খোকসায় সাবেক স্বামী-স্ত্রীর বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা

0
196
স্যাভলোন পানে অসুস্থ্য গৃহবধূ মিমি

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসার গ্রামে সাবেক স্বামীর বিষ পানের পর স্ত্রীও স্যাভলোন পানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। গৃহবধূ দাবি, সাবেক শ্বাশুরীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে সে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।

শনিবার রাত ৮টার দিকে প্রথমে নাজমুল (৩০) তার বাড়িতে তেলাপোকা মারা চক গুড়া করে পানিতে মিশিয়ে পান করে। এর কিছু সময় পর তার সাবেক স্ত্রী মিম (২২) তার বাবার বাড়িতে স্যাভলোন পানি করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। তারা দু’জনেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। তাদের বাড়ি উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের গোসাই ডাঙ্গী গ্রামে।

বিষপানে অসুস্থ্য নাজমূল

জানা গেছে, দরিদ্র প্রতিবেশ লিটু প্রামানিকে মেয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মিমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ে করে এই গ্রামের ইউনুস আলী ছেলে নাজমূল। বিয়ের পর থেকে দুই পরিবারে মধ্যে বনিবনা না হওয়া চলতি বছরের মার্চ মাসে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি (তালাক) হয়। এ কিছু দিন পর থেকে সাবেক স্বামী নানা ভাবে মিমকে উত্যক্ত করতে থাকে। এ নিয়ে দুই পরিবারে মধ্যে বিরোধ চরমে পৌচ্ছায়। এ ঘটনায় শনিবার রাতে নাজমূল বিষ পান করার পর তা মা নাজমা সাবেক পুত্রবধূ মিমের বাড়িতে চড়াও হয়। উপায়ন্ত না দেখে মিমও বাড়িতে থাকা স্যাভলোন পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। রাতেই তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ মিম জানান, তালাকের পর থেকে সাবেক স্বামী নাজমূল তাকে নানা ভাবে উত্যক্ত করে আসছে। নাজমূল বিষ খাওয়ার পর তার মা নাজমা বাড়িতে বয়ে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে যায়। সে নিজের কূল রক্ষায় বিষ পান করতে বাধ্য হয়েছে। এর জন্য সে তার সাবেক শ্বাশুরীকেই দুষলেন।

গৃহবধূ মিমের ছোট ভাই তুফান

হাসপাতালে বোনের বিছানার পাশে দাড়িয়ে ১২ বছর বয়সী তুফান জানায়, বোনের বিয়ের পর থেকে তিন দফায় তার দুলা ভাই নাজমূলকে ৮০/৯০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়া হয়েছে। সে এখন গরু বিক্রি করে মোটর সাইকেল কিনে দেওয়ার বায়না ধরেছে। সাইকেল দেওয়ার মত তাদের সামর্থ নাই। বাবা লিটু কৃষি কাজের শ্রমিক। যা আয় করে তা দিয়ে সংসার চলে না। তাই সে নিজে কাঠ মিস্ত্রীর যোগানের কাজ করে সংসার চালায়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধিন নাজমুলের পাশে পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা এক ব্যক্তি বলেন, পারিবারিক সমস্যার কারনেই সে বিষ খেয়েছে।