স্ত্রী মর্যাদা পেতে প্রবাসীর বাড়িতে তরুনী

0
112

প্রবাসীর দাবি তার সাথে প্রতারণার চেষ্টা করা হচ্ছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রবাসী রুহুল আমিন সাত বছর ধরে মালয়েশিয়ায় থাকেন। অথচ স্ত্রীর মর্যাদা পেতে প্রবাসীর বাড়িতে ২ মাস ধরে অবস্থান করছেন পাশের গ্রামের জেসমিন আরা শীলা নামে ২২ বছর বয়সী এক তরুনী।

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার দখলপুর গ্রামে এই প্রতারণার ঘটনাটি ঘটেছে ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার দখলপুর গ্রামের নওশের আলীর ছেলে রুহুল আমিনের সঙ্গে পাশর্^বর্তী পারদখলপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের মেয়ে জেসমিন আরা শীলার চেনা-জানা ছিল। এই চেনা-জানার সুযোগে জেসমিন আরা শীলা ২০২০ সালের ২০ ফেব্রæয়ারিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয় বলে দাবি করছেন। অথচ এই সময়ে রুহুল আমিন প্রবাসে ছিল। তার পাসপোর্ট ও ভিসার রেকর্ড মতে ২০১৫ সালের ৮ ডিসেম্বর তিনি মালয়েশিয়ায় চলে গেছেন। এ অবদি তিনি বিদেশে অবস্থান করছেন।

মালয়েশিয়া প্রবাসি রুহুল আমিন মুঠোফোনে জানান, শীলাকে সে বিয়ে করেনি। সে জোর করে স্ত্রী সেজে দুই মাসের বেশি সময় আগে জোর করে তার বাড়িতে উঠেছে। বহিরাগতদের ডেকে পরিবারের লোকদের অত্যাচার করছে। এই চক্রের অত্যাচারে তার বৃদ্ধ মা রহিমা খাতুন বাড়ি ছেড়ে হামিরহাটী গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন। বিয়ের পক্ষে শিলা যে ডকুমেন্ট দেখাচ্ছে তা জাল এবং ভুয়া বলেও তিনি দাবি করেন।

শীলার দাবী তাদের বিয়ে হয়েছে মোবাইলে। নোটারীর বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

ঝিনাইদহ নোটারী পাবলিকের আইনজীবী এ্যাডঃ সাদ্দাতুর রহমান হাদি মুঠোফোনে জানান, এ ধরণের জালিয়াতির ঘটনা আমার এখানে ঘটেনি। যদি কোন মেয়ে কারো স্বামী বানিয়ে নোটারী পাবলিকে নিয়ে আসে সেটা যাচাই করার দায়িত্ব আমার নয়। এমন কোন ঘটনা যদি ঘটেই থাকে তবে, ভুল তথ্য প্রদানের জন্য ওই মেয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হতে পারে।