কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এক কলেজ শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। স্ত্রীর দাবি পারিবারিক কলেহের জের শিক্ষক আত্মহত্যা করেছেন। ভাইয়ের দাবি পরিকল্পিত হত্যা।
সোমবার বেলা ১১ টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা ইউনিয়নের চামনায় গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে জহুরুল ইসলাম (৪৫) নামের ওই কলেজ শিক্ষকের লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। জহুরুল ইসলাম আল্লারদর্গা নুরুজ্জামান বিশ^াস ডিগ্রী কলেজের ভূগোলের শিক্ষক ছিলেন।
জহুরুল ইসলামের স্ত্রী একই কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিন দাবি করেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে অভিমানে তাঁর স্বামী ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।
জহুরুল ইসলামের বড় ভাই আমিরুল ইসলাম দাবি করেন, তাঁর ভাইয়ের সাথে স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। এই পারিবারিক কলহের জের ধরে তারা বেশ কিছুদিন আলাদা হয়ে গিয়েছিল। কিছুদিন আগে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে সাবিনা ইয়াসমিন তাঁর ভায়ের সংসারে ফিরে আসে। দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহের জের ধরে জহুরুল ইসলামকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি আমিরুল ইসলামসহ পরিবারের লোকজনের।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভেড়ামারা সার্কেল ইয়াসির আরাফাত জানান, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। জহুরুল ইসলাম এবং সাবিনা ইয়াসমিন দম্পতির ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।