ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে টিসিবির ৬শ কেজি পেঁয়াজ ও একটি পিকআপ পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে কালীগঞ্জ শহরের থানা রোডে পিকআপ থেকে ১৪ বস্তা পেঁয়াজ ও পিকআপ জব্দ করা হয়। এ সময় পিকআপের চালক পলাতক ছিল।
ঝিনাইদহ থেকে টিসিবির পন্য উত্তোলন করলেও জানানো হয়নি দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসারকে। এ খবরের ভিত্তিতে কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভূপালী সরকার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তার নির্দেশে থানা পুলিশের জব্দকৃত পেঁয়াজ ও পিকআপ থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে নিয়মিত মামলা ওেশর্ডেও প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে শহরের কাঁচামাল আড়ৎ ইমা বাণিজ্য ভান্ডারে টিসিবির ডিলার সরোয়ার হোসেন শিপন পেঁয়াজগুলো বিক্রির উদ্দ্যোশে ফিরোজ নামের একজনের কাছে পাঠান। কিন্তু তিনি টিসিবির পেঁয়াজ কিনতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর সেগুলো অন্যস্থানে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা আটক করে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদেও খবর দেয়।
ইমা বাণিজ্য ভান্ডারের ম্যানেজার ফিরোজ হোসেন জানান, সকালে টিসিবির ডিলার সরোয়ার হোসেন শিপন ফোন করে পেঁয়াজগুলো কিনতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি পিকআপসহ পেঁয়াজগুলো ফেরত পাঠিয়ে দেন।
টিসিবির ডিলার মৃধা জেনারেল স্টোরের মালিক সরোয়ার হোসেন শিপন মৃধা জানান, সকালে তিনি পন্য উত্তোলনের কথা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছিলেন। সকালে বারবাজার এলাকায় চিনি, তেল ও ডাল বিক্রি করেছেন। পেয়াঁজগুলো সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার তরুন কুমার দাস বলেন, সরকারি নিয়ম আছে কোন ডিলার পন্য উত্তোলন করলে অবশ্যই ট্যাগ অফিসারকে জানাতে হবে। কিন্তু তিনি পন্য উত্তোলন করলেও জানানো হয়নি। তিনি কিছুই জানেন না।
কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভূপালী সরকার জানান, মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহ থেকে টিসিবির ডিলার মৃধা জেনারেল স্টোরের মালিক সরোয়ার হোসেন শিপন মৃধা ৩০০ কেজি চিনি, ডাল ৩০০ কেজি, তেল ৪০০ লিটার ও ৬০০ কেজি পেঁয়াজ উত্তোলন করেন। কিন্তু পিকআপে চিনি, ডাল ও তেল পাওয়া যায়নি। ১৪ বস্তায় ৬০০ কেজি পেয়াজ পিকআপে ছিল। সেগুলো জব্দ করা হয়েছে। টিসিবির পন্য কেউ এভাবে বিক্রি করতে পারেন না।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিন জানান, ডিলার সরোয়ার হোসেন শিপন মৃধা পন্য উত্তোলনের কোন তথ্য জানান নি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছর এপ্রিল মাসে টিসিবির পণ্য রাতের আধারে গোডাউন থেকে সরানোর সময় জনতার হাতে ধরা পরেন। মোবাইল কোর্টে দশ হাজার টাকা জরিমানা ও মুসলেকা দিয়ে রা পান মৃধা জেনারেল স্টোরে মালিক শিপন মৃধা।