খোকসায় ডেঙ্গুজ্বর আক্রান্ত যুবক ভয়ে হাসপাতাল ছাড়লো

0
144

স্টাফ রিপোর্টার

সুচিকিৎসা না পেয়ে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত যুবকের হাসপাতাল ছাড়া নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। অসুস্থ্য যুবক পালিয়েছে দাবি করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরিবার বলছে ভালো চিকিৎসা না মেলায় তাকে জেলা সদরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

খোকসা উপজেলা শোমসপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্যামপুর গ্রামের সুমন (২২) ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে বুধবার বেলা পৌনে ১২ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। তিনি রাজধানী ঢাকায় একটি ওষুধ কম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। তার বাবার নাম সাদেক আলী। সু-চিকিৎসা না পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ডেঙ্গু আত্রান্ত সুমন পরিবারের পরামর্শে হাসপাতাল ছাড়েন। সকাল ১০ টার পর ডাক্তারের নিয়োমিত রাউন্ডের সময় বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। তারা আর রোগীর খবর জানার চেষ্টা করেনি। টিটমেন্ট কার্ডের ওপরে রোগী পালিয়েছে বলে লেখে দেন।

চলতি মৌসুমে হাসপাতালে ভর্তি প্রথম ডেঙ্গুরোগীর শারীরিক অবস্থার খবর জানতে হাসপাতালে গেলে একজন প্রশিক্ষনার্থী সেবিকা জানান ওই রোগী ভয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে। ইতোমধ্যে রোগীর বিছানা পত্র গুছিয়ে ফেলা হয়েছে। এর থেকে বেশী আর কোন তথ্য দিতে পারেনি ওই সেবিকা। নিজের নামও জানাতে অস্বীকার করেন তিনি।

ডেঙ্গুজ্বর আক্রান্ত সুমনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানতে তার বাড়ি উত্তর শ্যামপুরে সরেজমিন যাওয়া হয়। সে বাড়িতেও ফেরেনি। পরিবারের লোকেরা জানায়, ১৮ ঘন্টায় রোগী সুমনের জ্বর না কমায় এবং চিকিৎসক – সেবিকারা বারবার ভয় দেখানোতে সুমনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে জরুরী বিভাগের ওয়ার্ডের ৫ নম্বর বিছানায় ভর্তি রয়েছেন।

স্ত্রী আরজিনা খাতুন জানান, ডেঙ্গুজ্বর বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে গ্রামে ফেরেন সুমন। পরদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে ভালো চিকিৎসা না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে কুষ্টিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। ডাক্তারা আগের দিনই তার স্বামীকে কুষ্টিয়ার নেওয়ার জন্য বলেছিল বলে তিনি দাবি করেন।

সাদেক আলী অসুস্থ্য ছেলেকে নিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন বলে নিশ্চিত করেন। মুঠোফোনে কথা বলা হলে তিনি আরো জানান, নতুন করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। জ্বরের মাত্রাও কমতে শুরু করেছে।

তিনি আরো জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারদের ভয় দেখানোতে তিনি অসুস্থ্য ছেলেকে কুষ্টিয়া নিয়ে গেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ প্রেমাংশু বিশ্বাস বলেন, রোগীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি আসলেই দুঃখ জনক। আগের দিন ভর্তিও পর থেকে রোগীকে মসারি টাঙ্গিয়ে রাখা হচ্ছিল। নিয়ম মাফিক ওষুধও দেওয়া হচ্ছিল। ভালো পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য রোগীকে কুষ্টিয়া নিতে বলা হয়েছিল বলেও তিনি স্বীকার করেন।