নারীর প্রতি সহিংসতা ও সামাজিক সংস্কৃতির অবয়ব

0
317
প্রতিকী ছবি

শীপা হাফিজা

নারীর প্রতি সহিংসতা সভ্য জগৎ ব্যবস্থার প্রতি কঠোর কশাঘাতস্বরূপ। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, নারীকে পদে পদে হেয় বা অবমাননা করা, সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাখা, নারীর অর্জন বেহাত করা, জোর খাটানো, গৃহস্থালিতে সম্পৃক্ত নারীর কাজের অবমূল্যায়ন, অ্যাসিড দিয়ে মুখ ঝলসে দেওয়া, যৌন ও অন্যান্য নির্যাতন-নিপীড়নের পাশাপাশি নারী তথা মানব সভ্যতায় সহিংসতার সবচেয়ে মারাত্মক ও ভয়ংকর রূপ বলে বিবেচিত হয়ে থাকে ধর্ষণ।

ধর্ষণ শিশু ও পুরুষের েেত্রও হয়ে থাকে। ব্যক্তির ইচ্ছা বা সম্মতির বাইরে জোরপূর্বক যৌন হেনস্তা বা যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে ধর্ষণ বলা হয়। এটি কখনো একক পুরুষ কর্তৃক বা দলবদ্ধভাবে সংঘটিত হয়ে থাকে। বিশ্বজুড়ে প্রতি ১০০ জনে ৭ জন নারী কোনো না কোনোভাবে যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ৭ শতাংশ নারী সরাসরি ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। উন্নত-অনুন্নত সব দেশে নারীর প্রতি সহিংসতার চিত্র অমানবিক।

জাতিসংঘ কর্তৃক প্রকাশিত বিশ্ব ক্রাইম ট্রেন্ড রিপোর্টের ২০১৫ সালের ভার্সন থেকে জানা যায়, প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।

ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ ডটকম প্রকাশিত ‘রেইপ স্ট্যাটিসটিকস বাই কান্ট্রি-২০২০’ শিরোনামে প্রকাশিত তথ্য থেকে দেখা যায়-২০২০ সালে আমেরিকায় মোট ধর্ষণের সংখ্যা ৮৪ হাজার ৭৬৭ জন! শীর্ষ ধর্ষণ তালিকার দ্বিতীয় নম্বরে আছে দণি আফ্রিকা।তা ছাড়া সুইডেন, ভারত, ইথিওপিয়া, শ্রীলংকা, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, কানাডার মতো দেশের ধর্ষণচিত্রও কঠিন ও ভয়াবহ। বাংলাদেশও ধর্ষণ প্রবণতার বাইরে নয়। যদিও সঠিক তথ্য-উপাত্তের অভাবে আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে যে অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনা এখনো কম। এ বিষয়টি সুষ্ঠু অনুসন্ধানী গবেষণার দাবি রাখে।

বাংলাদেশের বিগত পাঁচ বছরের ধর্ষণচিত্র বিশ্লেষণ করে খুব বেশি ভালো ফল দেখা যায়নি। সরকারের নানা চেষ্টা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক পদচারণার পরও দেশের ধর্ষণচিত্র ঊর্ধ্বগামী। তবে এখানে স্বীকার করে নেওয়া প্রয়োজন যে, পূর্বোল্লিখিত অধিকাংশ দেশের চেয়ে বাংলাদেশে ধর্ষণের পরিসংখ্যান জানার জন্য নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্রের অভাব রয়েছে। আমাদের মূল তথ্যসূত্র হচ্ছে থানায় রিপোর্টকৃত সংখ্যা ও দৈনিক খবরের কাগজ।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর তথ্য মূলত কিছুসংখ্যক প্রচারিত দৈনিক কাগজ থেকে জোগাড় হয়ে থাকে। আবার এটাও সত্য যে, থানা ও খবরের কাগজভিত্তিক এ তথ্যগুলো আদতে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ পরিমাপের তুলনায় ুদ্রাতিুদ্র অণু মাত্র। এখানে প্রণিধানযোগ্য বিষয় হচ্ছে, ধর্ষণ সংঘটনের খবর জানার পর তার সুষ্ঠু বিচার করতে না পারার অমতা যে কোনো জাতির জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।
দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় ১৫ মে, ২০১৯ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০১৪ সালে দেশে মোট ধর্ষণের সংখ্যা রেকর্ড হয়েছে ৭৫৭ জন। ২০১৫ সালে ৮৮৫, ২০১৬ সালে ৭৫১, ২০১৭ সালে ৯৫৮, ২০১৮ সালে ৮৭৮ এবং ২০১৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মোট ধর্ষণের সংখ্যা ছিল ৪২৯ জন।
মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা ‘অধিকারের’ দেওয়া তথ্যমতে, ২০০১ সাল থেকে ২০১৮ সাল অর্থাৎ ১৯ বছরে পর্যন্ত এ দেশে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১৩,৬৩৮টি, যার ভেতরে গণধর্ষণ ছিল ২,৫২৯টি। মূল প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ১,৪৬৭ জনকে।

ধর্ষণের গøানি সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেন ১৫৪ জন। যে কোনো বিচারেই এ চিত্র যদিও খÐচিত্র, আশঙ্কাজনক। একটি দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে বিরাট অন্তরায়। সে কারণেই নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সব ধরনের তৎপরতা চালিয়ে যেতে আগ্রহী সরকার। স¤প্রতি ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদÐের বিধান রেখে আইন পাশ হয়েছে।

শুরু থেকেই চালু রয়েছে যাবজ্জীবন সাজার বিধান। ধর্ষণচেষ্টার জন্য সশ্রম কারাদÐ এবং অতিরিক্ত অর্থদÐের বিধানও রয়েছে এবং সরকারের ঘোষণা রয়েছে, যে কোনো মূল্যে ধর্ষণ প্রতিরোধ করার তৎপরতা চালিয়ে যাবে সরকার। তবে তার কার্যকারিতা এখনো কর্মে প্রতিফলিত হতে দেখা যায়নি।

বিভিন্ন তথ্যমতে, বাংলাদেশে ধর্ষণের ভয়াবহতার যাত্রা শুরু হয়েছিল মূলত ২০০১-০৫ সময়ে চারদলীয় জোট সরকারের শাসনামলে। বিএনপির শাসনামলে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতিসহ সারা দেশ অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল।

নারীর প্রতি সহিংসতা পৌঁছেছিল তুঙ্গে। পরিতাপের বিষয় হলো, এ পদযাত্রার আজও তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি এবং একই পথ ধরে এখনো অব্যাহত রয়েছে সরকারদলীয় ক্যাডারদের সীমাহীন নির্যাতন-নিপীড়ন, যার সঙ্গে প্রায়শই হাত মেলাচ্ছে থানা পুলিশ ও প্রশাসনের কিছু সংখ্যক দায়িত্বপ্রাপ্ত অযোগ্য-লোভী ব্যক্তিরা। এদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশু, নারী ও তার পরিবার পরিজনেরা।
কেন বাড়ছে ধর্ষণ : ধর্ষণের মতো সামাজিক ব্যাধি তথা ঘৃণ্যতম অপরাধের পেছনে দায়ী বহুমুখী কারণ। সমাজবিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী এবং সমাজ বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে বাংলাদেশে ধর্ষণের প্রবণতা বৃদ্ধির েেত্র সুনির্দিষ্ট কিছু কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে। এ কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- সামাজিক অস্থিরতা, আকাশ সংস্কৃতির প্রভাব, যৌন ও প্রজনন শিার অভাব, নৈতিক মূল্যবোধজনিত শিার অভাব, বিচারহীনতা ও অবিচারের সংস্কৃতি, সিস্টেম ক্রাইসিস, হিংস্র বয়ান, মতার অপব্যবহার ইত্যাদি।

ধর্ষণ প্রতিরোধে করণীয় : একটি উন্নত ও মানবাধিকারসম্পন্ন নিরাপদ দেশ গঠনের জন্য নারীর প্রতি সহিংসতা, বিশেষ করে ধর্ষণের মতো ভয়ংকর অপরাধগুলোর প্রতিরোধ ও প্রতিকার করা অত্যন্ত জরুরি। এ কথাও সত্য যে, সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করার পরও অন্য যে কোনো অন্যায় বা অপরাধের মতো আমরা হয়তো ধর্ষণ পুরোপুরি প্রতিরোধ বা বন্ধ করতে পারব না; তবে সচেতনতা, সতর্কতা, সামাজিক ও আইনি প্রতিকার এ সংখ্যা অনেক কমিয়ে আনতে পারে।

নারীর রূপকার বা চালিকাশক্তির ভূমিকাকে স্বীকৃতি ও সম্মান করা : প্রতিটি নারীর অন্তর্নিহিত শক্তি বা নিজের প্রতি বিশ্বাস এবং তার অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি, স্বকীয় জীবন বিকাশে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মতাকে, অন্যায় প্রতিরোধে নারীকে এমনভাবে মতায়িত করতে হবে, যেন তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে শেখে যে ‘না’ বলার ও ‘আত্মরার’ অধিকার ও সমতা তার রয়েছে।

নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি শিতি, বিনয়ী এবং দায়িত্বশীল জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা : নারীকে ‘মানুষ’ নয়; ‘ভোগের সামগ্রী’ হিসাবে ভাবার পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির আমূল পরিবর্তন করতে হবে। প্রথমেই প্রয়োজন ধর্ষণ-সংস্কৃতিকে উসকে দেয়, প্রশ্রয় দেয়; তেমন সমাজকে ধর্ষণবিরোধী, ধর্ষণ প্রতিরোধী সমাজে রূপান্তর করা।

এর জন্য গল্প, উপন্যাস, নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপনে নারীকে ‘যৌন পণ্য’ হিসাবে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে। নারীকে ‘মানুষ’ হিসাবে ভাবার সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে। অন্যদিকে সমাজে যেসব মিথ ও ভ্রান্ত ধারণা ধর্ষণকে প্রশ্রয় দেয়, তেমন মিথগুলোকে ভেঙে দিতে হবে।

ধর্ষণের দায় অন্যায্য সমাজ, ঘুণে ধরা আইন, আইনের অস্পষ্ট বাস্তবায়ন ও বিচারহীনতার : মনে রাখতে হবে, ধর্ষণে নারীর কোনো দায় নেই। নারী যেভাবেই চলুক, যে পোশাকই সে পরুক, তাতে কোনোভাবেই ধর্ষণকে জাস্টিফাই করার সুযোগ নেই। তবে পুরুষ ও নারী উভয়েই সংযমী হবেন। ধর্ষণ প্রতিরোধে শুধু নারীকে সতর্ক থাকতে বললে হবে না, পুরুষকেও ‘ধর্ষণ করবে না’ এ বার্তা বারবার দিতে হবে।

ধর্ষণ প্রতিরোধে মূল দায়িত্ব নিতে হবে রাষ্ট্রকে : আমরা ধর্ষণের কারণ আলোচনা করতে গিয়ে মানসিকতা ও রাষ্ট্রযন্ত্রের সমতা বৃদ্ধি, আইনের সংস্কার ও সার্বিক একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বলয় (মÐল) সৃষ্টি ও জাতীয়ভাবে এর অবলোকন বা পরিবীণ জরুরি।

কাজেই ব্যক্তিকে সতর্ক ও সচেতন হতে হবে যেমন, তেমনি ধর্ষণ প্রতিরোধে মূল দায়িত্ব নিতে হবে রাষ্ট্রকে, পরিবার ও সমাজকে উদ্বুদ্ধ ও সম্পৃক্ত করার দায়ও কিন্তু রাষ্ট্রের। দেশের আইন কাঠামোকে প্রয়োজনে ঢেলে সাজাতে হবে; তবে পারিপার্শ্বিক দায়বদ্ধতা ও পৃথক ন্যায়বোধ ও বাড়াতে হবে। ধর্ষণজনিত মামলা যত দ্রæত খালাস করা যাবে, তত দ্রæত আসামি সাজার আওতায় আসবে।

আমেরিকায় সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) কেন্দ্রীয়ভাবে ‘রেপ প্রিভেনশন অ্যান্ড এডুকেশন’ (আরপিই) প্রোগ্রাম চালু করেছে। এ ধরনের প্রোগ্রাম আমাদেরও নিতে হবে, যেখানে পৃথিবীব্যাপী পরীতি ও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত কার্যকর ‘প্রতিরোধ’ প্রোগ্রামগুলো বাস্তবায়নে পদপে নেওয়া হবে।
পুরুষ ও নারী উভয়ের চারিত্রিক উন্নতিকে গুরুত্ব দিয়ে শিা কার্যক্রম চালাতে হবে : এেেত্র প্রতিটি পরিবারকে অঞ্চলভিত্তিক শিাদানের ল্েয প্রতিটি স্তরে নৈতিক শিার কোর্স বাধ্যতামূলক করতে হবে। যার যার ধর্ম অনুসারে প্রত্যেক নারী ও পুরুষকে যথাযথ নৈতিকতা শিা দিতে পারলে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বৃদ্ধি পাবে।

বাধ্যতামূলক যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার শিার প্রচলন : বিশ্বজুড়ে অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে যে যৌন অধিকার ও নিজের বয়ঃসন্ধিকালীন শারীরিক ও মানসিক বেড়ে ওঠা সম্পর্কে যে তরুণদেরর কোনো ধারণা নেই, তাদের চেয়ে যে তরুণরা যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার শিা পেয়েছে তারা যৌন আচরণের বিপদসঙ্কুল ঝুঁকি এড়িয়ে চলতে সম।

যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার জানা না থাকলে ব্যক্তি তার স্বাস্থ্য ও শিা এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনযাপন নিজ পছন্দ অনুযায়ী বেছে নিতে পারে না যা তার মতায়নকে ব্যাহত করে। যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার শিায় বিনিয়োগ করা মানবাধিকার বাস্তবায়নের একটি পন্থা যা লকোটি অল্প বয়স্ক মেয়েদের অপমৃত্যু, ধর্ষণ, নির্যাতন, যৌন ও অনাহূত মাতৃত্ব রহিত করতে পারে। বাংলাদেশের জন্য যা সন্দেহাতীতভাবে অতীব প্রয়োজনীয় পদপে হবে।

নারী চরিত্র সম্পর্কে ঘৃণা ও হিংস্রতা উদ্রেককারী বক্তব্য বা বয়ান শাস্তিযাগ্য অপরাধ : নারী চরিত্র সম্পর্কে ঘৃণা ও হিংস্রতা উদ্রেককারী বক্তব্য বা বয়ান অবমাননা ও চিত্রায়ণ করা, যা ধর্ষণের পশুত্বকে উসকে দেয় বা ধর্ষণ করতে উৎসাহিত করে-তাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে ঘোষণা করতে হবে।

পারঙ্গমতার (জ্ঞান+দতা+মানসিকতা) উৎকর্ষ সাধন : আমাদের প্রচলিত শিা মানুষকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও দায়িত্ববান করে তোলে না, যা দেশে প্রতিনিয়ত প্রকাশিত নারী নির্যাতন, নিপীড়ন, খুনের তথ্য-উপাত্ত থেকে প্রমাণিত। সে কথা মনে রেখে মাঠ থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিটি দায়িত্বশীল পদে আসিন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে সমস্যা উত্তরণে কৌশলগত যোগ্যতায় যোগ্যতর করে গড়ে তুলতে হবে, যোগ্যতার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা ও প্রতিজনের কর্মদতা নিয়মিত নিরীণের আওতায় নিয়ে আসা জরুরি।

টেকসই উন্নয়ন ল্যমাত্রা অর্জনকে সামনে রেখে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিটি েেত্র নারী নির্যাতন, উত্ত্যক্তকরণ, অবহেলা ও নিপীড়নের ঘটনাগুলো চিহ্নিত করে তা সুরাহায় গৃহীত পদপেগুলো নিয়মিত, কার্যকরী এবং শক্তিশালী নিরীণের আওতায় আনা জরুরি। এ দায়িত্বে পরিবার, পাড়া-পড়শি, সমাজকে অন্তর্ভুক্ত করে দেশব্যাপী মানবতা উন্নয়নের এ ধস বন্ধ করতে হলে একমাত্র উপায় হচ্ছে সুরার সর্বজনীন আন্দোলন সৃষ্টি, যা এগিয়ে নেওয়ার এখনই সময়।

শীপা হাফিজা : সমতা ও মানবাধিকার কর্মী