দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক
কুমিল্লার নানুয়ারদীঘির পাড়ের মন্দিরে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় জড়িত ইকবাল হোসেনকে কক্সবাজার থেকে আটকের পর পুলিশ পাহারায় কুমিল্লায় নেয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে জেলা পুলিশের একটি টিম ইকবালকে আটক করে। আইনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুক্রবার সকালে তাকে কুমিল্লার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর কিছু সময় পর তাকে নিয়ে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওনা হয় পুলিশ। এ টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার।
নানুয়ারদিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামন্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবালকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তার চোখে চশমা ছিল।
কুমিল্লার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার বলেন, ‘আমরা যে ইকবালকে খুঁজছিলাম সে এই ইকবালই। গ্রেপ্তার এড়াতে পোশাক পাল্টে সে কক্সবাজার এসেছিল।’
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবাল নামের একজনকে রাতে আটক করা হয়। তার বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। আটক ব্যক্তি সৈকতে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ সৈকত থেকে তাকে গ্রেফতার করে। ইতোমধ্যে আটক ইকবালকে কুমিল্লা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত ১৩ অক্টোবর ভোররাতে নগরীর নানুয়াদীঘির পাড় এলাকার একটি পূজা মন্ডপে কোরআন রেখেছিল ইকবাল হোসেন। এ ঘটনায় কুমিল্লা নগরীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পরে সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়ে ইকবালই পাশের দারোগাবাড়ি মাজারের মসজিদ থেকে কোরআন নিয়ে গভীররাতে মন্ডপে রাখেন।