স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ার খোকসায় নিয়ন্ত্রহীন ট্রাক একটি গরু বোঝাই স্যালো ইঞ্জিন চালিত আলম সাধু ও দুই টাকার পন্য বিক্রেতার ভ্যানকে চাপা দিয়ে কাঠের ফার্নিচারের দোকানে ভিতরে ঢুকে পরলো। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলো ব্যবসায়ী সহ কয়েকজন। তবে ট্রাক চালকসহ ১০ জন আহত হয়েছে। ৪টি গরুর শরীর ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে কুষ্টিয়া রাজবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কে খোকসার মোড়া গাছার কাবমোড়ের অদূরে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে আমজাদ আলীর দোকানের মধ্যে ঢুকে যায়। এতে দোকানের সামনের অংশ দুমড়ে মুচরে যায়। ঘাতক ট্রাকের চালক ও এক যাত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় পতিত ট্রাকটি ফরিদপুর থেকে পাবনা যাচ্ছিল। ৮ জন শ্রমিক ওই ট্রাকের যাত্রী হয়ে পাবনার চারঘাটা পুকুরিয়ায় বাড়ি ফিরছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ী আমজাদ আলী জানান, তিনি সকালে রোদ পোহাচ্ছিলেন। গরু বোঝাই একপি করিমন ঠিক পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু দ্রæতগতীর ট্রাকটি চালক সব লন্ডভন্ড করে দেয়। প্রথমে দুইটার পন্যের ব্যবসায়ী সলিমের ভ্যানকে চাপাদেয়। এর পর গরু বোঝাই আলম সাধুর সামনে থেকে আঘাত করে। তিনি মনে করছেন ট্রাক ড্রাইভার ঘুমিয়ে পরেছিল।

আহত গরুর ব্যবসায়ী শরিফ জানান, তারা ৪টি গাভী গরু নিয়ে পাবনা থেকে ফরিদপুরের হাটে যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৯ টার দিক ঘটনা স্থলে পৌচ্ছাছে সামনে থেকে আসা নিয়ন্ত্রনহীন ট্রাকটির (ঢাকা মেট্রো ড ১৪-৮৫৯৭) তাদের গাড়িতে আঘাত করে। গরু ভর্তি গাড়িটি রাস্তার পাশে ছিটকে পরে। গাড়িতে তার ১২ লাখ টাকা দামের ৪টি বড় গাভী ও ২টি বাছুর গরু ছিল। দুর্ঘটনার আহত গরু গুলো উঠে দাঁড়াতে পারছে না। একটির লেজসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এই গরু ব্যবসায়ী দাবি করেন, ট্রাকের ড্রাইভার সম্ভবত ঘুমিয়ে ছিল। তার গাড়ির গতি ছিল ঘন্টায় একশ কিলোমিটারের বেশী। অথবা ড্রাইভার নেশায় করে ছিল। তিনি ট্রাক ড্রাইভারের বিচার দাবি করেন।
ট্রাকের যাত্রী শওকত আলী জানান, তারা ফরিদপুর থেকে কাজ শেষে পাবনা ফেরার জন্য একটি পরিবহনের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ইতোমধ্যে ট্রাকের চালক সুমন তার সাথে যাত্রী প্রতি ১০০ টাকা মিটিয়ে গাড়িতে তোলেন। গাড়ি খুব জোরে টানছিল। ইতোমধ্যে তিনি ঘুমিয়ে পরেছিলেন। পর পর কয়েকটি প্রচন্ড শব্দে তার ঘুম ভাঙ্গে। দেখতে পান তার সহযাত্রীরা গাড়ি থেকে ছিটকে পরেছে। জহুরুল নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক।
জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইফফাত জাহান তনুজা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দুই জনের অবস্থা খুবই গরুতর। তাদের রেফার্ড করা হয়েছে। অন্যদের আঘাত কম হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, খোকসাতে একটা সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। গ্রেফতার নেই। গাড়ি জব্দ ও মামলার প্রস্তুতি চলছে।