অবেশেষে ৪৪ ঘন্টা পর বিদ্যুৎ এলো, বন্টন হচ্ছে রেশনিং পদ্ধতিতে

0
256
kushtia-droho22p1-compressed
প্রতিকী ছবি।

স্টাফ রিপোর্টার

জাতীয় গ্রীড লাইনের কুষ্টিয়ার বটতৈল সাব ষ্টেশনে অগ্নিকান্ডের ফলে খোকসা ও কুমাখালী এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৪৪ ঘন্টা পর আবার বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ মিলছে রেশনিং পদ্ধতিতে।

কুমারখালী পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় গ্রীডের বটতৈল সাব ষ্টেশনের একাংশে আগুন ধরে একটি পাওয়ার ট্রান্সফরমার পুড়ে যায়। অপর একটি পাওয়ার ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে যাওয়ায় কুমারখালী ও খোকসা উপজেলার বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। পলে দুই উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। শুক্রবার রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কুষ্টিয়ার বটতৈল সাব ষ্টেশনে পুড়ে যাওয়া বিদ্যুতের ট্রান্সেফরমার মেরামত চলছিল। এ কারণে বটতৈল সাবষ্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালন চালু করা সম্ভব হয়নি।

ঘুর্ণীঝড় আম্পান শুরু হওয়ার কিছু সময় আগে জাতীয় গ্রীডের বটতৈল সাব ষ্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকে শুক্রবার বিকাল পৌনে ৪ টা পর্যন্ত প্রায় ৪৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় জনজীবনের চরম বিপর্যয় নেমে আসে। বন্ধ হয়ে যায় জরুরী চিকিৎসা সেবা, উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় কলকারখানা গুলোতে।

অবশেষে শুক্রবার বিকাল পৌনে ৪ টার দিকে মিরপুর সাব ষ্টেশনের মাধ্যমে খোকসা উপজেলা সদর এবং ফরিদপুর জাতীয় গ্রীড থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে কুমারখালী উপজেলা সদরের অধিক গুরুত্বপূর্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু করা হয়। তবে এখন রেশনিং পদ্ধতিতে দুই ঘন্টা পর এক ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে বলে জানা গেছে।

কুমারখালী পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্ব প্রাপ্ত ডিজিএম এবিএম মিজানুর রহমান জানান, পল্লী বিদ্যুৎ ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) থেকে বিদ্যুৎ কিনে সরবরাহ করে। আম্পান ঝড় হানা দেওয়ার কিছু সময় আগে গ্রীড লাইনের বটতৈল সাব ষ্টেশনের একটি ট্রান্সফরমারের আগুন লেগে যায়। আংশিক ক্ষতি গ্রস্থ হয় আর একটি ট্রান্সফরমার। বিকল হয়ে যাওয় ট্রান্সফরমারটি আপাতত মেরামত করা হচ্ছে। পুড়ে যাওয়া ট্রান্সফরমারটি মেরামত করতে সময় লাগতে পারে। তাই সাব ষ্টেশনটি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত আপাতত জেলা ব্যাপী রেশনিং সিষ্টেমে বিদ্যুত সরবরাহ করা হবে।