খোকসায় ভাতা ভোগীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে

0
163

সাংবাদিককে ছবি তুলতে বাধা দিলেন কর্মকর্তা

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসায় সমাজ সেবা কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বেচ্ছাচারীতায় বয়স্ক বিধবা ও প্রতিবন্ধি ভাতাভোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ভোগান্তির চিত্র ধারণে সাংবাদিককে বাঁধা দিলেন সমাজ সেবা কর্মকর্তা নিজে।

জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় ১২ হাজার ভাতা ভোগী রয়েছে। সম্প্রতি সময় মোবাইল ফোনে নগদ হিসাব খোলা নিয়ে জটিলতা শুরু হয়। দিন যত যাচ্ছে ভাতাভোগী দুস্থ প্রতিবন্ধি, বয়স্ক ও বিধবাদের ভোগান্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিনিদিই ভাতার টাকা প্রাপ্তিতে সৃষ্ট নানা জটিলতা নিয়ে সমাজ সেবা অফিসে সামনে দীর্ঘ লাইনে ঘন্টা পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে সুবিধা ভোগীদের। বুধবার এ দৃশ্য ধারণ করতে গেলে বিপত্তি ঘটে। উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা সাম্মি আক্তার যুথি নিজে কর্তব্যরত সাংবাদিককে ক্যামেরা নামিয়ে কথাবলার নির্দেশ জারি করেন।

বুধবার সকাল পৌনে ১১ টা। তখন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তার দপ্তরে আসেনি। ভবনের গ্রীল ধরে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধিরা দাঁড়ি আছেন। তাদের ভাতার টাকা প্রাপ্তিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এদের মধ্যে রেবকা খাতুন ঘুরছেন তিন মাস ধরে। ছেলে এবং সে মিলে চার বার এই অফিসে এসেছে। রবিউল নামের সমাজ সেবার এক কর্মাচারী তার কাজ নিয়েছেন। কিন্তু ভাতার টাকা তার ভাগ্যে জোঠেনি। তিনি জানান, স্বামীর ব্যাংক ঋনের দায়ে তার বসত ভিটাও নিলামে চলে গেছে। এখন মায়ের বাড়িতে গিয়ে উঠেছেন।

সমাজ সেবা অফিস চত্বরে একই অভিযোগ করেন, পৌর এলাকার থানা পাড়ার বয়বৃদ্ধ মজিদ মোল্লা। তিনি প্যারাইসিস রোগে আক্রান্ত। দীর্ঘ ধিন ধরে বয়স্ক ভাতার টাকা পাচ্ছেন না। অফিসের মাধ্যমে তিন মাস আগে তিনি বই ঠিক করিয়েছেন। কিন্তু আজও তার সমস্যা দূর হয়নি। তিনি অনেকবার ভ্যানে করে এই অফিসে এসেছেন। মঙ্গলবার রাতে ফোন করে তাকে ডেকে আনা হয়েছে। এখন আর ফোন দাতাকে খুজে পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, সমাজ সেবা অফিস মূলত মানুষদের হয়রানি করছে।

উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা সাম্মি আক্তার যুথি প্রথমে সাংবাদিককে ক্যামেরা নামেত বাধ্য করার চেষ্টা করেন। তার দাবি জনবল সংকট নিয়ে অফিস চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, ১২ হাজার ভাতা ভোগী রয়েছেন। এ ছাড়া প্রতিদিন ১ হাজার চিঠির জবাব দিতে হয়। তবে ঢালাও দোষ দিলেন ভুক্তভোগীদের।