পান্টি বালিকা বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে উত্তেজনা

0
218
kumarkhily-30-p1

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালী পান্টি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জাহিদ হোসেন জাফরকে সরিয়ে অন্য একজন ব্যক্তিকে এডহক কমিটির সভাপতি মনোনিত করায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের বিদ্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন তারা। প্লাকার্ড ব্যানার হাতে নিয়ে শত শত গ্রামবাসী এই মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সভাপতি পরিবর্তনের প্রতিবাদ জানান। পরে বিদ্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে পান্টি বাজারে এসে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বিদ্যালয়ের শিার্থী এবং এলাকাবাসীরা বলেন, এলাকার একমাত্র নারী শিা প্রতিষ্ঠান, যার প্রতিষ্ঠাতা যুদ্ধাকালীন কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর। প্রতিষ্ঠানটি মুক্তিযোদ্ধাদের সৃষ্টি এবং স্বাধীনতার স্মৃতি চিহ্ন বিজরিত। প্রতিষ্ঠাতার পরিবর্তে একজন অর্ধ শিতি অযোগ্য ব্যক্তিকে সভাপতি মনোনিত করা হয়েছে। এই সভাপতি আমরা মানিনা, মানবনা। সমাবেশ থেকে বক্তারা অনতিবিলম্বে জাহিদ হোসেন জাফরকে পুনরায় সভাপতি হিসেবে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
প্রসঙ্গত গত ৩ মার্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিকের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৩ মার্চ যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ কর্তৃক স্বারিত এক চিঠিতে এ এইচ এম আব্দুলাহ কে সভাপতি, মোছাঃ শিউলী সুলতানাকে সাধারণ শিক সদস্য, মোঃ আজাদুল ইসলামকে অভিভাবক সদস্য ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিককে সদস্য সচিব হিসাবে ৬ মাসের জন্য একটি এডহক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এডহক কমিটির অনুমোদন পর থেকেই অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর ও পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমন মিয়া’র সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এ বিষয়ে পান্টি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি ও পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম আব্দুল্লাহ ওরফে টিপু মুঠোফোনে জানান, তিনি কিভাবে সভাপতি হয়েছেন এ ব্যাপারে তারা কোন ধারণা নেই। এটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এ বিষয়ে তার কোন কিছু বলার বা করার নেই।

কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান বলেন, স্কুল কমিটি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে দুই গ্রæপের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করায় ওই এলাকায় পুলিশী টহল অব্যাহত রয়েছে। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে জনসমাগম না করার নির্দেশনা অমান্য করে শিার্থী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।