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত রয়েছেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বুধবার কবির স্মৃতিবিজড়িত কুমিল্লায় নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন – হাইকোর্টের নতুন ২৫ বিচারপতি শপথ নিলেন

ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধিতে ভারতের বিভিন্ন কারখানায় উৎপাদন বন্ধ

0
প্রতিকী ছবি

দ্রোহ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর ভারতের প্রধান টেক্সটাইল হাব তিরুপুর, নয়ডা ও সুরাটের বিভিন্ন কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে মার্কিন বাজারে ভারতের রপ্তানি মারাত্মক হুমকিতে পড়েছে বলে জানিয়েছে ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনস (এফআইইও)।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি এস সি রালহান বলেন, টেক্সটাইল ও পোশাকশিল্প এরই মধ্যে ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মতো স্বল্প ব্যয়ের প্রতিদ্ব›দ্বীর কাছে বাজার হারাচ্ছে। এখন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মার্কিন শুল্ক কার্যকর হলে ভারতীয় পণ্যের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা আরও কমে যাবে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, প্রায় ৫৫ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রগামী ভারতীয় রপ্তানি, যার পরিমাণ প্রায় ৪৭-৪৮ বিলিয়ন ডলার, এখন মূল্য অসুবিধার কারণে অপ্রতিযোগিতামূলক হয়ে পড়বে।

এফআইইও সভাপতি আরও জানান, শুধু টেক্সটাইল নয়, চিংড়িসহ ভারতের সামুদ্রিক খাদ্য রপ্তানিতেও বড় ধাক্কা আসছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৪০ শতাংশ ভারতীয় সামুদ্রিক খাদ্য আমদানি করে। ফলে এই শুল্ক বৃদ্ধি ভারতের সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে দেবে, চাষিদের সংকটে ফেলবে এবং বিপুল মজুত ঝুঁকিতে পড়বে।

অন্যদিকে, কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি (সিআইটিআই) ভারত সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনটির চেয়ারম্যান রাকেশ মেহরা বলেন, ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হলে শুধু রপ্তানি আয় নয়, ভারতে অসংখ্য শ্রমিকের কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়বে। তাই সরকারের কাছ থেকে কাঁচামাল সরবরাহ, আর্থিক সহায়তা ও নীতি সহায়তা জরুরি।

সিআইটিআই প্রস্তাব করেছে, ঋণের মূলধন ও সুদ প্রদানে এক বছরের জন্য অবকাশ দেওয়া হোক। আর এফআইইও বলেছে, সংকট মোকাবিলায় স্বল্প সুদের ঋণ, রপ্তানি ক্রেডিট সহায়তা ও সুদ ভর্তুকির মতো সুবিধা বিশেষত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য প্রয়োজন।

এফআইইও মনে করে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা ও ‘ব্র্যান্ড ইন্ডিয়া’ প্রচারণার মাধ্যমে বৈশ্বিক বাজারে নতুন করে ভারতীয় পণ্যের আকর্ষণ বাড়াতে হবে।

আরও পড়ুন – হাইকোর্টের নতুন ২৫ বিচারপতি শপথ নিলেন

শিল্প নেতারা সতর্ক করেছেন, যদি দ্রæত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া না হয় তবে শুধু টেক্সটাইল নয়, চামড়া, সিরামিক, কেমিক্যাল, হস্তশিল্প ও কার্পেট শিল্পও বড় ক্ষতির মুখে পড়বে।

সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

আরও পড়ুন – প্রতিপক্ষের হামলায় বাবা-ছেলের মৃত্যু

সর্বশেষ সংবাদ

মাধ্যমিকের শিক্ষকরা শহীদ মিনারেই রাত কাটাবেন, কাল থেকে কর্মবিরতি

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা দেওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের...

আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি সংরক্ষণের অভাবে প্রতিবছর উৎপাদিত পেঁয়াজের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ ভাগ পঁচে যায় বা নষ্ট হচ্ছে। এতে কৃষকের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। তবে...

ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত ১৫ কর্মকর্তা সেনা হেফাজতে

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ঢাকায় সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৪ জন বর্তমানে কর্মরত ও একজন...

দৌলতপুর দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে জিম্মি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ফিলিপনগর ইউনিয়নে বর্তমান "গিট্টু সোহাগ ও টুকু" এবং প্রয়াত লালচাঁদ বাহিনীর আতংকে অতিষ্ঠ জনগন ও জমি এবং বাথানের গরু মালিকরা। ফিলিপনগর ইউনিয়নের...

বর্ণ খেলা

বর্ণ ভুল করলেই হতে হবে “গাঁধা”। তাকেই খাটতে হবে। বিপক্ষের লেলোয়ারদের তার বলা বর্ণ দিয়ে তৈরী শব্দ বলতে বলতে যেতে হবে অন্য কোটে। সেখান...