খোকসা পৌরসভার প্রকৌশলী লাঞ্ছিত

0
95

স্টাফ রিপোর্টার

টেন্ডার থেকে পছন্দের প্রকল্প বাদ দেওয়ায় পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলীকে এক ওয়ার্ড কাউন্সিলর লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রকৌশলী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পৌরসভার কর্মচারী এসোসিয়েশন বৃহত্তর কর্মসূচীর ঘোষনা দিয়েছে।

সোমবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে খোকসা পৌরসভার সহকারী প্রকৗশলী সুজন আলীর অফিস রুমে তাকে লাঞ্ছিত করেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কাশেম তরুন। টেন্ডার নোটিশ থেকে ওই কাউন্সিলরের পছন্দের প্রকল্প বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে কাউন্সিলর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকৌশলীর অফিসে ঢুকে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকী দেন। তার অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকী দিয়েছেন ওই কাউন্সিলর।

লাঞ্ছিত প্রকৌশলী ও কর্মচারী এসোশিয়েশন যৌথভাবে জানান, সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হোসেন তরুন পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলীর কক্ষে ঢোকেন। কী কারণে টেন্ডার নোটিশ থেকে তার পছন্দের প্রকল্পটি বাদ দেওয়া হলো তার জবাব চান। এ নিয়ে কাউন্সিলর ও প্রকৌশলীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যাযে প্রকৌশলীর বুকের কাছে পাঞ্জাবি চেপে ধরে মারতে উদ্ব্যত হন। এ সময় কর্মচারীরা কাউন্সিলরকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।

এ ঘটনার পর সহকারী প্রকৌশলী সুজন আলী বাদি হয়ে কাউন্সিলর আবুল হোসেন তরুনের বিরুদ্ধে খোকসা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সহকারী প্রকৌশলী সুজন আলী জানান, কোন প্রকল্প টেন্ডারে যাবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক মেয়র। তাকে যে ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিনি তা বাস্তবায়ন করেছেন। মেয়রের সাথে কথা বলার জন্য কাউন্সিলরকে অনুরোধ করেছিলেন। কাউন্সিলর কোন কথা না শুনে তকে (প্রকৌশলী) মারতে উদ্ব্যত হন। তিনি ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।

খোকসা পৌরসভার কর্মচারী এসোসিয়েশনের সভাপতি শামীম আহম্মেদ বাবু জানান, কাউন্সিলর আবুল হোসেন তরুন আগেও একাধিক কর্মচারীদের হুমকী ধামকী দিয়েছেন। তারা এবার থানায় অভিযোগ দিয়েছে। আগামী সকাল পর্যন্ত অভিযুক্ত কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তারা মানববন্ধন, কর্মবিরতিসহ বৃহত্তর কর্মসূচী দেবেন।

৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হোসেন তরুন বলেন, প্রকল্প বাদ দেওয়া কেন্দ্র করে প্রকৌশলী সুজনের সথে তার কথা সকাটাকাটি হয়েছে। তবে মারামারি বা হুমকী দেননি।

খোকসা থানা পুলিশের এসআই সুবির কুমার বলেন, প্রকৌশলীর অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছেন। এখন আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মেয়র তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, কাউন্সিল ফৌজদারী অপরাধ করেছেন। কর্মচারীরা যেটা সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি তা সমর্থন জানাবেন।