খোকসার কালীর বার্ষিক পূজা ও মেলা শুরু

0
192

স্টাফ রিপোর্টার

সাড়ে ৫শ বছরের পূরাতন খোকসার কালীর বার্ষিক পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগেই প্রচুর পূর্ণার্থী ও দর্শনার্থী জমায়েত হয়েছেন। সবাই আসছেন মিষ্টির ডালা হাতে। মানষার সামগ্রী নিয়ে।

মাঘী আমাবস্যার তিথিতে খোকসার কালীর বার্ষিক পূজা উপলক্ষো কালীর মন্দিরে সাড়ে সাত হাত লম্বা (ক্রিরিটিসহ ১১ হাত) দীর্ঘদেহি কালী মূর্তি তৈরী করা হয়েছে। বার্ষিক পূজার একমাস আগে পৌষ মাসের আমাবস্যায় কাঠাম তৈরী করেন নিদ্ধারিত বংশের কাঠ মিস্ত্রি। এর পর খড় ও মাটি দিয়ে তৈরী করা হয় দীর্ঘদেহী কালী প্রতিমা।

শুক্রবার দিনগত গভীর রাতে জীবাবলীর মধ্য দিয়ে মূল পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শনিবার গোধুলী লগ্নে গড়াই নদীতে কালী প্রতিমা বিসজনের মধ্য দিয়ে বার্ষিক পূজার প্রথম পর্ব শেষ হবে। তবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা চলবে মাঘী সপ্তমী পূজা পর্যন্ত।

কালীর বার্ষিক পূজা উপলক্ষে ইতোমধ্যে মেলার মাঠ ও কালীবাড়ি যাতায়াতের রাস্তাগুলোর পাশে প্রায় ১ কিলোমিটার জুড়ে কয়েকশ ব্যবসায়ী দোকান সাজিয়ে বসেছে। এসব দোকানে মধ্যে পূজার সামগ্রী, কাঠ, বাঁশ, বেত, লোহা, কৃষিযন্ত্রপাতি ও মনোহারি সামগ্রীর ব্যবসায়ীই বেশী। প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পূণ্যার্থীরা নাট মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছেন। এলাকার প্রতিটি বাড়িতেই জামাই-মেয়ে, আত্মীয় স্বজন এসেছেন।

পূজা শুরু দিন সন্ধায় কুষ্টিয়া ৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ মন্দির কমিটির সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এ সময় মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

শুক্রবার দুপুর থেকে পূর্ণাথীরা আসতে শুরু করেছেন। প্রত্যেকেই নিয়ে আসছেন মানষার সামগ্রী। মিষ্টির ডালা। কবুতর, পাঠা নিয়ে। এ দিন গোধূলীতে দেবী মূর্তি মূল বেদিতে তোলার পর পূর্ণার্থীদের ঢল নামে বার্ষিক পূজার মন্দিরে । পূর্ণার্থীদের নিরাপত্তায় পুলিশ ও মুন্দির কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন। সারা রাত ধরে চলবে পূজা অর্চনা।

কালীবাড়ি পূজামন্দির কমিটির সাধারন সম্পাদক দুলাল বিশ্বাস বলেন, এবছর বার্ষিক পূজা উপলক্ষে আয়োজিত গ্রামীন মেলা অনুমতি পাওয়া গেছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাস তৎপর। এ ছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ পূজামন্দির পরিদর্শন করায় তিনি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।