খোকসায় ২ মাসের শিশু ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ

0
153
শিশু শেফার দাদা সাদা পাঞ্জাবি পরা ও নানা চাঁদর গায়ে। দু’জনে কুলাকুলি করার পর ছবিটি তোলা।

স্টাফ রিপোর্টার

ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত ২ মাস বয়সী শিশু শেফাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন মা। সেখান থেকে জোর করে শিশুটিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন দাদা। মায়ের আহাজারিতে জনতা শিশুসহ দাদাকে আটকায়। পরে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে উপস্থিত পুলিশ শিশু নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পরা দুই পরিবারের মধ্যে সমযোথা করে দেয়। কিন্তু তাদের মধ্যে দূরত্ব¡ কমেনি। দাদা বাড়িতে শিশুটির নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় কথা জানালেন মা।

জানা গেছে, রবিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু ওয়ার্ড থেকে ২মাস বয়সী অসুস্থ শিশু শেফাকে জোর করে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন দাদা ওয়াজেদ আলী। তিনি কুমারখালী উপজেলার নন্দি গ্রামের বাসিন্দার। শিশুটির বাবা শিপন আলী ৭মাস আগে সৌদি আরবে গেছেন। শিশুটির জন্মের পর থেকে মা রতনা খাতুনের সাথে খোকসা উপজেলার সন্তোষপুরে নানা আলাল উদ্দিনের বাড়ি থাকেন। বৃহস্পতিবার শিশুটি জ্বর ঠান্ডায় আক্রান্ত হলে তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে শিশুটির চিকিৎসা চলছে।

শিশুটির মা রতনা খাতুন জানান, শিশুটি গর্ভে থাকা অবস্থায় ৭ মাস আগে তার স্বামী শিপন আলী সৌদিতে প্রবাসে যান। শ্বশুর বাড়ির লোকদের নিগৃহের শিকার হয়ে সে বাবা বাড়ি সন্তোষপুরে চলে আসেন। সেই থেকে শ্বশুরের পরিবার তার আর খোজ নেয়নি। দুই মাস আগে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে তিনি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। কয়েক সপ্তাহ আগে শিশু শেফা অসুস্থ হয়ে পরে। তিনি বাবার সহযোগীতার অসুস্থ মেয়ে শেফাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

তিনি আরও জানান, রবিবার সকালে শিশুটিকে দেখতে দাদা-দাদি হাসপাতালে আসেন। কিছু সময় পর তাকে (রতনাকে) রেখে শিশুটিকে জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি ও অন্য রোগীর লোকেরা বাঁধা দিয়ে ব্যর্থ হন। তারা শিশুটিকে হাসপাতালের নিচে নামিয়ে নেন। এ সময় নিরুপায় হয়ে তিনি চিৎকার করে কান্নাকাটি শুরু করলে হাসপাতালে আসা রোগীর লোকেরা তাকে বাঁধা দেয়। পরে পুলিশ আসে। তারা দুই পক্ষের মধ্যে সমযোথা করে দিয়েছে। তবে দাা বাড়িতে শিশুর নিরাপত্তার নিয়ে তিনি খুবই চিন্তায় পরেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামরুজ্জামান জানান, তিনি শুনেছেন বাচ্চার মাকে রেখে দাদা-দাদি জোর করে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। থানা পুলিশ এসেছিল। তার পরে এ ঘটনা নিয়ে কেউ আর আসেনি।

ঘটনা স্থলে উপস্থিত থানা পুলিশের এসআই বিল্লাল বলেন, তিনি দুই পক্ষের কথা শুনেছেন। আপাতত শিশুটি এক সপ্তাহ নানা বাড়ি থাকবে। পরে তারা দুই পরিবার স্বাভাবিক জীবন যাপন করবে।