স্টাফ রিপোর্টার
রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে অগ্নিকান্ডে নিহত সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুনকে পারিবারিক কবর স্থানে বড় চাচার পাশে সমাহিত করা হয়েছে। লাশ নিয়ে সরযন্ত্রকারীদের বিচারের দাবি সবার মুখে।
সোমবার রাত আটটা ২০ মিনিটের সময় বৃষ্টি খাতুনের মরদেহবাহী এ্যাম্বুলেন্সটি খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ায় পৌঁছায়। এ সময় বৃষ্টির মরদেহ অপেক্ষায় থাকা শোকার্ত স্বজন ও গ্রামের সব শ্রেণি পেশার নারী পুরুষের ঢল নামে। বৃষ্টির লাশবাহী এ্যাম্বুলেস ঘিরে শোর্তদের মাতম করতে দেখা যায়। শোকার্ত স্বজন ও গ্রামবাসী বৃষ্টির মৃতদেহ নিয়ে নোংরা রাজনীতির সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি করেন।
ঢাকায় বৃষ্টি খাতুনের লাশ তার বাবা সাবলুল আলম সবুজের কাছে হস্তান্তরের খবর নিশ্চিত হওয়ার পর পরিবারের নিহতের দাফনের প্রস্তুতি নেয়া হয়। নিহত বৃষ্টির বড় চাচা মোবারক শেখের কবরের পাশে তার কবরের জায়গা নির্দ্ধারণ করা হয়। সমাজের লোকেরা বাড়ি থেকে ১০০ গজ দূরে বাঁশ বাগানের ভিতরে কবর কাটা থেকে দাফনের সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে রাখে। বিকালে নিহতের গ্রামে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সন্ধার পর পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা, উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল আখতার, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনুনর যায়েদ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর আব্দুল মজিদসহ গন্য মান্য ব্যক্তিরা নিহতের বাড়িতে উপস্থিত হন।
রাত পৌনে ১০টার দিকে বনগ্রাম পশ্চিম পাড়ার জামে মসজিদের মাইকে বৃষ্টির জানাজার ঘোষনা দেওয়া হয়। এর পর নিজের বাড়ির আঙ্গিনায় মরহুমার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সমাজ ও আশে,পাশের গ্রামের ৪/৫শ মানুষ এই জানাজায় সরিক হন। রবিউল ইসলাম নামের একজন নিকট আত্মিয় বৃষ্টির জানার নামাজে ইমামতি করেন। জানার পরে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে চাচা মোবারক শেখের কবরের পাশে বৃষ্টিকে সমাহিত করা হয়।
মেয়ের লাশ বাহী এ্যাম্বুলন্স থেকে নেমেই সাবলুল আলম সবুজ তার মেয়ে বৃষ্টি খাতুনের লাশ নিয়ে চক্রান্তকারীদের বিচারের দাবি করেন। এ ছাড়া বেইলি রোডের অগ্নিকান্ডে নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। মেয়ের মৃতদেহ ফেরত পাওয়ার বিষয়ে তিনি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন। এবং তার কাছে বিচাওে দাবি করেন।
নিহতের বাড়িতে উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বরেন, নিহত বৃষ্টি খাতুনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে তিনি উপস্থিত হয়েছেন। ইসলাম ধর্মীয় বিধান মতাবেত মরহুমার দাফন সম্পন্ন করতে পরিবাকে সবধরণের সহযোগীতা করা হয়েছে।
গত ২৯ ফেব্রæয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকান্ডে নিহত হন বৃষ্টি খাতুন । পরিচয় জটিল টানা ১১ দিন পর আদালতের মাধ্যমে সোমবার বিকালে নিহতের বাবা সবুজ শেখের কাছে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের মর্গ থেকে লাশ হস্তান্তর করা হয়।