খোকসায় দিনমজুরকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ

0
148
আহত দিনমজুর নজরুল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন

স্টাফ রিপোর্টার

গভীর রাতে এক দিনমজুরকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে রাত ভর শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মায়ের পরকীয়া প্রেমিকের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা তার বাবার উপর হামলা করেছে বলে দাবি করেন আহতের মেয়ে।

প্রত্যক্ষদশী গ্রামবাসী জানা গেছে, শুক্রবার দিনগত গভীর রাতে কুষ্টিয়ার খোকসার শিমুলিয়া ইউনিয়নের নকশাপাড়া গ্রামের নিজের বাড়ি থেকে দিনমজুর নজরুল সরদার (৫০) কে সন্ত্রাসীরা ধরে নিয়ে যায়। তারা ওই দিনমজুরকে কখনো গাছে বেঁধে আবার কখনো বিলের মধ্যে উপর করে ফেলে শারীরক নির্যাতন চালিয়ে অবশেষে ফেলে রেখে যায়। ভোরে আলো ফোটার পর পরিবারের লোকেরা দিনমজুরকে বিলের ভিতর থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।

আহত দিনমজুর নজরুল ইসলাম জানান, রাত দেড়টার দিকে তিনি প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ঘরের বাইরে বের হন। এ সময় ২/৩ জন সন্ত্রাসী তার চোখ-হাত-মুখ বেঁধে কিছুটা দূরে নিয়ে পায়। তাকে প্রথমে গাছের সাথে বেঁধে মারপিট করে। পরে সেখান থেকে একটি ধান কাটা জমিতে উপর করে ফেলে হত্যার চেষ্টা করে। তবে একই গ্রামের মাজিবর সরদারের ছেলে কালা সরদারের কাছে পাওনা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার দাবি ছেড়ে দেওয়ার শর্ত দিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

আহত দিনমজুরের মেয়ে সাদিয়া খাতুন জানান, প্রতিবেশীর সাথে তার মায়ের পরকীয়া সম্পর্ক হয়। এক পর্যায়ে মা তার পরকীয়া প্রেমিকে দেড় লাখ টাকা ধার দিয়ে বিদেশে পাঠায়। কিছু দিন পর ওই যুবক দেশে ফিরে আসে। এ সময় বাবা-মার মধ্যে ধার দেওয়া টাকা ফেরত চাওয়া নিযে বিরোধ হয়। এক পর্যায়ে নভেম্বর মাসে শেষ দিকে নজরুল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি উপজেলার ফুলবাড়িয়ায় পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনার সূত্র ধরে সন্ত্রাসীরা তার বাবা নজরুলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে রাত ভর শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে। এ হামলায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে তারা মামলা করবে বলে জানান।

শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ওই নারী খুবই দাপুটি। মানুষকে জব্দকরার সব কৌশল তার জানা। আশে পাশের ২/৩টা ইউনিয়ের সন্ত্রাসী গোছের মানুষ তার কব্জায় থাকে। তবে তিনি শুনেছেন তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তালাক হয়ে গেছে।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আননুর জায়েদের সাথে কথা বলার জন্য তার মুঠোফোনে কল করা হয়। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

পরে থানার ওসি তদন্ত আব্দুল গফুরের সাথে কথা বলা হয়। এ ব্যাপারে অভিযোগ আসেনি বলে জানান।